বারাসত, 28 ফেব্রুয়ারি: ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পাশে থাকার বার্তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ৷ রবিবার সকাল থেকেই উত্তর 24 পরগনার বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ শুরু করে দিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় থানার পুলিশ কর্তারা। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই তৎপরতায় খুশি জনতা ৷
শনিবার রাতেই বারাসত পুলিশ জেলার জন্য নির্ধারিত তিন কোম্পানি এসএসবি জওয়ানরা এসে পৌঁছন ৷ বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তাঁরা পৌঁছে যান পুলিশ জেলার ন’টি থানায়। কোথাও রাতেই পৌঁছে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে টহল দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ৷ আবার কোথাও সকালে পৌঁছেই ভোটারদের আশ্বস্ত করতে রাস্তায় নামেন তাঁরা ৷ লক্ষ্য একটাই, ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ৷ যা দেখা গেল এদিন হাবড়া থানা এলাকায় ৷
রবিবার সকালেই হাবড়া থানায় এসে পৌঁছয় এক কোম্পানি আধা সামরিকবাহিনী ৷ তাদের স্বাগত জানান বারাসত পুলিশ জেলার ডিএসপি রহেদ শেখ, হাবড়া থানার আইসি গৌতম মিত্র ৷ এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে হাবড়ার বিভিন্ন এলাকায় টহল দেন তাঁরা ৷ বিশেষ করে বিভিন্ন বাজার ও দোকানে যান ওই দুই পুলিশ কর্তা- সহ কেন্দ্র বাহিনীর জওয়ানরা ৷ সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চান,ভোটের আগে কোনও ভয়-ভীতি রয়েছে কি না ৷ থাকলে স্থানীয় থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন : শ্রীরামপুর কমিশনারেট এলাকায় শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি
বাদ যায়নি মহিলা ও পথচলতি সাধারণ মানুষও ৷ তাঁদেরও একইভাবে আশ্বস্ত করে করা হয় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর তরফে ৷ এই বিষয়ে বারাসত পুলিশ জেলার ডিএসপি রহেদ শেখ বলেন, ‘‘ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কোনও অসুবিধা আছে কি না,তা আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে জানার চেষ্টা করছি ৷ যাতে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায় ৷’’
ভোট শুরুর আগে অবধি ধারাবাহিকভাবে এই প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছেন এসপি ৷ সব মিলিয়ে ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল ও তৎপরতায় খুশি আমজনতা ৷