ETV Bharat / state

2 অগাস্ট পর্যন্ত অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না হালিশহর পৌরসভায় : হাইকোর্ট

2 অগাস্ট পর্যন্ত হালিশহর পৌরসভায় অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

হাইকোর্ট
author img

By

Published : Jul 25, 2019, 10:27 PM IST

কলকাতা, 25 জুলাই : হালিশহর পৌরসভায় অনাস্থা বৈঠকের উপর স্থগিতাদেশ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আজ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, 2 অগাস্ট পর্যন্ত কোনও অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না ৷ সেইসঙ্গে সোমবারের (29 জুলাই) মধ্যে হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে সব নথিপত্র জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷

হালিশহর পৌরসভার 21টি ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল । একটি করে ওয়ার্ডে জেতেন BJP ও নির্দল প্রার্থী । লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর বদলায় ছবি । 17 জন তৃণমূল কাউন্সিলর BJP-তে যোগ দেন । ফলে BJP-র কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়ে হয় 18 । স্বাভাবিকভাবেই হালিশহর পৌরসভা দখল করে তারা । ইতিমধ্যে 9 জুলাই ফের বদলায় সেখানকার ছবি ৷ পৌরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় সহ 9 কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে যোগ দেন ৷ ফলে 13 জন কাউন্সিলর নিয়ে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল ৷

এরপর অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে তৃণমূল ৷ 19 জুলাই ডাকা হয় বৈঠক৷ BJP-র অভিযোগ, অনৈতিকভাবে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে ৷ কারণ, একবার অনাস্থা আনলে পরের 6 মাস সেই প্রস্তাব আনা যাবে না ৷ আর তৃণমূল এই সুযোগটাই নিতে চাইছে ৷ বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যান BJP কাউন্সিলরের বন্ধু গোপাল সাহা ৷ শুক্রবার (১৯ জুলাই) শুনানিতে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "১৯ জুলাই বিকেল তিনটের সময় অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত মিটিং ডাকা হল ৷ আর সেই চিঠি আমার মক্কেল পাচ্ছেন 19 জুলাই ৷ সেটাও আবার হোয়াটসঅ্যাপে । আইনত ডিজিটাল সার্ভিস গ্রহণযোগ্য নয় । চিঠি দিতে হবে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে । এছাড়া, অনাস্থা সংক্রান্ত মিটিংয়ের অন্তত সাত থেকে 15 দিন আগে চিঠি দিতে হয় । এক্ষেত্রে সেটাও মানা হয়নি । চেয়ারম্যান নিজেই নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছেন, সেটাও সম্ভব নয় । এখানে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে । আসলে কোনওভাবে এই অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত মিটিং একবার যদি হয়ে যায় তাহলে আগামী ছ'মাস আর কোনও মিটিং ডাকা যাবে না । সেজন্যই তড়িঘড়ি করে মিটিং ডাকা হয়েছে । " রাজ্যের AG কিশোর দত্ত বলেন, "17 তারিখ চিঠি পেয়ে 19 জুলাই একেবারে শেষ মুহূর্তে কেন কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন? তাঁদের মধ্যে কোনও একজন কাউন্সিলর (অনাস্থা) প্রক্রিয়াকে বাতিল করতে পারেন না । "এরপর বিচারপতি 19 জুলাইয়ের বৈঠকের উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি৷ নির্দেশ দেন, 23 জুলাই পর্যন্ত কোনও অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না ৷

আজ শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, "নিয়ম মতো পোস্ট অফিসের মাধ্যমে স্পিড পোস্টে চিঠি পাঠানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর সেই চিঠি গ্রহণ করেননি । এরপর 16 জুলাই মোবাইলের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে চিঠি পাঠানো হয় । যেটা উনি দেখেছেন 17 জুলাই । আসলে পুরো ব্যাপারটাই মিথ্যা । সমস্ত প্রমাণপত্র রয়েছে । " এরপর বিচারপতি নির্দেশ দেন, 29 জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে । আর 2 অগাস্ট পর্যন্ত পর্যন্ত কোনও অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না ৷

কলকাতা, 25 জুলাই : হালিশহর পৌরসভায় অনাস্থা বৈঠকের উপর স্থগিতাদেশ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আজ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, 2 অগাস্ট পর্যন্ত কোনও অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না ৷ সেইসঙ্গে সোমবারের (29 জুলাই) মধ্যে হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে সব নথিপত্র জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷

হালিশহর পৌরসভার 21টি ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল । একটি করে ওয়ার্ডে জেতেন BJP ও নির্দল প্রার্থী । লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর বদলায় ছবি । 17 জন তৃণমূল কাউন্সিলর BJP-তে যোগ দেন । ফলে BJP-র কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়ে হয় 18 । স্বাভাবিকভাবেই হালিশহর পৌরসভা দখল করে তারা । ইতিমধ্যে 9 জুলাই ফের বদলায় সেখানকার ছবি ৷ পৌরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় সহ 9 কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে যোগ দেন ৷ ফলে 13 জন কাউন্সিলর নিয়ে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল ৷

এরপর অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে তৃণমূল ৷ 19 জুলাই ডাকা হয় বৈঠক৷ BJP-র অভিযোগ, অনৈতিকভাবে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে ৷ কারণ, একবার অনাস্থা আনলে পরের 6 মাস সেই প্রস্তাব আনা যাবে না ৷ আর তৃণমূল এই সুযোগটাই নিতে চাইছে ৷ বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যান BJP কাউন্সিলরের বন্ধু গোপাল সাহা ৷ শুক্রবার (১৯ জুলাই) শুনানিতে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "১৯ জুলাই বিকেল তিনটের সময় অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত মিটিং ডাকা হল ৷ আর সেই চিঠি আমার মক্কেল পাচ্ছেন 19 জুলাই ৷ সেটাও আবার হোয়াটসঅ্যাপে । আইনত ডিজিটাল সার্ভিস গ্রহণযোগ্য নয় । চিঠি দিতে হবে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে । এছাড়া, অনাস্থা সংক্রান্ত মিটিংয়ের অন্তত সাত থেকে 15 দিন আগে চিঠি দিতে হয় । এক্ষেত্রে সেটাও মানা হয়নি । চেয়ারম্যান নিজেই নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছেন, সেটাও সম্ভব নয় । এখানে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে । আসলে কোনওভাবে এই অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত মিটিং একবার যদি হয়ে যায় তাহলে আগামী ছ'মাস আর কোনও মিটিং ডাকা যাবে না । সেজন্যই তড়িঘড়ি করে মিটিং ডাকা হয়েছে । " রাজ্যের AG কিশোর দত্ত বলেন, "17 তারিখ চিঠি পেয়ে 19 জুলাই একেবারে শেষ মুহূর্তে কেন কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন? তাঁদের মধ্যে কোনও একজন কাউন্সিলর (অনাস্থা) প্রক্রিয়াকে বাতিল করতে পারেন না । "এরপর বিচারপতি 19 জুলাইয়ের বৈঠকের উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি৷ নির্দেশ দেন, 23 জুলাই পর্যন্ত কোনও অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না ৷

আজ শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, "নিয়ম মতো পোস্ট অফিসের মাধ্যমে স্পিড পোস্টে চিঠি পাঠানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর সেই চিঠি গ্রহণ করেননি । এরপর 16 জুলাই মোবাইলের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে চিঠি পাঠানো হয় । যেটা উনি দেখেছেন 17 জুলাই । আসলে পুরো ব্যাপারটাই মিথ্যা । সমস্ত প্রমাণপত্র রয়েছে । " এরপর বিচারপতি নির্দেশ দেন, 29 জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে । আর 2 অগাস্ট পর্যন্ত পর্যন্ত কোনও অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না ৷

Intro:হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা সংক্রান্ত মিটিং ডাকা যাবেনা ২ অগাস্ট পর্যন্ত Body:
মানস নস্কর---

হালিশহর পুরসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ডাকা অনাস্থা সংক্রান্ত মিটিঙের উপর আগামী ২ অগাস্ট পর্যন্ত স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

কলকাতা ২৫ জুলাইঃ
হালিশহরের অনাস্থা বৈঠকের উপর স্থগিতাদেশ বাড়লো। আগামী ২ অগাস্ট পর্যন্ত ডাকা যাবেনা কোনো অনাস্থা বৈঠক নির্দেশ হাইকোর্টের।বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ১৯ জুলাই এক নির্দেশে জানিয়েছিলেন ২৩ জুলাই পর্যন্ত অনাস্থা সংক্রান্ত কোনো মিটিং ডাকা যাবেনা। সেই নির্দেশই আজ আবার ২ অগাস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করলেন বিচারপতি। কারণ রাজ্যের তরফে আজ আইনজীবী দাবি করেন",নিয়ম মতো স্পিড পোস্টে,পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়েছিল কিন্ত মামলাকারী কাউন্সিলর সেই চিঠি গ্রহণ করেন নি।এরপর ১৬ জুলাই মোবাইলের মাধ্যমে হোয়াটসাপে চিঠি পাঠানো হয়।যেটা উনি দেখেছেন ১৭ জুলাই।আসলে পুরো ব্যাপারটাই মিথ্যা।সমস্ত প্রমানপত্র রয়েছে। "এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে হলফনাম দিয়ে সমস্ত নথিপত্র জমা করতে।



গত ১৯ জুলাই মামলার শুনানিতে মামলাকারী বিজেপির কাউন্সিলর বন্ধু গোপাল সাহার তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, "১৯ জুলাই বিকেল তিনটের সময় অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত মিটিং ডাকা হলো, তার চিঠি আমার মক্কেল পাচ্ছেন ১৭ জুলাই, সেটাও আবার হোয়াটসঅ্যাপে। আইনত ডিজিটাল সার্ভিস গ্রহণযোগ্য নয়।চিঠি দিতে হবে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। পাশাপাশি অনাস্থা সংক্রান্ত মিটিং ডাকার অন্তত ৭ থেকে ১৫ দিন আগে চিঠি দিতে হয়।এখানে সেটাও মানা হয়নি। চেয়ারম্যান নিজেই নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছেন সেটা ও সম্ভব নয়।আসলে এখানে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে।আসলে কোনো ভাবে এই অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত মিটিং একবার যদি হয়ে যায় তাহলে আর আগামী ছমাস কোনো মিটিং ডাকা যাবেনা। সেই জন্যই তড়িঘড়ি করে মিটিং ডাকা হয়েছে। "
এর বিরুদ্ধে রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত বলেন, " ১৭ তারিখ চিঠি পেয়ে ১৯ জুলাই একেবারে শেষ মুহুর্তে কেন কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন? ২৫ জন কাউন্সিলর রয়েছেন তার মধ্যে কোনো একজন কাউন্সিলর প্রক্রিয়াকে বাতিল করতে পারে না।"যদিও এরপর বিচারপতি তার নির্দেশে ১৯ জুলাই ৩ টেতে ডাকা মিটিং এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.