ETV Bharat / state

BSF: হামলা উপেক্ষা করে মাদক পাচারে মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতীকে ধরল বিএসএফ - উত্তর 24 পরগনা

উত্তর 24 পরগনার (North 24 Parganas) বাগদা থানার নওদাপাড়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে এক মোস্ট ওয়ান্টেড চোরাকারবারিকে (Most Wanted Smuggler) গ্রেফতার করেছে বিএসএফ (BSF) ৷ এর জন্য হামলার মুখেও পড়তে হয় বিএসএফ জওয়ানদের ৷

BSF
BSF
author img

By

Published : Jan 7, 2023, 8:05 PM IST

কলকাতা, 7 জানুয়ারি: হামলা উপেক্ষা করে ছয় বছর ধরে এনসিবির (NCB) মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করল বিএসএফ (BSF) । শুক্রবার রাতে উত্তর 24 পরগনার (North 24 Parganas) বাগদা থানার নওদাপাড়া এলাকার সীমান্ত থেকে ওই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করেছে বিএসএফ । বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ফেনসিডিল-সহ ধৃতদের আটক করে বিএসএফ ।

তার পরপরই ওই দুষ্কৃতীদের বিএসএফের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী বিএসএফের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ । ভাঙচুর চালানো হয় বিএসএফের সম্পত্তিতে । খবর পেয়ে বাগদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । দুষ্কৃতীদের হাত থেকে আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয় । পরে সেখান থেকে কলকাতা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে বিএসএফ সূত্রে খবর । আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে ।

বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের দাবি, "ধৃত চোরাকারবারি এনসিবি-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল (Most Wanted Smuggler) । জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি জানায়, সে গত 6 বছর ধরে এই ধরনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত । চোরাকারবারি এনসিবি তালিকায় কুখ্যাত । কিন্তু এর আগে কখনও তাকে হাতেনাতে ধরা যায়নি । ধৃত পাচারকারী এবং বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী এনসিবিকে হস্তান্তর করা হবে । এর পাশাপাশি, বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলাকারী এবং সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাগদা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ।’’

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নওদাগ্রামের গ্রামের আলমগীর মণ্ডলের বাড়ি-সহ সহযোগী সুখদেব মণ্ডল, সুকুমার ও পবিত্রর বাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ফেনসিডিল রয়েছে বলে খবর পায় বিএসএফ । তা বাংলাদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল শুক্রবার রাতে । সুনির্দিষ্ট খবর পাওয়া মাত্রই কোম্পানি কমান্ডার বাগদা থানায় খবর দেন । তারপরে, রাত্রি 8টা 10 মিনিট নাগাদ জওয়ানরা সন্দেহভাজন বাড়িগুলিতে হানা দেয় । তল্লাশিকালে আলমগীর মণ্ডলকে তার বাড়ি থেকে 43 কেজি গাঁজা ও 371 বোতল ফেনসিডিল-সহ আটক করা হয় ।

বাজেয়াপ্ত সামগ্রী-সহ চোরাকারবারীকে নিয়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা জওয়ানদের উপর প্রাণঘাতী হামলা চলে । বিএসএফ জওয়ানরা যখন আলমগীর মণ্ডলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তার সহযোগী চোরাকারবারীরা অতর্কিতভাবে লাঠি ও পাথর নিয়ে জওয়ানদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ । এতে চারজন বিএসএফ জওয়ান গুরুতরভাবে আহত হন । কিন্তু বিএসএফের জওয়ান পালটা লড়াই করে চোরাকারবারী আলমগীরকে ধরে ফেলে । এর পরেই, জওয়ানরা আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী-সহ আটক চোরাকারবারীকে সীমা চৌকি মামাভাগিনাতে নিয়ে আসেন । ঘটনাটি গভীর রাত পর্যন্ত চলে ।

অভিযোগ, ধৃত চোরাকারবারীর সহযোগী সহদেব রাই, কালকমান দফাদার, টোটাল মণ্ডল, লাল্টু মণ্ডল, রাজাক মণ্ডল, হুসেন মণ্ডল, জাহিদুল দফাদার, জাহান আলী মণ্ডল এবং মিজানুর মণ্ডল প্রথমে বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালায় । তারপর সীমান্তে নজরদারির করার জন্য লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা, রেকর্ডার, কম্পিউটার এবং কন্ট্রোল রুম ভাঙচুর করে বিএসএফের সম্পত্তির প্রচুর ক্ষতি করেছে । চোরাকারবারীদের রোষানলে, বিএসএফের অতিরিক্ত দল এবং বাগদাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখান থেকে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করে এবং আহত জওয়ানদের ঘটনাস্থল থেকে বের করে বাগদা হাসপাতালে পাঠায় । আহত জওয়ানের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাহাকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে ।

ঘটনাস্থল থেকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার পরে, উত্তেজিত জনতা চোরাকারবারীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মামাভাগিনা সীমা চৌকিতে ঘেরাও করে । কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা তাদের চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেয় । বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলাকারী এবং সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাগদা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ।

কুখ্যাত চোরাকারবারীকে যারা সাহায্য করেছিল তাদেরও শীঘ্রই ধরা হবে বলে ডিআইজি সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন । কৃষ্ণনগর আঞ্চলিক সদর দফতরের ডিআইজি বলেন, "বিএসএফ জওয়ানরা সর্বদা সীমান্তে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে । সীমান্তে অপরাধ বন্ধ করতেও ক্রমাগত সফল হচ্ছে । বিএসএফের ক্রমাগত পদক্ষেপে চোরাকারবারি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা হতবাক । তারা প্রতিশোধের স্পৃহা নিয়ে জওয়ানদের ওপর হামলা চালায় । কিন্তু আমাদের জওয়ানদের মনোবল অনেক বেশি । পাচারকারীকে যারা সাহায্য করেছিল, তাহাদের আমাদের গোয়েন্দা দল সন্ধান করছে এবং খুব শীঘ্রই তাদের ধরা হবে ।"

আরও পড়ুন: মদ্যপ চালকের জেরে লরি ঢুকল জেলা হাসপাতালে, গুরুতর আহত 2

কলকাতা, 7 জানুয়ারি: হামলা উপেক্ষা করে ছয় বছর ধরে এনসিবির (NCB) মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করল বিএসএফ (BSF) । শুক্রবার রাতে উত্তর 24 পরগনার (North 24 Parganas) বাগদা থানার নওদাপাড়া এলাকার সীমান্ত থেকে ওই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করেছে বিএসএফ । বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ফেনসিডিল-সহ ধৃতদের আটক করে বিএসএফ ।

তার পরপরই ওই দুষ্কৃতীদের বিএসএফের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী বিএসএফের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ । ভাঙচুর চালানো হয় বিএসএফের সম্পত্তিতে । খবর পেয়ে বাগদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । দুষ্কৃতীদের হাত থেকে আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয় । পরে সেখান থেকে কলকাতা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে বিএসএফ সূত্রে খবর । আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে ।

বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের দাবি, "ধৃত চোরাকারবারি এনসিবি-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল (Most Wanted Smuggler) । জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি জানায়, সে গত 6 বছর ধরে এই ধরনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত । চোরাকারবারি এনসিবি তালিকায় কুখ্যাত । কিন্তু এর আগে কখনও তাকে হাতেনাতে ধরা যায়নি । ধৃত পাচারকারী এবং বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী এনসিবিকে হস্তান্তর করা হবে । এর পাশাপাশি, বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলাকারী এবং সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাগদা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ।’’

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নওদাগ্রামের গ্রামের আলমগীর মণ্ডলের বাড়ি-সহ সহযোগী সুখদেব মণ্ডল, সুকুমার ও পবিত্রর বাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ফেনসিডিল রয়েছে বলে খবর পায় বিএসএফ । তা বাংলাদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল শুক্রবার রাতে । সুনির্দিষ্ট খবর পাওয়া মাত্রই কোম্পানি কমান্ডার বাগদা থানায় খবর দেন । তারপরে, রাত্রি 8টা 10 মিনিট নাগাদ জওয়ানরা সন্দেহভাজন বাড়িগুলিতে হানা দেয় । তল্লাশিকালে আলমগীর মণ্ডলকে তার বাড়ি থেকে 43 কেজি গাঁজা ও 371 বোতল ফেনসিডিল-সহ আটক করা হয় ।

বাজেয়াপ্ত সামগ্রী-সহ চোরাকারবারীকে নিয়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা জওয়ানদের উপর প্রাণঘাতী হামলা চলে । বিএসএফ জওয়ানরা যখন আলমগীর মণ্ডলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তার সহযোগী চোরাকারবারীরা অতর্কিতভাবে লাঠি ও পাথর নিয়ে জওয়ানদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ । এতে চারজন বিএসএফ জওয়ান গুরুতরভাবে আহত হন । কিন্তু বিএসএফের জওয়ান পালটা লড়াই করে চোরাকারবারী আলমগীরকে ধরে ফেলে । এর পরেই, জওয়ানরা আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী-সহ আটক চোরাকারবারীকে সীমা চৌকি মামাভাগিনাতে নিয়ে আসেন । ঘটনাটি গভীর রাত পর্যন্ত চলে ।

অভিযোগ, ধৃত চোরাকারবারীর সহযোগী সহদেব রাই, কালকমান দফাদার, টোটাল মণ্ডল, লাল্টু মণ্ডল, রাজাক মণ্ডল, হুসেন মণ্ডল, জাহিদুল দফাদার, জাহান আলী মণ্ডল এবং মিজানুর মণ্ডল প্রথমে বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালায় । তারপর সীমান্তে নজরদারির করার জন্য লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা, রেকর্ডার, কম্পিউটার এবং কন্ট্রোল রুম ভাঙচুর করে বিএসএফের সম্পত্তির প্রচুর ক্ষতি করেছে । চোরাকারবারীদের রোষানলে, বিএসএফের অতিরিক্ত দল এবং বাগদাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখান থেকে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করে এবং আহত জওয়ানদের ঘটনাস্থল থেকে বের করে বাগদা হাসপাতালে পাঠায় । আহত জওয়ানের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাহাকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে ।

ঘটনাস্থল থেকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার পরে, উত্তেজিত জনতা চোরাকারবারীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মামাভাগিনা সীমা চৌকিতে ঘেরাও করে । কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা তাদের চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেয় । বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলাকারী এবং সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাগদা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ।

কুখ্যাত চোরাকারবারীকে যারা সাহায্য করেছিল তাদেরও শীঘ্রই ধরা হবে বলে ডিআইজি সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন । কৃষ্ণনগর আঞ্চলিক সদর দফতরের ডিআইজি বলেন, "বিএসএফ জওয়ানরা সর্বদা সীমান্তে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে । সীমান্তে অপরাধ বন্ধ করতেও ক্রমাগত সফল হচ্ছে । বিএসএফের ক্রমাগত পদক্ষেপে চোরাকারবারি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা হতবাক । তারা প্রতিশোধের স্পৃহা নিয়ে জওয়ানদের ওপর হামলা চালায় । কিন্তু আমাদের জওয়ানদের মনোবল অনেক বেশি । পাচারকারীকে যারা সাহায্য করেছিল, তাহাদের আমাদের গোয়েন্দা দল সন্ধান করছে এবং খুব শীঘ্রই তাদের ধরা হবে ।"

আরও পড়ুন: মদ্যপ চালকের জেরে লরি ঢুকল জেলা হাসপাতালে, গুরুতর আহত 2

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.