বনগাঁ, 29 অগাস্ট : দলের জেলা সভাপতির অপসারণ চেয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন BJP কর্মীদের একাংশ । রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, সাংসদ বনাম BJP জেলা সভাপতির বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে শান্তনু ঠাকুরের ভুমিকা নিয়েও । তাদের মতে, শান্তনুর সম্মতি ছাড়া ঠাকুরবাড়িতে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া অসম্ভব।
শনিবার দুপুরে BJP কর্মীরা ঠাকুরনগরে গিয়ে শান্তনু ঠাকুরের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন ৷ তাঁদের অভিযোগ, জেলায় কোনওরকম সাংগঠনিক কাজ হচ্ছে না। অথচ তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে বৈঠক করছেন জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় । জেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কোনও বৈঠকও তিনি করছেন না। দলকে তৃণমূলের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। স্মারকলিপি জমা দিতে এসে BJP-র প্রাক্তন জেলা সম্পাদক নীলিমা দে সরকার বলেন, "শংকরবাবু দুর্নীতিগ্রস্ত । তিনি অতীতে আমার সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে । আমরা তার অপসারণ চাই।"
এই বিষয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, "BJP-র সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়ে অনেক দিন ধরে শংকরবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনছি । আজ কর্মীদের ক্ষোভের কথা আমার কাছে লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন । আমি বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।"
এই ঘটনাকে BJP-র অন্তর্কলহ বলে উল্লেখ করেছেন বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস ৷ তিনি বলেন, "BJP-র প্রত্যেক নেতা-কর্মী দুর্নীতিগ্রস্ত । তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আঁতাতের কোনও প্রয়োজন পড়ে না l জেলা সভাপতির অপসারণ চেয়ে সাংসদের বাড়িতে ডেপুটেশন ৷ এক্ষেত্রে সাংসদ ওদের দলে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এসব নাটক করছেন l" BJP-র জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমি আজ সারাদিন দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ছিলাম । ঘটনাটি শুনেছি । দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করব না।"