বিধাননগর, 27 নভেম্বর: বিধাননগরের শান্তিনগরে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ল বিজেপির প্রতিনিধি দল । প্রতিরোধের মুখে পড়ে সোমবার এলাকা থেকে ফিরে যেতে বাধ্য গেরুয়া শিবিরের প্রতিনিধি দলটি ৷ রবিবার বিধাননগরের শান্তিনগর অঞ্চলের বাসিন্দা বিট্টু সরদার নামে এক যুবক সাহেব আলিকে খুন করে বলে অভিযোগ। এরপর অভিযুক্ত বিট্টু সরদারকে কে স্থানীয় মানুষরা ধরে ফেলে ও তাকে গণপিটুনি দেয়। এদিন দুপুরে বিজেপির তরফে একটি প্রতিনিধি দল নিহত সাহেব আলির বাড়িতে যেতে চায় পরিবারকে সমবেদনা জানাতে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় সাহেব আলি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর দেখা করতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব ৷ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি এই বিক্ষোভের পিছনে তৃণমূলের যোগ রয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, এদিন সুকান্তনগরে জমা হয় এবং সেখান থেকে মিছিল করে নিহতের বাড়ির দিকে রওনা হয় বিজেপির প্রতিনিধি দলটি । নিহত সাহেব আলির বাড়ির কিছুটা আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা বিজেপির প্রতিনিধিদের আটকে দেয় ৷ ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক রং দেওয়া চলবে না বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা । বিজেপির প্রতিনিধিদের রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও পরবর্তীতে তারা আবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন বলে জানিয়েছেন এদিনের প্রতিনিধি দলে থাকা বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষারকান্তি ঘোষ। তাঁর দাবি, রাজ্যের এক মন্ত্রীর নির্দেশে এদিন তাঁদের বাধা দেয় তৃণমূল ৷ বিজেপি প্রতিনিধি দলের সদস্যদের শারীরিক হেনস্তার অভিযোগও উঠেছে ৷
শনিবার রাতে বিধাননগরের শান্তিনগর এলাকায় সাহেব আলি নামে এক যুবককে গলায় কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় ৷ ঠাকুর বিসর্জনে গান বাজানো নিয়ে বচসার সূত্রপাত হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ এলাকার বাসিন্দা বিট্টু সরদারের সঙ্গে সাহেব আলির ঝামেলা বাঁধে ৷ অভিযোগ বচসার মধ্যে বিট্টু সরদার হঠাৎ করে একটি কাঁচি নিয়ে আসে এবং সেই কাঁচি দিয়ে সাহেব আলির গলায় কোপাতে থাকে ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় ওই যুবকের ৷
ঘটনার তদন্তে নেমে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ৷ সাহেব আলির পরিবারের তরফ থেকে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযুক্ত বিট্টুর সরদারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷ এলাকায় দুষ্কৃতী হিসাবে পরিচিত বিট্টু ৷
আরও পড়ুন: