বারাসত, 2 জানুয়ারি: সামনেই লোকসভা নির্বাচন! তার আগে 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি'র পোস্টার ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনার। পোস্টার বিতর্ক থেকে বাদ গেল না উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর বারাসত-ও। মঙ্গলবার বারাসত স্টেশন লাগোয়া সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে পোস্টার পরায় সরগরম জেলার রাজনীতি। শুরু হয়েছে জোর চর্চাও।
জেলা সিপিএম নেতা আহমেদ আলি খান দলীয় কার্যালয়ে পোস্টার পরাকে কেন্দ্র করে বলেন, "রাতের অন্ধকারে কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছে বলতে পারব না ৷ তবে সিপিএম বিকল্প রাজনীতিই করছে ৷ ভারতবর্ষের আর পাঁচটা রাজনৈতিক দলের মতো আমাদের দল নয় ৷ ধনবাদী যে ব্যবস্থা চলছে তা পালটে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে আমাদের দল ৷ এটাই বিকল্প রাজনীতি ৷" বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, "বিকল্প রাজনীতি হিসাবে বাংলায় বিজেপিকেই চাইছে সাধারণ মানুষ ৷ চারিদিকে যে পোস্টার পড়ছে তার থেকে আন্দাজ করা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের বিকল্প রাজনীতি চাইছে বাংলার মানুষ ৷"
দু'দিন আগেই কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্র শ্যামবাজার,হাজরা মোড়,রাসবিহার অ্যাভিনিউ, গড়িয়াহাট, পার্কসার্কাস, ধর্মতলা, এমনকী এন্টালিতে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের আশপাশেও দেখা গিয়েছিল এই ধরনের পোস্টার। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবারও 'পোস্টার' বিতর্ক মাথাচাঁড়া দিল! এবার একেবারে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে। যা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী ঘটনা। কিন্তু, কারা দিল এই পোস্টার? পোস্টারে তার কোনও উল্লেখ না থাকলেও, সেই বক্তব্য অবশ্য নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখে, বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সঙ্গে তিনি এও লিখেছিলেন,'বাংলার ভবিতব্য, 'বিকল্প রাজনীতি'।
যে কোনও সময় লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট বেজে যেতে পারে! তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যখন সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে তখন শাসকের অন্দরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে বিতর্ক ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। তখন পোস্টার কাণ্ড ঘিরে কার্যত নতুন জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। 'নামহীন' এই পোস্টার নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন:
1. 'মমতাই শেষ কথা', প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব নিয়ে সাফ বার্তা মন্ত্রী ফিরহাদের
2. 'অভিনয় করলে দাদা সাহেব ফালকে পেতেন সুদীপ', লোকসভার দলনেতাকে কটাক্ষ তাপসের
3. 'রাজীব কুমারকে ফ্রি-হ্যান্ড দিতেই বেআইনিভাবে নয়া দায়িত্বে নন্দিনী', পদক্ষেপের হুমকি শুভেন্দুর