ETV Bharat / state

Baguiati Double Murder: 14 দিনের সিআইডি হেফাজতে বাগুইআটি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র

বাগুইআটি জোড়া খুনে (Baguiati Double Murder) মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ পরে তাঁকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয় ৷ আদালত তাঁকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷

barasat-court-sends-baguiati-double-murder-main-accused-to-14-days-of-cid-custody
Baguiati Double Murder: 14 দিনের সিআইডি হেফাজতে বাগুইআটি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র
author img

By

Published : Sep 9, 2022, 7:15 PM IST

Updated : Sep 9, 2022, 7:42 PM IST

বারাসত, 9 সেপ্টেম্বর : জামিন নাকচ করে বাগুইআটি জোড়া খুনের (Baguiati Double Murder) মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে 14 দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠাল বারাসত আদালত (Barasat Court) । শুক্রবার দুপুরে ধৃত সত্যেন্দ্রকে কড়া নিরাপত্তায় বারাসত আদালতে পেশ করেন সিআইডির (CID) আধিকারিকরা । বাদী ও বিবাদী দু'পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব শুনে এদিন বিচারক মূল অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন । ধৃত সত্যেন্দ্রকে 14 দিনের সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত ৷

এর আগে বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে ধৃত চার সুপারি কিলারকেও 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বারাসত আদালত । পরবর্তী সময়ে সিআইডি বাগুইআটি কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিলে পুলিশি হেফাজতে থাকা ওই চার সুপারি কিলারকে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে ।

প্রসঙ্গত, বাগুইআটিতে অপহৃত দুই স্কুল ছাত্রকে খুনের ঘটনার পরপরই চার সুপারি কিলার অভিজিৎ বসু, শামিম আলি, সাহিল মোল্লা ও দিব‍্যেন্দু দাসকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ । কিন্তু, জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে কিছুতেই গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না । মোবাইলের সিম পাল্টিয়ে নিজের আস্তানা পরিবর্তন করছিলেন তিনি । যার ফলে তাঁর নাগাল পেতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল তদন্তকারী অফিসারদের ।

14 দিনের সিআইডি হেফাজতে বাগুইআটি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র

শেষমেশ এক আত্মীয়কে ফোন করে টাকা চাইতেই সত‍্যেন্দ্রর আস্তানার হদিস পেয়ে যান তাঁরা । হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) চত্বরে পা দিতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি । তাঁকে জেরা করে জোড়া খুনের রহস্য ভেদ করতে মরিয়া সিআইডির আধিকারিকরা ।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত মঙ্গলবার বাগুইআটির দুই ছাত্রকে খুনের বিষয়টি সামনে আসে ৷ ওইদিন নিহত দুই ছাত্রের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ৷ পুলিশের বিরুদ্ধেও উদাসীনতার অভিযোগ তোলা হয় ৷ পরিবারের দাবি, অগস্টের মাঝামাঝি নিখোঁজ হয়ে যায় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে ওই দুই ছাত্র ৷ বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ ৷

প্রায় 15 দিন পর জানা যায় যে বসিরহাট হাসপাতালের মর্গে রয়েছে অতনু ও অভিষেকের দেহ ৷ দশদিন আগেই দেহ উদ্ধার হয়েছিল ৷ কিন্তু পুলিশি সমন্বয়তার অভাবে পরিবারের কাছে খবর আসেনি ৷ তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায় ৷

এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্য সরকার ৷ সাসপেন্ড করা হয় বাগুইআটি থানার আইসিকে ৷ তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির হাতে ৷ প্রাথমিক তদন্তে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম উঠে আসে ৷ অভিযোগ, অপহরণ করে খুন করা হয় ওই ছাত্রকে ৷ যে গাড়িতে খুনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ, সেটিও উদ্ধার হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : আধঘণ্টার জন্য ফোন অন করাতেই সত্যেন্দ্রর হদিশ পেল পুলিশ

বারাসত, 9 সেপ্টেম্বর : জামিন নাকচ করে বাগুইআটি জোড়া খুনের (Baguiati Double Murder) মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে 14 দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠাল বারাসত আদালত (Barasat Court) । শুক্রবার দুপুরে ধৃত সত্যেন্দ্রকে কড়া নিরাপত্তায় বারাসত আদালতে পেশ করেন সিআইডির (CID) আধিকারিকরা । বাদী ও বিবাদী দু'পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব শুনে এদিন বিচারক মূল অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন । ধৃত সত্যেন্দ্রকে 14 দিনের সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত ৷

এর আগে বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে ধৃত চার সুপারি কিলারকেও 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বারাসত আদালত । পরবর্তী সময়ে সিআইডি বাগুইআটি কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিলে পুলিশি হেফাজতে থাকা ওই চার সুপারি কিলারকে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে ।

প্রসঙ্গত, বাগুইআটিতে অপহৃত দুই স্কুল ছাত্রকে খুনের ঘটনার পরপরই চার সুপারি কিলার অভিজিৎ বসু, শামিম আলি, সাহিল মোল্লা ও দিব‍্যেন্দু দাসকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ । কিন্তু, জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে কিছুতেই গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না । মোবাইলের সিম পাল্টিয়ে নিজের আস্তানা পরিবর্তন করছিলেন তিনি । যার ফলে তাঁর নাগাল পেতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল তদন্তকারী অফিসারদের ।

14 দিনের সিআইডি হেফাজতে বাগুইআটি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র

শেষমেশ এক আত্মীয়কে ফোন করে টাকা চাইতেই সত‍্যেন্দ্রর আস্তানার হদিস পেয়ে যান তাঁরা । হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) চত্বরে পা দিতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি । তাঁকে জেরা করে জোড়া খুনের রহস্য ভেদ করতে মরিয়া সিআইডির আধিকারিকরা ।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত মঙ্গলবার বাগুইআটির দুই ছাত্রকে খুনের বিষয়টি সামনে আসে ৷ ওইদিন নিহত দুই ছাত্রের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ৷ পুলিশের বিরুদ্ধেও উদাসীনতার অভিযোগ তোলা হয় ৷ পরিবারের দাবি, অগস্টের মাঝামাঝি নিখোঁজ হয়ে যায় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে ওই দুই ছাত্র ৷ বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ ৷

প্রায় 15 দিন পর জানা যায় যে বসিরহাট হাসপাতালের মর্গে রয়েছে অতনু ও অভিষেকের দেহ ৷ দশদিন আগেই দেহ উদ্ধার হয়েছিল ৷ কিন্তু পুলিশি সমন্বয়তার অভাবে পরিবারের কাছে খবর আসেনি ৷ তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায় ৷

এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্য সরকার ৷ সাসপেন্ড করা হয় বাগুইআটি থানার আইসিকে ৷ তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির হাতে ৷ প্রাথমিক তদন্তে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম উঠে আসে ৷ অভিযোগ, অপহরণ করে খুন করা হয় ওই ছাত্রকে ৷ যে গাড়িতে খুনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ, সেটিও উদ্ধার হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : আধঘণ্টার জন্য ফোন অন করাতেই সত্যেন্দ্রর হদিশ পেল পুলিশ

Last Updated : Sep 9, 2022, 7:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.