হাড়োয়া, 8 মার্চ: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে শাসকদলের পরাজয়ে যখন উজ্জীবিত বিরোধী শিবির । তখনই ভাঙন ধরল বাম-কংগ্রেস জোটের অপর সঙ্গী আইএসএফ দলে (Around hundred ISF Workers Join TMC )। বুধবার এই দলের অন্তত শতাধিক নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে । যার জেরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রীতিমতো উৎফুল্ল শাসক শিবির । ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়া ব্লকের বকজুঁড়ি পঞ্চায়েত এলাকার । বিরোধী আইএসএফ থেকে শতাধিক নেতা-কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগদান করায় হাড়োয়া ব্লকের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় শাসকদলের সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
বিশেষ করে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে যখন বাম-কংগ্রেস ঐক্য এককাট্টা হয়ে রাজ্য থেকে শাসকদলকে উৎখাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে । ঠিক তখন জোটের ঐক্যে ফাটল ধরাতে তাঁদেরই সহযোগী আইএসএফ শিবিরকে ধাক্কা দেওয়া নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । তাও আবার এমন একটা সময়ে । যখন সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভার অধিকাংশ সংখ্যালঘু মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তৃণমূলের থেকে । ফলে, সেই অবস্থায় বিরোধী আইএসএফ দলে ভাঙন ধরিয়ে জোর ধাক্কা দিল শাসকদল ।
সূত্রের খবর, আইএসএফ নেতা সাইফুল মণ্ডলের নেতৃত্বে এদিন দলের শতাধিক কর্মী-সমর্থক মিছিল করে এসে পৌঁছায় বকজুঁড়ি তৃণমূল পার্টি অফিসে । সেখানেই তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতে শাসক শিবিরে নাম লেখান তাঁরা । দলত্যাগী সাইফুল মণ্ডল-সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের হাতে এদিন ঘাস ফুলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি ফরিদ জমাদার, ব্লকের যুব সভাপতি খালেক মোল্লা প্রমুখ । এই বিষয়ে দলত্যাগী সাইফুল মণ্ডল জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছেন । তাঁর উন্নয়নে শরিক হতেই এদিন আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা ৷
এদিকে, দলীয় নেতা-কর্মীদের এই দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে চাননি আইএসএফের স্থানীয় নেতৃত্ব । উলটে, এর পিছনে শাসকদলের হুমকি তত্ত্বের অভিযোগ খাড়া করেছেন তারা । যদিও, সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব । পালটা তাঁদের দাবি, কোনও হুমকি নয় ! স্বেচ্ছাতেই সকলে যোগদান করেছে তৃণমূল দলে । আসলে সবাই বুঝতে পেরেছে রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে । সেই কারণে দেরি না করে আইএসএফের নেতা-কর্মীরা নাম লিখিয়েছেন শাসক শিবিরে । এরকম দলত্যাগ জারি থাকবে আগামিদিনেও ।