ব্যারাকপুর, 15 মে : অর্জুন সিং'কে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা বেড়েই চলেছে ৷ দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে আবারও বিস্ফোরক ব্যারাকপুরের সাংসদ । এবার রীতিমতো দলীয় সংগঠন এবং রাজ্য নেতৃত্বের দল পরিচালনার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি (Arjun Singh raises question about WB BJP Leaders efficiency) ।
পদ্মশিবিরের বেসুরো সাংসদ বলেন, ‘‘বিজেপির বুথ লেভেলে কোনও সংগঠন নেই । যা আছে সেটা জল মেশানো । বুথ লেভেলে যতক্ষণ না সংগঠন তৈরি হবে, ততক্ষণ বাংলায় ক্ষমতায় আসা মুশকিল । বুথ স্তরে কোনও কর্মী না থাকলে যতই কেমিস্ট্রি নিয়ে আসুন, কোনও লাভ হবে না । আমি এবং শুভেন্দু অধিকারীর মতো লোকেরা বিশ্বাস করি, আগে বিজেপিকে বুথ স্তরের সংগঠনে জোর দিতে হবে । তাহলেই বিজেপির পক্ষে ক্ষমতায় আসা সম্ভব । বাংলার রাজনীতির সঙ্গে অন্য রাজ্যের রাজনীতি মেলালে চলবে না । কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বাংলাকে বাংলার মতো করেই ভাবতে হবে ।’’
নাম না করে রাজ্য নেতৃত্বকেও একহাত নিয়েছেন তিনি । তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য নেতৃত্ব সংগঠন তৈরি করার বদলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি মনোনিবেশ করছেন । একই ছবি বারবার পোস্ট করা হচ্ছে । দলের যে সমস্ত কর্মী তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে আরও ভয় পেয়ে পাচ্ছেন আক্রান্ত কর্মীরা । এই জিনিস বন্ধ হওয়া দরকার । সাংগঠনিক, যোগ্য কাউকে রাজ্য নেতৃত্বের দায়িত্বে নিয়ে আসা উচিত । তাহলেই এই রাজ্যে বিজেপির বিস্তার সম্ভব । রাজ্য বিজেপিতে দলকে ব্যাকআপ দেওয়ার মতো কোনও নেতা নেই । বিজেপিতে যেটা ভাল চলছে সেটা দলবাজি ।’’
দলের নেতৃত্বর মধ্যের ফাটলকেও দেখিয়েছেন অর্জুন ৷ তাঁর কথায়, ‘‘3 বছরের বেশি সময় ধরে আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত । তারপরও তৃণমূলী তকমা যায়নি । এখনও বিজেপির লোকেরা আমাদের বিশ্বাস করে না । কেন বিশ্বাস করে না, সেটা ওরাই ভাল বলতে পারবে । আমি সবসময় থ্রি-টিয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী । আমাকে চেয়ার দেওয়া হয়েছে, কলম দেওয়া হয়েছে । কিন্তু কালি দেওয়া হয়নি । কালি দেওয়া না হলে, আপনি কাজ করবেন কীভাবে ? ঢাল নেই, তলোয়ার নেই । নিধিরাম সর্দার ।’’
আরও পড়ুন : পীযূষের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠকের পরও সমস্যা সমাধানের অপেক্ষায় অর্জুন
দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করার কথা অর্জুনের । সেই বৈঠকের আগে ভাটপাড়ার বাড়িতে বসে যেভাবে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি, তাতে অন্য গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা । তাহলে কি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পথ প্রশস্ত করার দিকেই হাঁটছেন বিজেপির বেসুরো সাংসদ ? সময়ই এর উত্তর দেবে ।