কলকাতা, 20 নভেম্বর : কিশোর লিয়েন্ডার পেজকে গ্লোবাল আইকন করে তোলার জন্য ভেস পেজের দৌড়ে বেড়ানোর গল্প আজও ময়দানে কান পাতলে শোনা যায়। ছেলেকে টেনিসে সঁপে দিয়েছিলেন অলিম্পিয়ান ভেস পেজ। আগামিতে লিয়েন্ডার কীভাবে তার প্রতিদান দিয়েছিলেন, তা গোটা রাষ্ট্র জানে ৷ সাড়ে তিন দশক বাদে প্য়াডলার অঙ্কুর ভট্টাচার্যের সৌজন্য়ে তেমনই এক গল্পের পুনরাবৃত্তি ৷ এবার বাংলার টেবল টেনিসে। শুক্রবার সকালে যুব বিশ্বকাপ খেলতে পর্তুগাল রওনা হলেন বাংলার টেবিল টেনিসের দুই পরিচিত নাম অঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং শঙ্খদীপ দাস।
রাজ্যস্তরের সেরা প্রতিযোগিতায় শিরোপা দখল একপ্রকার নেশায় পরিণত করে ফেলেছে অঙ্কুর ভট্টাচার্য ৷ মাঝে একটি বছর বাদ দিলে 2015 থেকে চ্যাম্পিয়নের মুকুট শোভা পাচ্ছে তার মাথায় ৷ জাতীয়স্তরেও অবাধ যাতায়াত রাজারহাটের অষ্টমশ্রেণির ছাত্রের ৷ ছাপ ফেলেছে বিদেশের প্রতিযোগিতাতেও ৷ ঝুড়িতে একরাশ সাফল্য নিয়ে রোনাল্ডোর দেশে পাড়ি দিল অলিম্পিক পদকের স্বপ্নে বুঁদ বাংলার এই প্যাডলার ৷
দিল্লিতে ভারতীয় দলের শিবির শেষ করে পর্তুগালের বিমান ধরবে অঙ্কুর। বাংলা থেকে বর্তমান সময়ে বেশ কয়েকজন বাঙালি ছেলে রাজ্য জাতীয় স্তরে ভাল পারফরম্যান্স করার পাশাপাশি দাপিয়ে খেলছে বিদেশের লিগেও । অঙ্কুরের ধারাবাহিক উত্থান হয়তো সেই তালিকায় নতুন যোগদান হবে অচিরেই । তবে আপাতত রাজারহাটের কিশোরের চোখে শুধুই যুব বিশ্বকাপ। চিনের ঝাং জিকের ভক্ত অঙ্কুর ইতিমধ্যে ইয়ুথ ওয়ার্ল্ড ট্যুরে চারটে পদক জিতে নিয়েছে। তার খেলার প্রশংসা করেছেন পিটার কার্লসেন। সুইডেনের কিংবদন্তি প্যাডলারের প্রশংসা পেয়ে উদ্বুদ্ধ অঙ্কুর নিজেও।
আরও পড়ুন : তৃতীয় টি-20’র আগে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি ইডেনে, পরিদর্শনে পুলিশ কমিশনার
"বাবা আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক। ভুলত্রুটি হলে শুধরে দিয়ে সামনে তাকাতে বলেন। বাবা যেভাবে বলেন সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। পড়াশোনা এবং খেলা দু'টো একইসঙ্গে চালাতে আমার কোনও অসুবিধা হয় না। সময় বেঁধে সব কিছু করি আমি ৷" বলছিল অঙ্কুর। আর আগামীর লক্ষ্য় সম্পর্কে বলতে গিয়ে
অঙ্কুর জানায়, আমি অলিম্পিকে পদক জিততে চাই। আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় চিন, ইউরোপের খেলোয়াড়দের হারাচ্ছি, তাহলে কেন পারব না। ওদের সঙ্গে তফাৎ শারীরিক সক্ষমতায়। সেটা মেটানোর জন্য বাড়তি নজর দিচ্ছি। আমি পারবই ৷