বারাসত, 22 মে : আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বারাসতের বিস্তীর্ণ এলাকা । তার মাঝেই বাঁচার পথ খুঁজছেন সহায় সম্বলহীনরা । একদিকে কেউ বাড়ি থেকে অবশিষ্ট জিনিস বের করতে ব্যস্ত অন্যদিকে মাথা গোঁজার ছাদটুকু হারিয়ে কেউ আবার তা ঠিক করতে লেগে পড়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন। তবে সবকিছু ঠিক হতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুমান ।
আমফানের তাণ্ডবে উত্তর 24 পরগনার একাধিক এলাকা বিপর্যস্ত । সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বারাসত 1 ও 2 নম্বর ব্লকে। এই দুই ব্লকেই অন্তত 15-20 হাজার কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । কয়েকশো একর চাষের জমি, মাছ চাষের ভেড়ি জলের তলায় চলে গেছে। ধানের গোলা, খড়ের গাদা ও বাড়িঘর হারিয়ে কার্যত দিশেহারা অনেকে । বাড়িঘর, গাছপালা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি উপড়ে গেছে বহু লাইটপোস্ট। দু'দিন ধরে বারাসতের বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন। মোবাইল নেটওয়ার্কও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে রাস্তা ও এলাকা পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে । বাসিন্দারা নিজেরাও হাত লাগিয়েছেন । পানীয় জলের সমস্যাও দেখা দিয়েছে । ব্লকগুলিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও শহর এলাকায় পৌরসভার তরফে জলের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলেই অভিযোগ করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এবিষয়ে বারাসতের SDO তাপস বিশ্বাস বলেন, "আমফানের পর জনজীবন স্বাভাবিক করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির একটা রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে । তারপরই ক্ষতির পরিমাণের পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাবে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।"