বারুইপুর, 12 জুন : বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেলেন অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত । মাঝ নদীতে তাঁর লঞ্চের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় ৷ খবর পেয়েই তাঁকে উদ্ধার করে বারুইপুর পুলিশ জেলার মইপিট কোস্টাল থানার পুলিশ ।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পাথরপ্রতিমার গঙ্গারামপুরে ত্রাণ সামগ্রী বণ্টনে গিয়েছিলেন টলিউড তারকা যিশু সেনগুপ্ত এবং তাঁর সঙ্গীরা । ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে পাথরপ্রতিমা এবং মইপিট কোস্টাল থানার সীমানার জিরো পয়েন্টের কাছে তাঁদের লঞ্চের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায় ৷ মাঝ নদীতে থমকে যায় তাঁদের লঞ্চ । মাঝ নদী থেকে ভাসতে ভাসতে মইপিট কোস্টাল থানার দিকে, ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে কাছে পৌঁছায় তাঁদের লঞ্চ । সেখানে দিনের আলোতে দ্রুত চলতে থাকে ইঞ্জিন সারানোর কাজ ৷ কিন্তু বহু চেষ্টা করেও লঞ্চের কর্মীরা ইঞ্জিন সারাতে ব্যর্থ হন ৷ অন্যদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা । কেননা কোস্টাল থানার ম্যানগ্রোভ অরণ্যে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং জলে কুমির । বিপদ দু‘দিকেই ৷ যেকোনও মুহূর্তে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ।
এই খবর পায় মইপিট কোস্টাল থানার পুলিশ । খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাব-ইন্সপেক্টর বলরাম মণ্ডল পুলিশের একটি দল নিয়ে যিশুদের উদ্ধার করার জন্য বেরিয়ে পড়ে । পুলিশের দল রাত আটটা নাগাদ পৌঁছে যায় যিশুদের লঞ্চের কাছে । লঞ্চ থেকে অভিনেতা ও তাঁর আট সঙ্গীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে কোস্টাল থানার পুলিশ । সেখান থেকেই গাড়িতে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে ফিরে যান তাঁরা । তবে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে, পুলিশের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন যিশু ।
আরও পড়ুন : Visva-Bharati : অধ্যাপকের সম্মানহানি, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
এতদিন বিষয়টি সবার অগোচরে থাকলেও শনিবার বারুইপুর পুলিশ জেলার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানান । তবে কী কারণে এই গোপনীয়তা তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইনি কেউই ।