মধ্যমগ্রাম , 18 মার্চ : আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হল কয়েক লাখ টাকার জিনিস । ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রামের একটি গেঞ্জি কারখানায় । আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন কারখানার এক কর্মী । তাঁকে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । দমকলের সাতটি ইঞ্জিনের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ।
প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে কোনওভাবে আগুন লাগতে পারে । তবে আগুন লাগার পিছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
মধ্যমগ্রামের গঙ্গানগরের পোস্ট অফিস মোড়ে বিপ্লব প্রসেসিং নামে ওই কারখানায় মূলত গেঞ্জি তৈরি হত । কারখানার দুটি শিফটে প্রায় ৪০ জন কর্মী কাজ করেন । নাইট শিফটে কাজ চলাকালীন বুধবার গভীর রাতে হঠাৎ আগুন লেগে যায় কারখানার প্রসেসিং ইউনিটে । দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে কারখানার অন্যত্র ।
আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে ভয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন কারখানার কর্মীরা । তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে জড়ো হয়ে যান এলাকার লোকজনও । তাঁদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান কর্মীরা । কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় খবর দেওয়া হয় দমকলে । আগুন নেভাতে গিয়ে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের ।
আরও পড়ুন : মিথ্যা কথার গ্যাস বেলুন, নির্বাচনের সময় ক্যাশ বেলুন; বিজেপিকে আক্রমণ মমতার
এদিকে,আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও আতঙ্ক কাটছে না কারখানার কর্মীদের । আনন্দ মণ্ডল নামে কারখানার এক কর্মী বলেন,"নাইট শিফট চলাকালীন আগুন লাগে । প্রথমে আগুন দেখতে পান কারখানার নিরাপত্তারক্ষী । তবে কিভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি । সবাই বাইরে আসলেও একজন আহত হয়েছেন "। প্রায় কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি ।
এই বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী এস কে নাজিম উদ্দিন বলেন, "চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাইরে বেরিয়ে এসে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই । দমকল কর্মীরা যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন । ওনাদের প্রচেষ্টাতেই ভোর চারটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছি আমরা ।"
অন্যদিকে,প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে কোনওভাবে আগুন লাগতে পারে কারখানায়। তবে,আগুন লাগার পিছনে অন্য কারন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।