বাদুড়িয়া, 24 জুলাই : শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংঙ্ক থেকে মিলল নিখোঁজ যুবতীর দেহ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মালা খাতুন (22)। গতকাল বাপের বাড়ি থেকে ফেরার পর আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান ওই যুবতী। সন্দেহ হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ শুরু হলে সেপটিক ট্যাংঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় মালার দেহ ।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, খুন করে দেহ লোপাট করতে মালার দেহ সেপটিক ট্যাংঙ্কে ফেলে দিয়েছে তাঁর স্বামী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার স্বামী লিটুন মণ্ডল। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়ার আটঘরা গ্রামে মালার শ্বশুরবাড়ি। বাপের বাড়িও একই গ্রামে। তাঁর স্বামী লিটুন পেশায় হকার। গতকাল দুপুরে মালা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে সে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ পরই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে লিটুন।
আরও পড়ুন : তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাসন্তী, চলল গুলি; মৃত এক মহিলা
এরপর আচমকাই শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে লিটুন খবর দেয় মালাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তাতে সন্দেহ হয় যুবতীর বাপের বাড়ির লোকজনের। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর কোনও সন্ধান না পাওয়ায় শেষে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান পরিবারের লোকেরা।
ঘরের বিভিন্ন জায়গায় তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয় মালাকে। এরপরই বাড়ির পিছনে সেপটিক ট্যাংঙ্কের ঢাকনা খোলা দেখে সন্দেহ হতেই নিখোঁজ রহস্যের জট খোলে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় মালার দেহ ৷ পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ঘটনার পরই বেগতিক বুঝে এলাকা থেকে চম্পট দেয় লিটুন ৷ ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় আটঘরা গ্রামে। লিটুনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছে মালার পরিবার।
আরও পড়ুন : তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ধুন্ধুমার গোঘাটের শ্যামবাজার
খুন করার পর নিখোঁজের নাটক শুরু করে লিটুন। আর তাতেই সন্দেহ হয় মালার বাপের বাড়ির লোকেদের। খুনের পর যুবতীর নাকে এবং গলায় থাকা সোনার গয়না নিয়ে লিটুন পালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃতার পরিবারের লোকেরা।
খুনের কারণ অনুসন্ধান করছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। সাংসারিক অশান্তি নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।