বারাসত, 27 জুলাই : গত 24 ঘণ্টায় নতুন করে আরও আটজন কোরোনা আক্রান্তের হদিস মিলল উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতে। আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজন উপসর্গহীন হওয়ায় তাঁদের বারাসত স্টেডিয়ামের সেফ হোমে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিদের কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। এছাড়া স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন মেনে আক্রান্তদের পরিবারকে হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পৌরসভার তরফে। আক্রান্তদের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকাও ইতিমধ্যে জীবাণু মুক্ত করতে স্থানীয় পৌরসভা উদ্যোগী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কোরোনা আক্রান্তের গ্রাফ প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে রাজ্যে। সংক্রমণ ঠেকাতে সাপ্তাহিক লকডাউন চালু হলেও তাতে কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না। বরং কোরোনা তার নিজের রেকর্ড প্রতিদিনই ভেঙে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত 24 ঘণ্টায় শুধুমাত্র উত্তর 24 পরগনা জেলাতেই নতুন করে 524 জন সংক্রমিত হয়েছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সদর শহর বারাসতে। ইতিমধ্যে এখানে 220 জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন প্রায় 100 জন। মৃত্যুর সংখ্যা 17। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে সাতদিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড। যা চালু হয়েছে শনিবার থেকে আর চলবে 31 জুলাই পর্যন্ত। তবে,লকডাউনে বাজার, দোকানপাট ছোটো যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও এর আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাসকে । তার ফলে কাজের তাগিদে রাস্তায় বেরতেই হচ্ছে মানুষকে। বাস ধরার জন্য আসতে হচ্ছে চাঁপাডালি মোড়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে। যার জেরে লকডাউন সার্বিকতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, লকডাউনে বাজার, দোকানপাট বন্ধ থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় অনেকটায় কম। এর ফলে সংক্রমণ কমবে বলেই আশা করছে তারা।
বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "34 ও 35 নম্বর জাতীয় সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করার এক্তিয়ার আমাদের নেই। সেই জন্যই লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে এই দুই জাতীয় সড়কে বাস চলাচল। তবে, বাজার ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় ভিড় অনেকটায় সামাল দেওয়া গেছে। অকারণে মানুষ যদি রাস্তায় না বের হন, তাহলে সংক্রমণের গ্রাফ অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে। আমরা আশা করছি সম্পূর্ণ লকডাউনের ফলে সেই সফলতা আসবে। "