স্বরূপনগর, 18 জুন : পাচারের আগেই সীমান্ত থেকে বিরল প্রজাতির পায়রা উদ্ধার করল পুলিশ । শুক্রবার স্বরূপনগরের হাকিমপুর তারালি সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির প্রায় 16টি পায়রা । তবে পুলিশ আসার আগেই গা ঢাকা দেয় পাচারকারীরা । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেই পায়রাগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল সীমান্তবর্তী এলাকায় । কিন্তু পুলিশের কড়া নজরদারিতে সেই উদ্দেশ্য ভেস্তে যায় পাচারকারীদের । ঘটনার পিছনে আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরল প্রজাতির এই পায়রা বিশেষত পঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায় । এই প্রজাতির পায়রা ফ্লাশ নামেও পরিচিত । সাধারণত এই ধরনের পায়রা সোনালি, রূপালি এবং নীল রঙের হয়ে থাকে । 14 ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় । ওজনেও প্রায় সাড়ে তিনশো গ্রাম । এরা সাত থেকে দশ বছর পর্যন্ত বাঁচে । এই পায়রার পালক দিয়ে রংবেরংয়ের বিভিন্ন ধরনের অলংকার তৈরি হয়ে থাকে । যার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বিদেশের বাজারে ।
আরও পড়ুন : কাঁচরাপাড়ায় কিং কোবরার 7 কোটির বিষ বাজেয়াপ্ত, আটক 5
বহুমূল্য এই সমস্ত পায়রা কোনওভাবে নিয়ে আসা হয়েছিল স্বরূপনগরের হাকিমপুর তারালি সীমান্তবর্তী এলাকায় । এদিন সকালে খাঁচাবন্দি অবস্থায় বিরল প্রজাতির এই পায়রা নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন স্বরূপনগর থানায় । পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে ৷ তার আগেই পালিয়ে যায় পাচারকারীরা ৷ পরে পায়রাগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেয় পুলিশ ৷
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । পাচারকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে । উদ্ধার হওয়া পায়রার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা । এদিকে, শারীরিক পরীক্ষার পর পায়রাগুলিকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে বন দফতর সূত্রে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে প্রায় 20টি প্যারট জাতীয় পাখি উদ্ধার করেছিল পুলিশ । তার আগে হাসনাবাদ থেকে বিরল প্রজাতির বেশ কিছু টার্কি, লরিস এবং ম্যাকাও উদ্ধার হয়েছিল । এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বিরল প্রজাতির পায়রাও । সবমিলিয়ে গত 15 দিনে বিরল প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের পাখি এবং প্রাণী উদ্ধার করে সীমান্তে পাচার রুখল পুলিশ ।
আরও পড়ুন : Covid Vaccination : বসিরহাটের যৌনপল্লিতে টিকাকরণ শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর