পুরুলিয়া, 25 জুন : গৃহবধূকে খুন করে দেহ দাহ করে দেওয়ার অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় মৃতার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ৷ পুরুলিয়ার ঝালদার ঘটনায় ধৃত মৃতার স্বামী, শ্বশুড় ও শাশুড়ি ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা ওই বধূর নাম অসীমা মাহাত ৷ বয়স 22 বছর ৷ প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বছর সাতেক আগে ঝালদা থানা এলাকার দঁরদা গ্রামের বাসিন্দা অসীমার বিয়ে হয় মারু গ্রামের দামোদর মাহাতর সঙ্গে ৷ তাঁদের পাঁচ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে ৷
অসীমার বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে শ্বশুবাড়ির লোকজন ৷ তাই নিয়ে ঝামেলা চলছিলই ৷ কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎই অসীমার মৃত্য়ুর খবর পান তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা ৷ অভিযোগ, সেই খবর পাওয়ার আগেই অসীমার দেহ দাহ করে দেওয়া হয় ৷ ঘটনায় সন্দেহ হয় অসীমার বাবা বাসুদেব মাহাতর ৷ গত মঙ্গলবার বাসুদেব পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷
আরও পড়ুন : মাটি খুঁড়ে উদ্ধার সাড়ে চার মাস ধরে নিখোঁজ বৃদ্ধের দেহ
বাসুদেবের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে ৷ খুনের প্রমাণ লোপাট করার জন্য অসীমার দেহ তড়িঘড়ি দাহ করে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেছেন তিনি ৷ এরপরই ঘটনার তদন্ত নামে পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হয় অসীমার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে ৷ শুক্রবার ধৃত তিনজনকেই পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক অসীমার স্বামীকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকি দু’জনকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷ ঘটনার তদন্ত চলছে ৷