ETV Bharat / state

মিড ডে মিলের রান্না করবে কারা? বচসায় লাটে উঠল পড়াশোনা - food

মিড ডে মিলের রান্না কারা করবে তা নিয়ে বিতর্কের জেরে লাটে উঠল পড়াশোনা।

চাতামঘুটু প্রাথমিক বিদ্যালয়
author img

By

Published : Mar 6, 2019, 7:39 PM IST

পুরুলিয়া, ৬ মার্চ: স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না কারা করবে, তা নিয়ে বচসায় জড়াল দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তার জেরে স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে চলল বিক্ষোভ। তালাবন্ধ অবস্থায় স্কুলের ভেতরে আটকে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা। ঘটনাটি পুরুলিয়ার ঝালদা ১ নম্বর চক্রের চাতামঘুটু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। আজ সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলে। লাটে ওঠে স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না ও পড়াশুনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় ঝালদা থানার পুলিশ। পুলিশ এসে আটকে পড়া শিক্ষক শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের উদ্ধার করে। প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে।

এলাকার মা গঙ্গা মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী আরতি মাহাতর অভিযোগ, "এই এলাকায় মোট ১৬ টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। কিন্তু চাতামঘুটু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকেই একটি মাত্র গোষ্ঠী মিড ডে মিল রান্না করে আসছে। এটা বেআইনি।" তাঁদের দাবি, সব গোষ্ঠীকেই রান্না করার সুযোগ দেওয়া দরকার। প্রতিটি গোষ্ঠী ১ মাস করে রান্না করবে। তাতে প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের আয় হবে। এই দাবি তুলে মা গঙ্গা মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা আজ সকাল ১০টা থেকেই স্কুলে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় মিড ডে মিল রান্না। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকে রাখা হয় শ্রেণিকক্ষের ভেতরে।

undefined

অন্যদিকে চাতামঘুটু উন্নয়ন সমিতির স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর সদস্যা আদরি মাহাত বলেন, "বিগত ২০০৪ সাল থেকে মাত্র ৪০০ টাকা বেতনে আমরা মিড ডে মিল রান্না করে আসছি। এতদিন ওরা কোথায় ছিল? আজ যখন স্কুলের রাঁধুনিদের একটু বেতন বেড়েছে অমনি দল বেঁধে এসেছেন সকলে। এটা আমরা হতে দেব না। রান্না আমরাই করব।"

দুই গোষ্ঠীর এই বিতর্কের জেরে স্বভাবতই লাটে ওঠে পড়াশোনা। এই বিষয়ে স্কুলের শিক্ষিকা মধুমিতা মাহাত বলেন, "দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে আমরাও খুব আতঙ্কে রয়েছি। স্কুলে পড়াশুনা, শিশুদের খাওয়া-দাওয়া সব বন্ধ হয়ে গেছে। ওদের জন্য ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রান্নার সমস্যা মেটাতে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা দিতে BDO, শিক্ষাদপ্তর ও ঝালদা থানায় লিখিত ভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। এবার তাঁরা যা ব্যবস্থা নেবেন তাই হবে।" ঘটনাস্থানে পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পুরুলিয়া, ৬ মার্চ: স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না কারা করবে, তা নিয়ে বচসায় জড়াল দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তার জেরে স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে চলল বিক্ষোভ। তালাবন্ধ অবস্থায় স্কুলের ভেতরে আটকে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা। ঘটনাটি পুরুলিয়ার ঝালদা ১ নম্বর চক্রের চাতামঘুটু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। আজ সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলে। লাটে ওঠে স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না ও পড়াশুনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় ঝালদা থানার পুলিশ। পুলিশ এসে আটকে পড়া শিক্ষক শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের উদ্ধার করে। প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে।

এলাকার মা গঙ্গা মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী আরতি মাহাতর অভিযোগ, "এই এলাকায় মোট ১৬ টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। কিন্তু চাতামঘুটু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকেই একটি মাত্র গোষ্ঠী মিড ডে মিল রান্না করে আসছে। এটা বেআইনি।" তাঁদের দাবি, সব গোষ্ঠীকেই রান্না করার সুযোগ দেওয়া দরকার। প্রতিটি গোষ্ঠী ১ মাস করে রান্না করবে। তাতে প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের আয় হবে। এই দাবি তুলে মা গঙ্গা মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা আজ সকাল ১০টা থেকেই স্কুলে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় মিড ডে মিল রান্না। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকে রাখা হয় শ্রেণিকক্ষের ভেতরে।

undefined

অন্যদিকে চাতামঘুটু উন্নয়ন সমিতির স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর সদস্যা আদরি মাহাত বলেন, "বিগত ২০০৪ সাল থেকে মাত্র ৪০০ টাকা বেতনে আমরা মিড ডে মিল রান্না করে আসছি। এতদিন ওরা কোথায় ছিল? আজ যখন স্কুলের রাঁধুনিদের একটু বেতন বেড়েছে অমনি দল বেঁধে এসেছেন সকলে। এটা আমরা হতে দেব না। রান্না আমরাই করব।"

দুই গোষ্ঠীর এই বিতর্কের জেরে স্বভাবতই লাটে ওঠে পড়াশোনা। এই বিষয়ে স্কুলের শিক্ষিকা মধুমিতা মাহাত বলেন, "দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে আমরাও খুব আতঙ্কে রয়েছি। স্কুলে পড়াশুনা, শিশুদের খাওয়া-দাওয়া সব বন্ধ হয়ে গেছে। ওদের জন্য ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রান্নার সমস্যা মেটাতে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা দিতে BDO, শিক্ষাদপ্তর ও ঝালদা থানায় লিখিত ভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। এবার তাঁরা যা ব্যবস্থা নেবেন তাই হবে।" ঘটনাস্থানে পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Intro:পুরুলিয়া : পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকের বড়গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধানকে নিয়ে বোর্ড গড়ল বিজেপি। ইতিমধ্যে এই রসায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে জনমানসে। তেলে জলে মিশবে কি না তা বুঝে উঠতে পারছেন না পদ্মফুল ও ঘাসফুলের কট্টর সমর্থকরাও। যদিও এই অবস্থার জন্য বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘সংরক্ষণের গেরোয় পড়ে এই এমনটা হয়েছে। আদতে ওই পঞ্চায়েতের কর্তৃত্ব আমাদেরই রয়েছে।’ এই পরিস্থিতি অবশ্য পঞ্চায়েতে উন্নয়নের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা জেলা বিজেপির। সেই ক্ষেত্রে বিজেপি জেলা সভাপতি বলেন, ‘উন্নয়নে তৃণমূল বাধা দিলে তা আমরা জনসমক্ষে তুলে ধরব।’Body:এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো বলেন, ‘উন্নয়নকে হাতিয়ার করে আমরা ওই এলাকায় এগিয়ে যাব। তৃণমূল উন্নয়নে বাধা দেয় না, উন্নয়ন করে। বিজেপির অপপ্রচার টিকবে না আর।’ বড়গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হন তৃণমূলের যুধিষ্ঠীর কালিন্দী। উপপ্রধান হয়েছেন বিজেপির সঞ্জিত চ্যাটার্জি। যদিও ওই বোর্ডে মোট নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বিজেপির( মোট ১২ টি আসনের মধ্যে ৯ জন বিজেপির সদস্য এবং তৃণমূলের ৩ জন)। একইভাবে পাড়া পঞ্চায়েতে প্রধান সিপিএমের, সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েও বিজেপির পক্ষ উপপ্রধান হয়েছেন।Conclusion:বুধবার, প্রশাসনিক সব রকম প্রস্তুতির মধ্যে জেলার দ্বিতীয় দফার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নির্বিঘ্নেই হল। এমনটা দাবি করে জেলাশাসক অলকেশ প্রসাদ বলেন, ‘এদিন কোনও উত্তেজনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় নি। আগামী দিন গুলিতেও পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নির্বিঘ্নেই হবে।’ জেলার ১৭০ গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে আগেই ১২৯ টিতে বোর্ড গঠন হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪১ টি পঞ্চায়েতে বুধবার থেকে তিন দিন ধরে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলবে। এদিন ১৯ টির মধ্যে ৯ টি বিজেপি, বাকি ১০ টি তৃণমূল ও কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.