ETV Bharat / state

Purulia Domestic Violence: পুরুলিয়ায় গার্হস্থ্য হিংসা, পণ চেয়ে ও সন্তান না-হওয়ার কারণে দুই বধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

একই দিনে পুরুলিয়া জেলায় দুই বধূ নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে (Purulia Domestic Violence)৷ একটি ঘটনা পণ না-দিতে পারায় হত্যার চেষ্টা, অন্যটি সন্তান না হওয়ায় বধূকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হল ৷

Etv Bharat
পণ না দেওয়া ও সন্তান না হওয়ার কারণে পুরুলিয়ায় দুই বধূকে নির্যাতনের অভিযোগ
author img

By

Published : Oct 30, 2022, 10:58 PM IST

পুরুলিয়া, 30 অক্টোবর: একইদিনে দুই বধূকে দু'টি ভিন্ন কারণে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ায়(Two Cases of Domestic Violence in Purulia)৷ একদিকে অতিরিক্ত পণ চেয়ে না-পাওয়ায় আর অন্যদিকে সন্তান না-হওয়ার কারণে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ ৷

প্রথম ঘটনাটি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের ৷ এলাকার বাসিন্দা শঙ্খদীপ দাসের সঙ্গে বার্নপুরের হিরাপুর থানা এলাকার ইন্দিরা দাসের বিয়ে হয় 2009 সালে । কিন্তু বিয়ের 6 মাস পর ব্যবসার কাজে লাগবে বলে 2 লক্ষ টাকা আনতে গৃহবধূর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ ৷ সেই টাকা না-দিতে পারায় বধূর উপর নির্যাতনের মাত্রা ক্রমশ বেড়ে যায় ৷ এরপর 25 অক্টোবর রাতে স্বামী ও পিসি শাশুড়ি পরিকল্পনা করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে ইন্দিরাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন ৷ কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচার পরই অভিযুক্তদের নামে রঘুনাথপুর মহিলা থানায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেন ৷

অন্যদিকে, 6 বছর আগে পুরুলিয়ার আড়ষা থানা এলাকার পুয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা ছায়া রুইদাসের সঙ্গে বলরামপুরের রাঙাডি এলাকার বাসিন্দা স্বপন রুইদাসের বিয়ে হয় ৷ বিয়ের সময় নগদ দু'লক্ষ টাকা পণ ছাড়াও টিভি, আলমারি, খাট-সহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হলেও বিয়ের এক বছর পর থেকে আরও 50 হাজার টাকা পণ চেয়ে ওই বধূর উপর চাপ সৃষ্টি করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন । এরপর সন্তান না-হওয়ায় সেই অত্যাচার দ্বিগুণ হয়ে যায় বলে জানান নির্যাতিতা বধূ ৷ গত 6 অক্টোবর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওর মারধর করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি । ঘটনায় অভিযুক্তদের নামে পুরুলিয়া সদর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা ।

আরও পড়ুন : আদায় হয়নি পণের টাকা, স্ত্রী'র গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী

পুরুলিয়া, 30 অক্টোবর: একইদিনে দুই বধূকে দু'টি ভিন্ন কারণে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ায়(Two Cases of Domestic Violence in Purulia)৷ একদিকে অতিরিক্ত পণ চেয়ে না-পাওয়ায় আর অন্যদিকে সন্তান না-হওয়ার কারণে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ ৷

প্রথম ঘটনাটি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের ৷ এলাকার বাসিন্দা শঙ্খদীপ দাসের সঙ্গে বার্নপুরের হিরাপুর থানা এলাকার ইন্দিরা দাসের বিয়ে হয় 2009 সালে । কিন্তু বিয়ের 6 মাস পর ব্যবসার কাজে লাগবে বলে 2 লক্ষ টাকা আনতে গৃহবধূর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ ৷ সেই টাকা না-দিতে পারায় বধূর উপর নির্যাতনের মাত্রা ক্রমশ বেড়ে যায় ৷ এরপর 25 অক্টোবর রাতে স্বামী ও পিসি শাশুড়ি পরিকল্পনা করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে ইন্দিরাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন ৷ কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচার পরই অভিযুক্তদের নামে রঘুনাথপুর মহিলা থানায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেন ৷

অন্যদিকে, 6 বছর আগে পুরুলিয়ার আড়ষা থানা এলাকার পুয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা ছায়া রুইদাসের সঙ্গে বলরামপুরের রাঙাডি এলাকার বাসিন্দা স্বপন রুইদাসের বিয়ে হয় ৷ বিয়ের সময় নগদ দু'লক্ষ টাকা পণ ছাড়াও টিভি, আলমারি, খাট-সহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হলেও বিয়ের এক বছর পর থেকে আরও 50 হাজার টাকা পণ চেয়ে ওই বধূর উপর চাপ সৃষ্টি করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন । এরপর সন্তান না-হওয়ায় সেই অত্যাচার দ্বিগুণ হয়ে যায় বলে জানান নির্যাতিতা বধূ ৷ গত 6 অক্টোবর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওর মারধর করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি । ঘটনায় অভিযুক্তদের নামে পুরুলিয়া সদর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা ।

আরও পড়ুন : আদায় হয়নি পণের টাকা, স্ত্রী'র গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.