ETV Bharat / state

লকডাউনে নেই যাত্রী, সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন রিকশা চালকরা

লকডাউনের মধ্যে নেই রোজগার । সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন রিকশা চালকরা । ভিড় এড়াতে পুলিশ, প্রশাসন শহরের রাস্তায় ঢুকতে দিচ্ছে না তাঁদের ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 20, 2020, 1:33 PM IST

পুরুলিয়া, 20 এপ্রিল : লকডাউনের মধ্যে নেই রোজগার । সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন রিকশা চালকরা । ভিড় এড়াতে পুলিশ, প্রশাসন শহরের রাস্তায় ঢুকতে দিচ্ছে না তাঁদের । তাই শহরের বাইরে রাস্তায় চড়া রোদ উপেক্ষা করেই রোজগারের আশায় দাঁড়িয়ে থাকছে কয়েকটি রিকশা। বাড়ি থেকে আনা মুড়ি, চিঁড়ে, জল খেয়ে দিন পার করছেন রিকশা চালকরা ।

লকডাউনের এই সময়ে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন না সাধারণ মানুষ । দু'-একজন প্যাসেঞ্জার জুটলেও রোজগার হচ্ছে অল্প । কোনওদিন 50 টাকা, কোনওদিন 70 টাকা করে হচ্ছে রোজগার । আর তা দিয়ে সংসার চালানো মুশকিল । রাজ্য সরকারের দেওয়া রেশনেও মাস চলছে না । কখনও কখনও শহরের কোনও NGO বা কোনও সহৃদয় ব্যক্তি কিছু খাবার দিয়ে গেলে তাতে হয়ত সামান্য সাহায্য হচ্ছে এইসব রিকশা চালকের পরিবারের ।


পুরুলিয়া শহরের রিকশা চালক নিমাই বাউরি, গোপাল মাহালিরা জানান, বর্তমানে লকডাউনে পুলিশ শহর এলাকায় রিকশা নিয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না । শহরের বাইরে বসে থাকতে হচ্ছে । এদিকে লকডাউনে মানুষ বাইরে বেরোচ্ছেন না । বেরোলেও সাইকেল বা বাইকে করে বাজার করছেন । তাই এই মুহূর্তে রোজগার নেই বললেই চলে । প্রতিদিন 50 টাকা, 70 টাকা করে রোজগার হচ্ছে । তা দিয়ে তো সংসার চলে না । বাড়িতে জমানো টাকাও শেষ এতদিনে । তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির মহিলারা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছেন । এইসব মিলিয়ে কোনও রকমে চলছে সংসার । সাধারণ দিনে রোজ প্রায় 200-250 টাকা রোজগার হয়ে থাকে । এখন উপায় নেই । তাই সংসার পালনে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা ।



পুরুলিয়া শহরে প্রতিদিন প্রায় 1200 রিকশা চলাচল করে । সেই জায়গায় বর্তমানে শহরে হাতেগোনা কয়েকটি রিকশা নজরে আসছে । বাকিরা লকডাউনের জন্য এই মুহূর্তে প্যাসেঞ্জারের অভাবে কেউ মুটেগিরি করছেন, কেউ আবার অন্যের বাড়িতে কাজ করে আয় করছেন ।


পুরুলিয়া, 20 এপ্রিল : লকডাউনের মধ্যে নেই রোজগার । সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন রিকশা চালকরা । ভিড় এড়াতে পুলিশ, প্রশাসন শহরের রাস্তায় ঢুকতে দিচ্ছে না তাঁদের । তাই শহরের বাইরে রাস্তায় চড়া রোদ উপেক্ষা করেই রোজগারের আশায় দাঁড়িয়ে থাকছে কয়েকটি রিকশা। বাড়ি থেকে আনা মুড়ি, চিঁড়ে, জল খেয়ে দিন পার করছেন রিকশা চালকরা ।

লকডাউনের এই সময়ে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন না সাধারণ মানুষ । দু'-একজন প্যাসেঞ্জার জুটলেও রোজগার হচ্ছে অল্প । কোনওদিন 50 টাকা, কোনওদিন 70 টাকা করে হচ্ছে রোজগার । আর তা দিয়ে সংসার চালানো মুশকিল । রাজ্য সরকারের দেওয়া রেশনেও মাস চলছে না । কখনও কখনও শহরের কোনও NGO বা কোনও সহৃদয় ব্যক্তি কিছু খাবার দিয়ে গেলে তাতে হয়ত সামান্য সাহায্য হচ্ছে এইসব রিকশা চালকের পরিবারের ।


পুরুলিয়া শহরের রিকশা চালক নিমাই বাউরি, গোপাল মাহালিরা জানান, বর্তমানে লকডাউনে পুলিশ শহর এলাকায় রিকশা নিয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না । শহরের বাইরে বসে থাকতে হচ্ছে । এদিকে লকডাউনে মানুষ বাইরে বেরোচ্ছেন না । বেরোলেও সাইকেল বা বাইকে করে বাজার করছেন । তাই এই মুহূর্তে রোজগার নেই বললেই চলে । প্রতিদিন 50 টাকা, 70 টাকা করে রোজগার হচ্ছে । তা দিয়ে তো সংসার চলে না । বাড়িতে জমানো টাকাও শেষ এতদিনে । তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির মহিলারা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছেন । এইসব মিলিয়ে কোনও রকমে চলছে সংসার । সাধারণ দিনে রোজ প্রায় 200-250 টাকা রোজগার হয়ে থাকে । এখন উপায় নেই । তাই সংসার পালনে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা ।



পুরুলিয়া শহরে প্রতিদিন প্রায় 1200 রিকশা চলাচল করে । সেই জায়গায় বর্তমানে শহরে হাতেগোনা কয়েকটি রিকশা নজরে আসছে । বাকিরা লকডাউনের জন্য এই মুহূর্তে প্যাসেঞ্জারের অভাবে কেউ মুটেগিরি করছেন, কেউ আবার অন্যের বাড়িতে কাজ করে আয় করছেন ।


ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.