পুরুলিয়া, 4 অগস্ট: ফুঁসড়াটার গ্রাম ৷ এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই দিনমজুর ৷ কিন্তু তাঁরাও জানেন শিক্ষার গুরুত্ব ৷ তাই তো পাঠাশালা তৈরির জন্য 3 কাঠা জমি দিয়েছেন গ্রামেরই বাসিন্দা সূর্যকান্ত বাস্কে ৷ এই জমিতেই তৈরি হয়েছে পাঠাশালার ছাউনি (One Rupee School for Needy Students in Purulia) ৷ খোলা আকাশের নীচে বসে আকাশ ও মাটির গন্ধ নিয়ে প্রকৃতি কোলে শিক্ষার পাঠ নিচ্ছে পড়ুয়ারা ৷
এলাকার বেশ কয়েকজন যুবকের উদ্যোগে ছাউনি দিয়ে চলছে এই পাঠশালা । সাধারণ ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের জীবনে শিক্ষার আলো আনতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন এই পাঠশালার উদ্যোক্তা ও এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার সঞ্জীব কাঞ্জিলাল । তিনি বলেন, "এই এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস ৷ অনেক সময় অর্থের অভাবে পিছিয়ে পড়ে এলাকার শিশুরা ৷ 'নুন আনতে পান্তা ফুরোয়' যে সকল পরিবারে তাদের কাছে পড়াশোনা বিলাসিতার সমান ৷ তবুও আশার প্রদীপ জ্বলে এই পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ৷ এই সকল পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষার স্রোতে ফিরিয়ে আনতে আমাদের এই এক টাকার পাঠশালা।"
আরও পড়ুন: ফারুক আলির 'অঙ্কুর পাঠশালা'য় শিক্ষাচেতনায় অঙ্কুরিত স্কুল ছুটরা
স্থানীয় পার্বতী বাস্কে, সুস্মিতা বাস্কেরাও এগিয়ে এসেছেন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে ৷ পারিশ্রমিক ছাড়াই এই পাঠশালায় পাঠদান করছেন তাঁরা । পাশিপাশি গ্রামেরই বাসিবন্দা নন্দদুলাল হাঁসদা, নরেন বাস্কেরাও সহায্য করেছেন এক টাকার পাঠশালার ছাউনি তৈরি করতে । স্বেচ্ছাসেবক সুস্মিতা বাস্কে বলেন, ''এই ছোট ছোট ছেলেমেয়ে গুলো এগিয়ে যাক এটুকুই চাই, তাই পারিশ্রমিক না-মিললেও এই কাজ করতে ভালোই লাগে।"