পুরুলিয়া, 6 এপ্রিল: তাদের সম্প্রদায়কে তপশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে বুধবার থেকে রেল রোকো আন্দোলনে নেমেছে আদিবাসী কুড়মি সমাজ । এবার সেই আন্দোলনকে আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিক্ষোভকারীরা ৷ পুরুলিয়ার পাশাপাশি ওই একই দাবিতে অন্যান্য জায়গাও রেল রোকো কর্মসূচি করার কথা এদিন জানানো হয়েছে কুড়মি সমাজের তরফে ৷ 5 এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কুড়মি সমাজের রেল রোকো আন্দোলন ৷ আজ বৃহস্পতিবারও তা অব্যাহত ৷ এদিন পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনে চলছে অবরোধ ।
তবে শুধু তপশিলি উপজাতি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা নয়, আরও বেশ কিছু দাবি-দাওয়াকে সামনে রেখেই তাদের এই আন্দোলন । বারংবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও তাদের এই দাবিগুলিকে মেনে নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ কুড়মি সমাজের । এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মুখ্য উপদেষ্টা অজিতপ্রসাদ মাহাতো এর আগেই জানিয়েছিলেন, বুধবার বিকেল পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি তাদের সঙ্গে কথা বলা না হয় ৷ তবে তারা আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করবেন । কিন্তু তাদের এই হুঁশিয়ারিকে প্রশাসন অগ্রাহ্য করেছে বলে অভিযোগ । ফলে তারা এই আন্দোলনকে আরও জোরাল করতে চলেছে ৷
আরও পড়ুন: 'সরকার প্রতিশ্রুতি রাখেনি', তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনে কুড়মি সমাজ
এদিন অজিত প্রসাদ মাহাত জানান, আদিবাসী কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে অন্যান্য রেলস্টেশন-সহ ব্লক স্তরে বিভিন্ন জায়গায় ও রাজ্য সড়ক, জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তাদের আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাওয়া হবে । এদিন তিনি বলেন, "আমাদের কথা দেওয়ার পরও রাজ্য সরকার সেই কথা রাখেনি । প্রশাসন যদি আমাদের দাবি পূরণ করার কথা না ভাবে তাহলে গোটা জঙ্গলমহল আমরা স্তব্ধ করে দেব । জায়গায় জায়গায় কুড়মি সমাজের লোকেরা রেল অবরোধ করবে । কোট শিলা, কাঁসাই ব্রিজ, লালপুর সব জায়গায় অবরোধ হবে । পথে যখন আমরা নেমেছি তখন দাবি আদায় করেই ছাড়ব ।"
কুড়মিদের রেল রোকো কর্মসূচি প্রথম নয়, এর আগেও একই দাবিতে তাদের পথে নামতে দেখা গিয়েছে ৷ রেল অবরোধ করেছে তারা ৷ আর যার প্রভাব গিয়ে পড়ে পুরুলিয়া-আদ্রা শাখার চ্রেন চলাচলে ৷ আদিবাসী সম্প্রদায়ের আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা ৷ এবারও তাদের বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয়েছে বেশ কিছু ট্রেন ৷ বদল হয়েছে অনেক ট্রেনের যাত্রাপথ ৷ ফলে এর প্রভাব পড়ছে বাঁকুড়া-সহ অন্যান্য স্টেশনে ৷ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের ৷