পুরুলিয়া, 20 সেপ্টেম্বর: দেবীপক্ষ শুরু হতে এখনও বাকি বেশ কয়েকদিন ৷ তার আগেই পুরুলিয়ার কাশীপুরে পঞ্চকোট রাজবাড়িতে রবিবার শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো(Purulia Famous Durga Puja)। 16 দিন ধরে দেবী পূজিতা হন এখানে(Kashipur Panchkot Rajbari 16 days Durga Puja)।
এই বিষয়ে রাজ পরিবারের তরফে সোমেশ্বর লাল সিং দেও বলেন, "জিতাষ্টমীর পরের দিন অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি থেকে এখানে পুজো শুরু হয় । দেবী দুর্গা এখানে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন । চতুর্ভুজা অষ্টধাতুর মূর্তির সামনে ঘট স্থাপন করে পুজো করা হয় ।"
জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় দু'হাজার বছর আগে দামোদর শেখর সিং দেও চাকলা পঞ্চকোট রাজত্ব স্থাপন করেন । সেই দিন থেকে তিনি এই দুর্গাপূজার শুরু করেন । দামোদর শেখরের নাম অনুযায়ী অধিষ্ঠাত্রী দেবী শেখর বাসিনী হিসেবে পূজিতা হয়ে আসছেন । বিরাচারী তন্ত্র মতে এখানে দেবীর পুজো হয় । রয়েছে বলি প্রথা ।
আরও পড়ুন : দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রাম মল্লদেব রাজপরিবারের শুরু দুর্গাপুজো
কথিত আছে, রামচন্দ্র দেবী দুর্গার অকালবোধন করেন । তিনি যেমন ক্ষত্রিয় ছিলেন তেমনি পঞ্চকোটরাজরা যেহেতু ক্ষত্রিয় তাই তাঁরাও ওই মতেই পুজো করেন 16 দিন ধরে ৷ পঞ্চকোট রাজের রাজ্য যেখানে যেখানে স্থানান্তরিত হয়েছে সেখানে সেখানে এই পুজোও স্থানান্তরিত হয়েছে ৷ বল্লাল সেনের ইষ্টদেবী ছিলেন শ্যামারূপা । বল্লাল সেনের মেয়ে সাধনার বিয়ে হয় পঞ্চকোট রাজ কল্যাণ শেখর সিং দেও এর সঙ্গে । বিয়ের সময় সাধনায় তাঁর বাবার কাছে ইষ্টদেবীকে চেয়ে নেন তিনি । সেই দেবীই পরবর্তীতে কল্যাণ শেখর সিং দেও এর নামানুসারে দেবী কল্যাণেশ্বরী নামে পরিচিত হন । তিনিই রাজরাজেশ্বরী হিসেবে পুজো নিতে আসেন এবং প্রমাণ স্বরূপ রেখে যান সিঁদুরের পদচিহ্ন । রাজবাড়ির সদস্যদের কথায়, অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি আজও সেই পদচিহ্নের দেখা মিলে রাজরাজেশ্বরী দেবীর পুজোয় ।
আরও পড়ুন : রামমোহন-বিদ্যাসাগর-উত্তম কুমারের স্মৃতি নিয়ে 223 বছরে রায় জমিদারবাড়ির পুজো