ETV Bharat / state

পাসপোর্ট-কাণ্ডে ধৃত মোক্তারের বাড়ি থেকে উদ্ধার গ্রাহক তালিকা, বাংলাদেশে গিয়ে চলত কারবার ! - FAKE PASSPORT

গ্রাহক তালিকায় থাকা সকলেই বাংলাদেশি, তদন্তে ধারণা আধিকারিকদের ৷ কোথায় তাঁরা, মুখ খুলছেন না ধৃত মোক্তার ৷

FAKE PASSPORT
পাসপোর্ট-কাণ্ডে ধৃত মোক্তারের বাড়ি থেকে উদ্ধার গ্রাহক তালিকা ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 17 hours ago

কলকাতা, 8 জানুয়ারি: জাল পাসপোর্ট-কাণ্ডে ধৃত মোক্তার আলমকে জেরা করে নতুন তথ্য এল লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে ৷ জানা গিয়েছে, মোক্তারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রাহক তালিকা পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ আর সেই তালিকায় থাকা নামের ব্যক্তিদের হাতে জাল ভারতীয় পাসপোর্ট তুলে দিয়েছিলেন চক্রের অন্যতম মাথা ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়ন্দাবিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ইটিভি ভারতকে জানান, "ওই কাস্টোমার লিস্ট নামে একটি খাতা থেকে যে সব নাম আমরা পেয়েছি, তা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি ৷ কিন্তু, তাঁরা এখন কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না মোক্তার ৷ আমরা সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছি ৷"

তবে, শুধু মোক্তার নয় ৷ এই জাল পাসপোর্ট-কাণ্ডে লালবাজারের হাতে ধরা পড়েছেন চক্রের পান্ডা মনোজ গুপ্তা, সমরেশ বিশ্বাস, আবদুল হাই–সহ বেশ কয়েকজন ৷ তদন্তে নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, মোক্তার আগে একটি সংস্থায় চাকরি করতেন ৷ পরে তিনি নিজের একটি সংস্থা তৈরি করেন ৷

সেই সুবাদে 2017 সাল থেকে মোক্তার আলম একাধিকবার বিভিন্ন কাজের অছিলায় বাংলাদেশে যান ৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, সেই সময় মোক্তার বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানির কারবার খুলেছিলেন ৷ তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বাংলাদেশে গিয়ে মোক্তার তাঁর সেখানকার সহযোগীদের মারফত জানার চেষ্টা করতেন কারা-কারা ভারতে এসে সহজে ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে বিদেশে স্থায়ী হতে চান ৷ তারপর একাধিক হাত ঘুরে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে সেই সব লোকজনকে জাল পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হত ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, এই জাল পাসপোর্টের কারবার রমরমিয়ে চলতে থাকে ৷ এই সময় পুলিশি নজরদারি থেকে বাঁচতে অশোকনগরের বাসিন্দা তথা সাব-ইনস্পেকটর আবদুল হাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মোক্তার এবং মনোজ ৷ পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকা আবদুল হাই তাঁদের সঙ্গে হাত মেলান ৷ আর তাঁর মাধ্যমেই জাল পাসপোর্টের নথি ভেরিফাই করাতেন মোক্তাররা ৷

এখানেই শেষ নয় ৷ অন্যান্য আইনি জটিলতা থেকে বাঁচতে এবং রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিস বা আরপিও-র ঝামেলা এড়াতে, পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মী তারকনাথ সেনকে নিজেদের চক্রে সামিল করেন মোক্তার আলম এবং মনোজ গুপ্তা ৷ আর এভাবেই পুলিশ ও পাসপোর্ট বিভাগের নজরদারি এড়িয়ে জাল পাসপোর্ট চক্র রমরমিয়ে চলছিল ৷

তা সত্ত্বেও, কোনওরকম ঝুঁকি না-নিয়ে বেহালা সখেরবাজার এলাকায় একটি বহুতলে পর্যটন সংস্থার অফিস খুলে বসেন মনোজ গুপ্তা ৷ আর সেই পর্যটন সংস্থার আড়াল থেকে এই চক্র চালানো হত, যাতে সহজে পুলিশের নজরে তাঁরা না-আসতে পারেন ৷ তবে, মনোজ গুপ্তা এবং মোক্তার আলম গ্রেফতার হলেও, এই চক্রে আরও অনেকে রয়েছেন বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ ৷ তাই তাঁদের ধরতে তথ্যের খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা ৷

কলকাতা, 8 জানুয়ারি: জাল পাসপোর্ট-কাণ্ডে ধৃত মোক্তার আলমকে জেরা করে নতুন তথ্য এল লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে ৷ জানা গিয়েছে, মোক্তারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রাহক তালিকা পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ আর সেই তালিকায় থাকা নামের ব্যক্তিদের হাতে জাল ভারতীয় পাসপোর্ট তুলে দিয়েছিলেন চক্রের অন্যতম মাথা ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়ন্দাবিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ইটিভি ভারতকে জানান, "ওই কাস্টোমার লিস্ট নামে একটি খাতা থেকে যে সব নাম আমরা পেয়েছি, তা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি ৷ কিন্তু, তাঁরা এখন কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না মোক্তার ৷ আমরা সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছি ৷"

তবে, শুধু মোক্তার নয় ৷ এই জাল পাসপোর্ট-কাণ্ডে লালবাজারের হাতে ধরা পড়েছেন চক্রের পান্ডা মনোজ গুপ্তা, সমরেশ বিশ্বাস, আবদুল হাই–সহ বেশ কয়েকজন ৷ তদন্তে নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, মোক্তার আগে একটি সংস্থায় চাকরি করতেন ৷ পরে তিনি নিজের একটি সংস্থা তৈরি করেন ৷

সেই সুবাদে 2017 সাল থেকে মোক্তার আলম একাধিকবার বিভিন্ন কাজের অছিলায় বাংলাদেশে যান ৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, সেই সময় মোক্তার বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানির কারবার খুলেছিলেন ৷ তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বাংলাদেশে গিয়ে মোক্তার তাঁর সেখানকার সহযোগীদের মারফত জানার চেষ্টা করতেন কারা-কারা ভারতে এসে সহজে ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে বিদেশে স্থায়ী হতে চান ৷ তারপর একাধিক হাত ঘুরে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে সেই সব লোকজনকে জাল পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হত ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, এই জাল পাসপোর্টের কারবার রমরমিয়ে চলতে থাকে ৷ এই সময় পুলিশি নজরদারি থেকে বাঁচতে অশোকনগরের বাসিন্দা তথা সাব-ইনস্পেকটর আবদুল হাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মোক্তার এবং মনোজ ৷ পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকা আবদুল হাই তাঁদের সঙ্গে হাত মেলান ৷ আর তাঁর মাধ্যমেই জাল পাসপোর্টের নথি ভেরিফাই করাতেন মোক্তাররা ৷

এখানেই শেষ নয় ৷ অন্যান্য আইনি জটিলতা থেকে বাঁচতে এবং রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিস বা আরপিও-র ঝামেলা এড়াতে, পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মী তারকনাথ সেনকে নিজেদের চক্রে সামিল করেন মোক্তার আলম এবং মনোজ গুপ্তা ৷ আর এভাবেই পুলিশ ও পাসপোর্ট বিভাগের নজরদারি এড়িয়ে জাল পাসপোর্ট চক্র রমরমিয়ে চলছিল ৷

তা সত্ত্বেও, কোনওরকম ঝুঁকি না-নিয়ে বেহালা সখেরবাজার এলাকায় একটি বহুতলে পর্যটন সংস্থার অফিস খুলে বসেন মনোজ গুপ্তা ৷ আর সেই পর্যটন সংস্থার আড়াল থেকে এই চক্র চালানো হত, যাতে সহজে পুলিশের নজরে তাঁরা না-আসতে পারেন ৷ তবে, মনোজ গুপ্তা এবং মোক্তার আলম গ্রেফতার হলেও, এই চক্রে আরও অনেকে রয়েছেন বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ ৷ তাই তাঁদের ধরতে তথ্যের খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.