পুরুলিয়া, 2 জানুয়ারি : মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে পুরুলিয়াকে নির্মল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চায় জেলা প্রশাসন (Purulia Mission Nirmal Bangla) ৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনিক মহলে খবর আসছিল, সরকারিভাবে বিনামূল্যে তৈরি হওয়া শৌচাগার শৌচ কাজে ব্যবহার না করে সাধারণ মানুষ তাতে জ্বালানি কাঠ, কয়লা, ঘুঁটে ইত্যাদি জমা করে রাখছেন ৷ যার ফলে প্রশাসনের তরফে সচেতনতায় জোর দেওয়া হয় ৷
তাই এবার সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের উদ্যোগে পথে নামল কন্যাশ্রী মেয়েরা ৷ কীভাবে তারা এই সচেতনতার কাজ করবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া জেলা পরিষদে একটি অনুষ্ঠান হয়েছে ৷ সেখানে জেলার 20টি ব্লক থেকে একজন করে কন্যাশ্রী-সহ উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, অতিরিক্ত জেলাশাসক জেলা (পরিষদ) কৃত্তিকা শর্মা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই বোঝানো হয় কীভাবে তারা কাজটি করবে ৷ শুধু বোঝানোই নয়, তাদের কাছ থেকেও জানতে চাওয়া হয় কীভাবে তারা সাধারণ মানুষকে শৌচাগার ব্যবহারের ভাল-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা বোঝাবে ৷
আরও পড়ুন : Purulia Municipality : দুয়ারে প্রশাসক কর্মসূচিতে অভিযোগের পাহাড় পুরুলিয়ার পৌর এলাকায়
এই বিষয়ে জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানান, জানুয়ারি মাস জুড়ে কন্যাশ্রী মেয়েরা (kanyashree of purulia) বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষজনকে শৌচাগারের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার কাজ করবে ৷ শৌচালয় ব্যবহারের উপযোগী দিকগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করবে ।
পুরুলিয়ার জেলাশাসক-সহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পুরুলিয়া সদরের মহকুমা শাসক বিমলেন্দু দাস ও পুরুলিয়া 1 ব্লকের বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষ বছরের শুরুতেই পুরুলিয়া 1 নম্বর ব্লক থেকে কন্যাশ্রী মেয়েদের নিয়ে শুরু হওয়া সচেতনতার সাইকেল মিছিলে নেতৃত্ব দেন । সাইকেলে সচেতনতার পোস্টার ও মুখে স্লোগান দিয়ে কার্যত একমাসের এই সচেতনতার কাজে নেমে পড়ল পুরুলিয়ার কন্যাশ্রীরা ৷
এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যে-কোনও উপায়েই হোক এই জেলার মানুষের খোলা মাঠে শৌচালয়ের অভ্যাস দূর করতেই হবে । নতুন বছরে এই শপথ নিয়ে পুরুলিয়াকে নির্মল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা সকলেই সচেষ্ট হব ৷
আরও পড়ুন : Night Shelter for Homeless : আশ্রয়হীনদের ঠাঁই দিতে উদ্যোগী পুরুলিয়া পৌরসভা