পুরুলিয়া, 29 জানুয়ারি : কলেজের পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষায় বই ও মোবাইল ফোন দেখে অবাধে পরীক্ষা ৷ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে এ বারেও ‘ওপেন বুক’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে (Purulia Open Book Exam) ৷ তবে সেই পদ্ধতিতে মেধার মূল্যায়ন কতটা হচ্ছে ? সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ আর এই পরিস্থিতিতে পুরুলিয়া শহরের নিস্তারিণী গার্লস কলেজের ক্যাম্পাসে ভিতরে এবং বাইরে ফুটপাথে বসে পরীক্ষা দিতে দেখা গেল পরীক্ষার্থীদের ৷ এমনকি করোনা আবহে কোনওরকম বিধিনিষেধ না মেনেই চলছে পরীক্ষা (Covid Rules Hampered at College Exam in Purulia) ৷ আর এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই উঠে এল চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি ৷ আর অবাধে বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার এই হিড়িকে মেধার মান নির্ণয় নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠছে ৷
রাজ্যে কলেজগুলিতে পঞ্চম সেমেস্টারের পাস কোর্সের পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদিন হল ৷ সেই মত পুরুলিয়ার নিস্তারিণী গার্লস কলেজেও পরীক্ষা চলছে ৷ কলেজ ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে তাতে উত্তর লিখে বেলা 2টোর মধ্যে কলেজে জমা দেওয়ার কথা ছিল ৷ সেই মত নিস্তারিণী কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে এবং বাইরে যেখানে খুশি বসে পরীক্ষা দিতে দেখা গেল পড়ুয়াদের ৷ শুধু তাই নয়, ফুটপাথে, গাছতলায় এমনকি কলেজের কাছাকাছি মন্দিরের সিঁড়িতে বসেও অনেককে পরীক্ষা দিতে দেখা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : কলকাতার মতোই বাড়িতে বসে পরীক্ষা দেবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা
যে ছবি দেখে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন মহল ৷ নিস্তারিণী কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রাণী দেব আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘‘এভাবে বইখাতা খুলে পরীক্ষা দেওয়ায় মেধার মান নির্ণয় ঠিক মতো হচ্ছে না ৷ কেউ সারা বছর পরিশ্রম করে যা নম্বর পাবে ৷ একজন বই খুলে লিখে একই বা তার থেকে বেশি নম্বর পেয়ে যাবে ৷ এতে মুড়ি আর মুড়কি এক হয়ে যাবে ৷’’ আক্ষেপ সারাবছর পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে আসা পড়ুয়াদের মধ্যেও ৷ তাঁদেরও একই আক্ষেপ ৷ যাঁরা সারাবছর পড়াশোনা করছে না, তাঁরা বই খুলে লিখে বেশি নম্বর পেয়ে যাবে ৷