ETV Bharat / state

Jhalda Municipality: 'স্বামী আর ঝালদাবাসীর জয় হয়েছে', পৌরপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে বললেন পূর্ণিমা - Calcutta High Court

কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তারপরেই শনিবার তিনি ঝালদা পৌরসভার (Jhalda Municipality) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ৷

Jhalda Municipality
পূর্ণিমা কান্দু
author img

By

Published : Jan 21, 2023, 2:00 PM IST

পৌরপ্রধানের চেয়ারে বসলেন পূর্ণিমা কান্দু

পুরুলিয়া, 21 জানুয়ারি: "আমার স্বামীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে । ঝালদাবাসীর জয় হয়েছে ।" আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঝালদা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হওয়ার পরই আবেগঘন হয়ে বললেন পূর্ণিমা কান্দু । শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট 16 জানুয়ারি নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সরানোর নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ৷ পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব সামলাতে বলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ এরপরই শনিবার ঝালদার পৌরপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু (Congress councilor Purnima Kandu) ।

পৌরপ্রধানের চেয়ারে বসার পরই আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, "ঝালদাবাসীর জয় হয়েছে । অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছি । তৃণমূল অন্যায়ভাবে বোর্ড দখল করার চেষ্টা করলেও কোন লাভ হয়নি । দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়েছিল ঝালদা পৌরসভায় । এবার উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হবে ৷ প্রতিটি ওয়ার্ডের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা হবে । বিরোধীরা যদি উন্নয়নের কাজে সঙ্গ দিতে চায় তাহলে তাদের নিয়ে চলতে রাজি ।" পূর্ণিমা কান্দু তাঁর জয় মৃত স্বামী তপন কান্দুকে উৎসর্গ করেন ৷ তিনি বলেন, "এই জয় স্বামীকে উৎসর্গ করলাম । এই জয় স্বামীর জয় এবং ঝালদাবাসীর জয় ।"

প্রসঙ্গত, বিগত পৌর নির্বাচনের পর থেকেই ঝালদার বোর্ড দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়ন চলছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে । বিষয়টি গড়ায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত । অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সাময়িকভাবে ঝালদা পৌরসভার পৌর প্রধানের পদে নিযুক্ত করা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে । আর এরপরেই খুশির আমেজ কংগ্রেস শিবিরে । কংগ্রেস নেতা,কর্মী-সমর্থকরা স্লোগানের মধ্য দিয়ে পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পৌরসভায় নিয়ে আসেন । ঝালদা পৌরসভার দায়িত্বভার নিয়ে পৌরপ্রধানের চেয়ারে বসেন তিনি ।

উল্লেখ্য, গত পৌর নির্বাচনে 12 আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভায় কংগ্রেস 5, তৃণমূল 5 এবং নির্দল 2টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে । 13 মার্চ খুন হন 2 নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু । 2 নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল । 13 অক্টোবর ঝালদার পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকে কংগ্রেস । শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ত্যাগ করেন । 21 নভেম্বর আস্থা ভোটে 7-0 ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস । বোর্ড হাতছাড়া হয় তৃণমূলের ।

2 ডিসেম্বর রাজ্য সরকার তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছুয়ারকে পৌরপ্রধানের দায়িত্ব দেয় । 3 ডিসেম্বর নিজেদের মতো করে নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পৌরপ্রধান নির্বাচন করে কংগ্রেস । বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ালে রাজ্য সরকারের নিযুক্ত এবং কংগ্রেসের নিয়োজিত দুই পৌরপ্রধানের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয় ৷ পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দাকে ঝালদা পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করে আদালত । এরপর চলতি মাসের 16 জানুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশে 12 আসন বিশিষ্ট ঝালদার পৌরপ্রধান নির্বাচন হয় । তাতে 7-0 ভোটে জয়লাভ করে চেয়ারপার্সন হন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় । ঠিক 48 ঘণ্টার মধ্যেই 18 জানুয়ারি দলত্যাগ বিরোধী আইনে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজ করে দেয় ঝালদার মহকুমা শাসক ।

আরও পড়ুন: শীলার সদস্যপদ খারিজ, ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধান তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ

অন্যদিকে 18 জানুয়ারি রাজ্য পৌর ও নগর উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে । এরই প্রতিবাদে 19 জানুয়ারি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন নির্দল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পৌরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব । 20 জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালত 12 নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে । পাশাপাশি নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজের বিষয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে । এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 10 ফেব্রুয়ারি ।

আরও পড়ুন: ঝালদায় নির্বাচিত পৌরপ্রধানকে সরানোর সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

পৌরপ্রধানের চেয়ারে বসলেন পূর্ণিমা কান্দু

পুরুলিয়া, 21 জানুয়ারি: "আমার স্বামীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে । ঝালদাবাসীর জয় হয়েছে ।" আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঝালদা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হওয়ার পরই আবেগঘন হয়ে বললেন পূর্ণিমা কান্দু । শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট 16 জানুয়ারি নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সরানোর নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ৷ পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব সামলাতে বলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ এরপরই শনিবার ঝালদার পৌরপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু (Congress councilor Purnima Kandu) ।

পৌরপ্রধানের চেয়ারে বসার পরই আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, "ঝালদাবাসীর জয় হয়েছে । অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছি । তৃণমূল অন্যায়ভাবে বোর্ড দখল করার চেষ্টা করলেও কোন লাভ হয়নি । দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়েছিল ঝালদা পৌরসভায় । এবার উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হবে ৷ প্রতিটি ওয়ার্ডের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা হবে । বিরোধীরা যদি উন্নয়নের কাজে সঙ্গ দিতে চায় তাহলে তাদের নিয়ে চলতে রাজি ।" পূর্ণিমা কান্দু তাঁর জয় মৃত স্বামী তপন কান্দুকে উৎসর্গ করেন ৷ তিনি বলেন, "এই জয় স্বামীকে উৎসর্গ করলাম । এই জয় স্বামীর জয় এবং ঝালদাবাসীর জয় ।"

প্রসঙ্গত, বিগত পৌর নির্বাচনের পর থেকেই ঝালদার বোর্ড দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়ন চলছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে । বিষয়টি গড়ায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত । অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সাময়িকভাবে ঝালদা পৌরসভার পৌর প্রধানের পদে নিযুক্ত করা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে । আর এরপরেই খুশির আমেজ কংগ্রেস শিবিরে । কংগ্রেস নেতা,কর্মী-সমর্থকরা স্লোগানের মধ্য দিয়ে পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পৌরসভায় নিয়ে আসেন । ঝালদা পৌরসভার দায়িত্বভার নিয়ে পৌরপ্রধানের চেয়ারে বসেন তিনি ।

উল্লেখ্য, গত পৌর নির্বাচনে 12 আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভায় কংগ্রেস 5, তৃণমূল 5 এবং নির্দল 2টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে । 13 মার্চ খুন হন 2 নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু । 2 নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল । 13 অক্টোবর ঝালদার পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকে কংগ্রেস । শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ত্যাগ করেন । 21 নভেম্বর আস্থা ভোটে 7-0 ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস । বোর্ড হাতছাড়া হয় তৃণমূলের ।

2 ডিসেম্বর রাজ্য সরকার তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছুয়ারকে পৌরপ্রধানের দায়িত্ব দেয় । 3 ডিসেম্বর নিজেদের মতো করে নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পৌরপ্রধান নির্বাচন করে কংগ্রেস । বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ালে রাজ্য সরকারের নিযুক্ত এবং কংগ্রেসের নিয়োজিত দুই পৌরপ্রধানের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয় ৷ পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দাকে ঝালদা পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করে আদালত । এরপর চলতি মাসের 16 জানুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশে 12 আসন বিশিষ্ট ঝালদার পৌরপ্রধান নির্বাচন হয় । তাতে 7-0 ভোটে জয়লাভ করে চেয়ারপার্সন হন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় । ঠিক 48 ঘণ্টার মধ্যেই 18 জানুয়ারি দলত্যাগ বিরোধী আইনে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজ করে দেয় ঝালদার মহকুমা শাসক ।

আরও পড়ুন: শীলার সদস্যপদ খারিজ, ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধান তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ

অন্যদিকে 18 জানুয়ারি রাজ্য পৌর ও নগর উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে । এরই প্রতিবাদে 19 জানুয়ারি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন নির্দল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পৌরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব । 20 জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালত 12 নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে । পাশাপাশি নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজের বিষয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে । এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 10 ফেব্রুয়ারি ।

আরও পড়ুন: ঝালদায় নির্বাচিত পৌরপ্রধানকে সরানোর সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.