পুরুলিয়া, 5 জানুয়ারি: সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনা (Cases of Missing Minors Girl are Increasing in Purulia) ৷ পরিসংখ্যান লক্ষ করলে দেখা যাবে, বিগত দিনে গড়ে দৈনিক একটি করে নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে জেলায় ৷ কোনওদিন আবার একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে নাবালিকা অপহরণের । পুরুলিয়া জেলায় যে নাবালিকা নিখোঁজ ও অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তাদের প্রত্যেকেরই বয়স 14 থেকে সাড়ে 17 বছরের মধ্যে। প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই স্কুল পড়ুয়া মেয়ে বিদ্যালয় বা প্রাইভেট টিউশনি পড়তে গিয়ে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তাদের । তবে দু-একটি ক্ষেত্রে বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার নাম করে নিখোঁজ হয়েছে এমন উদাহরণও রয়েছে।
এই বিষয়ে এক পুলিশ আধিকারিক নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলেন, "প্রায় সব ক'টি ক্ষেত্রেই আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রেম ভালোবাসার ঘটনা ৷ বিয়ে করবে বলে বাড়িতে না জানিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে ।" পুরুলিয়া জেলা পুলিশ অবশ্য প্রতিক্ষেত্রেই নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনাগুলিতে দ্রুত তাদের উদ্ধার করেছে । এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "আমরা সব ঘটনার ক্ষেত্রেই দ্রুত তাদের অবস্থান জানার পর উদ্ধার করেছি এবং যে ক্ষেত্রে যেমন আইন আছে সেই অনুযায়ী তাদের আদালতে হাজির করছি ।"
আরও পড়ুন : নাবালিকা পর্যটককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার লজের কর্মী
এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলার চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর মনীষা নন্দী বলেন, "ফি দিনই আমাদের কাছে নাবালিকা নিখোঁজের খবর আসছে । পুলিশ তাদের উদ্ধারও করে নিয়ে আসছে । তবে এগুলি যে বেশিরভাগই প্রেম ভালোবাসার জন্য । তবে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে পুরুলিয়া জেলার সমাজ কল্যাণ দফতরের আধিকারিক সন্দীপ মণ্ডল এই বিষয়ে বলার এক্তিয়ার নেই বলে এড়িয়ে যান । এমনকী পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দাকে ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি এমনকী মেসেজেরও উত্তর দেননি ।
গত 3 জানুয়ারি পুরুলিয়া (Purulia News) মফস্বল থানায় একটি নাবালিকা নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয় । উদ্ধারে গিয়ে নাবালিকার সঙ্গে পাওয়া যায় এক নাবালককেও ৷ যেখানে মেয়েটির বয়স সাড়ে 16 ও ছেলেটির সাড়ে 17। তবে এই বিষয়ে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মেয়েটি একাধিক নম্বরে ফোন করত ৷ এই ঘটনায় পুরুলিয়া জেলার নাবালিকা বিবাহ ও অপহরণ রুখতে কাজ করা একটি সংগঠনের সম্পাদক মধুসূদন মাহাত বলেন, " বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের । এই বিষয়ে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে । একই সঙ্গে স্কুল শিক্ষা দফতরও এই নিয়ে সচেতনতা শিবির বা ক্লাস করতে পারেন । সমাজ কল্যাণ দফতরকেও অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে ।"
আরও পড়ুন : মালদায় তন্ত্রসাধনার বলি আট বছরের নাবালিকা ! গণপ্রহারে গুরুতর জখম অভিযুক্ত তান্ত্রিক