পুরুলিয়া, 30 অগস্ট: দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে 6টি বছর (Six Years Passed) ৷ সময়ের ধারায় কংসাবতী নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে কত জল ৷ কিন্তু আজও শেষ হল না কংসাবতী নদীর কাঁটাবেড়া ঘাটের কাছে বামুনডিহার সঙ্গে সংযোগকারী সেতু নির্মাণের কাজ (Bridge not completed over Kansabati River) ৷ তাই নদীর অপর পারে অবস্থিত বামুনডিহা, জুরাডি, তুম্বা ঝালদা, আরশা, রাঙ্গামাটি, সিরকাবাদ প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দাদের দুঃখ দুর্দশাও আর ঘুচল না ।
কংসাবতী নদীর উপর যে সেতু নির্মাণের কথা ছিল, তার কাজ শুরু হওয়ার পর হঠাৎই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে । যে ঠিকাদার কাজ শুরু করেছিলেন তিনিও তল্পি-তল্পা গুটিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর । নদীর উপর সেতু নির্মাণের জন্য থাম তৈরির পরেই আর কাজ এগোয়নি।
বামুনডিহা গ্রামের বাসিন্দা দেবীলাল মাহাত বলেন, "2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে 28 ফেব্রুয়ারি এই সেতুটির শিলান্যাস করেন তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত । প্রথম এক বছর খুব দ্রুত গতিতে কাজ হয় । তাতে নদীগর্ভের কাজ সম্পূর্ণ হয় এবং নদীর উপর তিনটি পিলারও দাড়িয়ে যায় ৷ কিন্তু এক বছর পর কোনও অজ্ঞাত কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায় ।"
দেবীলাল আরও বলেন, "এই সেতুটি নির্মাণ হলে জয়পুর, বলরামপুর ও বাঘমুন্ডি বিধানসভা এলাকার কমবেশি প্রায় 30টি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন । নদীর ওপারের মানুষ যারা সবজি নিয়ে স্থানীয় চাষ রোড বাজারে যান, তাদের প্রচুর সুবিধা হবে । এমনকি ধানবাদ, চাষ ও বোকারোর সঙ্গে অযোধ্যা পাহাড়ের দূরত্ব 35 কিমি কমে যাবে।" বর্তমানে ওই এলাকার কিছু যুবকের উদ্যোগে ভেলা তৈরি করা হয়েছে ৷ আর সেই ভেলায় চড়েই চলছে পারাপার ।
আরও পড়ুন: গাছ থেকে বেরচ্ছে জল, পুজো দেওয়ার হিড়িক পুরুলিয়ায়
এবিষয়ে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত-র সঙ্গে কথা বলার জন্য বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি । অন্যদিকে বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, "বিষয়টি আমি শুনেছি যে ওখানে ভেলায় চড়ে পারাপার হয় ।"