পুরুলিয়া, 9 সেপ্টেম্বর: সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ । গত 29 অগস্ট দুপুরে পুরুলিয়া শহরের একটি নামী গয়নার শো রুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটে । শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার সুদামডি থেকে করণজিৎ সিং সিধু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) । তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার চাষনালার কাছে পাথরডি থানা এলাকায় ।
এই ঘটনায় সহযোগী হিসাবে কাজ করা বিকাশ কুমারকে গত 5 সেপ্টেম্বর দিল্লির নয়ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তাঁর বাড়ি দিল্লিতেই । তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন । ধৃত করণজিৎ ও বিকাশ কুমারকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে ।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ধৃত করণজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে ওই ডাকাতির ঘটনায় মোট সাতজন ছিল । তার মধ্যে করণজিৎ একজন । বাকি নামগুলো আমরা পেয়ে গিয়েছি । তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।’’ রানাঘাটের ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি এই ঘটনার যোগ না থাকলেও দু’টি ঘটনার মাস্টারমাইন্ড একজনই বলে দাবি করেছেন জেলা পুলিশ সুপার । এবং একটি সংশোধনাগারে বসে এই অপরাধের ছক কষা হয়েছিল বলেও তাঁর দাবি ৷
গত 29 অগস্ট দুপুর দেড়টা নাগাদ শহর পুরুলিয়ার নামোপাড়ার একটি নামকরা সোনার বিপণীতে প্রায় 8 কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ । মোটরবাইকে আসা সাত দুষ্কৃতি প্রায় আধ ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন সেরে পুরুলিয়ার সীমানা পার হয়ে ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দেয় । বিহার-ঝাড়খণ্ডের এই দুষ্কৃতীদের নিখুঁত অপারেশনে ওই বিপণীর সিসিটিভির ডিভিআর পর্যন্ত নিয়ে যায় । ফলে এই ঘটনার কিনারা করা খুব একটা সহজ ছিল না পুলিশের কাছে ।
যদিও শহর পুরুলিয়ার বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদেরকে চিহ্নিত করে পুলিশ । ঘটনার পরের দিনই 30 অগস্ট পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করা হয় এই নিয়ে । এই ঘটনার তদন্তে এসেছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি (বাঁকুড়া রেঞ্জ ) ভরতলাল মীনাও । ফরেনসিক টিম ওই বিপণীতে এসে নমুনা সংগ্রহ করে । তবে চুরি যাওয়া গয়না এখনও উদ্ধার হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ পুলিশের আশা, বাকিদের ধরতে পারলে খোয়া যাওয়া গয়নার সন্ধানও মিলবে ৷
আরও পড়ুন: এমারজেন্সি অ্যালার্ম বাজতেই ধাঁ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টায় গ্রেফতার যুবক