ETV Bharat / state

চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে নিজের ঘরে নিয়ে যেত যুবক

চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল প্রতিবেশী যুবক। ঘটনাটি পাঁশকুড়া থানার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা এলাকার। ধৃতের নাম সিদ্ধিনাথ সিং (১৯)। তার বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

অভিযুক্ত
author img

By

Published : Mar 1, 2019, 4:38 AM IST

পাঁশকুড়া, ১ মার্চ : নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল প্রতিবেশী যুবক। ঘটনাটি পাঁশকুড়া থানার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা এলাকার। ধৃতের নাম সিদ্ধিনাথ সিং (১৯)।

স্থানীরা জানিয়েছে, সিদ্ধিনাথ স্থানীয় শ্যামসুন্দরপুর পাটনা উচ্চবিদ্যালয়ের ক্লাস টুয়েলেভের ছাত্র। ২৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাতুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা দেয় সে। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর বিকেল পাঁচটা নাগাদ পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

নির্যাতিতা নাবালিকার মা-র অভিযোগ, ২৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) দুপুরে তাঁর মেয়েকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় সিদ্ধিনাথ। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। ঘটনার কথা কাউকে জানালে মেয়েটিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে। তাই বাড়ি ফিরে এলেও আতঙ্কে মুখ খোলেনি মেয়েটি। কিন্তু সোমবার সকালে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের। তারপরই নাবালিকার কাছ থেকে তার মা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর তিনি মেয়েকে নিয়ে পাঁশকুড়া থানার দ্বারস্থ হন। সিদ্ধিনাথের বিরুদ্ধে মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিদ্ধিনাথকে।

থানায় নির্যাতিতার মা অভিযোগ করে বলেন, "প্রতিবেশী ওই যুবক এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছে আমার মেয়েকে। মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। তাই প্রাণের ভয়ে এতদিন সে কিছু জানায়নি। এদিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় মেয়ের কাছে বারবার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে সে সবকিছু খুলে জানায়। সিদ্ধিনাথের কঠিন শাস্তি চাই।"

undefined

ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ ২৬ ফেব্রুয়ারি শারীরিক পরীক্ষার জন্য নাবালিকাকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। থানার OC অজিত কুমার ঝাঁ বলেন, "নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সিদ্ধিনাথ সিং নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।"

পাঁশকুড়া, ১ মার্চ : নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল প্রতিবেশী যুবক। ঘটনাটি পাঁশকুড়া থানার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা এলাকার। ধৃতের নাম সিদ্ধিনাথ সিং (১৯)।

স্থানীরা জানিয়েছে, সিদ্ধিনাথ স্থানীয় শ্যামসুন্দরপুর পাটনা উচ্চবিদ্যালয়ের ক্লাস টুয়েলেভের ছাত্র। ২৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাতুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা দেয় সে। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর বিকেল পাঁচটা নাগাদ পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

নির্যাতিতা নাবালিকার মা-র অভিযোগ, ২৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) দুপুরে তাঁর মেয়েকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় সিদ্ধিনাথ। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। ঘটনার কথা কাউকে জানালে মেয়েটিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে। তাই বাড়ি ফিরে এলেও আতঙ্কে মুখ খোলেনি মেয়েটি। কিন্তু সোমবার সকালে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের। তারপরই নাবালিকার কাছ থেকে তার মা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর তিনি মেয়েকে নিয়ে পাঁশকুড়া থানার দ্বারস্থ হন। সিদ্ধিনাথের বিরুদ্ধে মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিদ্ধিনাথকে।

থানায় নির্যাতিতার মা অভিযোগ করে বলেন, "প্রতিবেশী ওই যুবক এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছে আমার মেয়েকে। মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। তাই প্রাণের ভয়ে এতদিন সে কিছু জানায়নি। এদিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় মেয়ের কাছে বারবার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে সে সবকিছু খুলে জানায়। সিদ্ধিনাথের কঠিন শাস্তি চাই।"

undefined

ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ ২৬ ফেব্রুয়ারি শারীরিক পরীক্ষার জন্য নাবালিকাকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। থানার OC অজিত কুমার ঝাঁ বলেন, "নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সিদ্ধিনাথ সিং নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.