কাঁথি, 5 মার্চ : তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই ক্ষোভ ছড়াচ্ছে জেলায় জেলায় ৷ কেউ কেউ আবার প্রার্থী হতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ৷ শুক্রবার রাতের দিকে সেই তালিকায় নাম উঠল সুপ্রকাশ গিরির ৷
পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ফেসবুকে লিখেছেন, “মজা করে বন্ধুরা বলত পয়সা না থাকলে রাজনীতি করতে যাস না, আজ পারফরম্যান্সকে হার মানতে হল পয়সার কাছে ৷ আজ বুঝলাম পারফরম্যান্সের কোনও দাম নেই এই যুগে ৷”
তবে তিনি যে এখানেই থামতে চান না, সেই ইঙ্গিত মিলেছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে ৷ জানা গিয়েছে যে তিনি শনিবার কাঁথি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর পদ ছেড়ে দেবেন ৷ তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে ওই জেলার আরও একজন নেতাও রয়েছেন বলে খবর ৷ বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সেই নেতার নাম মাহমুদ হোসেন ৷ তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য ৷ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতিও ৷ এখন কাঁথি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য ৷ তিনিও দলের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পদ ছাড়তে পারেন বলে খবর ৷
প্রসঙ্গত, সুপ্রকাশ গিরি হলেন অখিল গিরির পুত্র ৷ অখিল গিরিকে তৃণমূল রামনগর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে ৷ তিনি ওই কেন্দ্রেরই বিদায়ী বিধায়ক ৷ তবে তাঁর ছেলেও এবার প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন বলে খবর ৷ তিনি প্রার্থী হওয়ার দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার কালীঘাটে হাজিরও হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল ৷ তবে সুপ্রকাশ বা অখিল কোনও পক্ষই এই কথা গতকাল স্বীকার করেননি ৷
আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল অখিল গিরি পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী হিসেবে বরাবর পরিচিত ৷ তাই শুভেন্দু দল ছাড়ার পর অখিলকে সামনে রেখেই তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছিল ৷ এই পরিস্থিতিতে সুপ্রকাশ কী করবেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ৷ তিনি নির্দল প্রার্থী হবেন ! নাকি সরাসরি বিরোধী কোনও দলে যোগ দেবেন ! এই চর্চাই আপাতত শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷
আরও পড়ুন : আচমকা কালীঘাটে কেন হাজির অখিল পুত্র সুপ্রকাশ গিরি ?
তার সঙ্গে মাহমুদ হোসেন কেন দলের উপর ক্ষুব্ধ হলেন, এটাও নিয়ে জল্পনা চলছে৷ তবে কেউই এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি৷ আর সুপ্রকাশ তাঁর ফেসবুক পোস্টটি পরে তুলেও নেন৷