তমলুক, 19 নভেম্বর : এক যুবতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্য যুবতিকে বিয়ে করায় পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছিল ৷ তার প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি তমলুক থানার ডুমরা গ্রামের ৷ পরে তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে ৷
তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডুমরা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন বেরা ৷ তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ 2015 সালে গ্রামেরই এক যুবতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু, পরে অন্য এক যুবতিকে সে বিয়ে করে ৷ যে কারণে স্বপনবাবুর পরিবারকে সামাজিক বয়কট করে গ্রামবাসী ৷ সঙ্গে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় ৷ অভিযোগ, গতরাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বাসিন্দা নন্দদুলাল দাসকে মারধর করে বিশ্বজিৎ ও তার ভাই ৷ এ কারণে আজ সকালে ফের সালিশি সভা ডাকা হয় বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু সভায় তাদের পরিবারের কেউ না যাওয়ায় স্বপনবাবুর বাড়ি ভাঙচুর করে গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ সঙ্গে স্বপনবাবুর স্ত্রী বাসনা বেরাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয় ৷ খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ বাসনা বেরাকে উদ্ধার করে ৷ বর্তমানে তিনি তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
অন্যদিকে, নন্দদুলাল দাসকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্বজিৎ ৷ তিনি বলেন, "দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের চাষ করতে দিচ্ছিল না গ্রামের লোকজন ৷ যতবারই চাষ করতে গেছি, ধানের চারা নষ্ট করে দিয়েছে ৷ আজ সকালে আমাদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায় ৷ মাকে টেনে নিয়ে গিয়ে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে ৷" নন্দদুলাল দাস বলেন, "পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ধেন্দু মাইতির সঙ্গে গতরাতে চাষ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম ৷ সেখান থেকে ফেরার পথে বিশ্বজিৎ ও তার ভাই আমাকে মারধর করে ৷ প্রতিবাদে এলাকার মহিলারা স্বপনবাবুর স্ত্রীকে বেঁধে রেখেছে ৷"
তমলুক থানার OC কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানান, বাসনা বেরার উপর অত্যাচারে জড়িত নন্দদুলাল দাস, তপন ঘোড়াই সহ মোট সাতজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷