ETV Bharat / state

মহিলাকে রাস্তায় খুঁটিতে বেঁধে মারধর - বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর মহিলাকে

গতরাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বাসিন্দা নন্দদুলাল দাসকে মারধর করে বিশ্বজিৎ ও তার ভাই ৷ এ কারণে আজ সকালে ফের সালিশি সভা ডাকা হয় বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু সভায় তাদের পরিবারের কেউ না যাওয়ায় স্বপনবাবুর বাড়ি ভাঙচুর করে গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ সঙ্গে স্বপনবাবুর স্ত্রী বাসনা বেরাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয় ৷

আক্রান্ত মহিলা
আক্রান্ত মহিলা
author img

By

Published : Dec 19, 2019, 9:54 PM IST

তমলুক, 19 নভেম্বর : এক যুবতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্য যুবতিকে বিয়ে করায় পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছিল ৷ তার প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি তমলুক থানার ডুমরা গ্রামের ৷ পরে তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে ৷

তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডুমরা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন বেরা ৷ তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ 2015 সালে গ্রামেরই এক যুবতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু, পরে অন্য এক যুবতিকে সে বিয়ে করে ৷ যে কারণে স্বপনবাবুর পরিবারকে সামাজিক বয়কট করে গ্রামবাসী ৷ সঙ্গে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় ৷ অভিযোগ, গতরাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বাসিন্দা নন্দদুলাল দাসকে মারধর করে বিশ্বজিৎ ও তার ভাই ৷ এ কারণে আজ সকালে ফের সালিশি সভা ডাকা হয় বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু সভায় তাদের পরিবারের কেউ না যাওয়ায় স্বপনবাবুর বাড়ি ভাঙচুর করে গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ সঙ্গে স্বপনবাবুর স্ত্রী বাসনা বেরাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয় ৷ খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ বাসনা বেরাকে উদ্ধার করে ৷ বর্তমানে তিনি তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা

অন্যদিকে, নন্দদুলাল দাসকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্বজিৎ ৷ তিনি বলেন, "দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের চাষ করতে দিচ্ছিল না গ্রামের লোকজন ৷ যতবারই চাষ করতে গেছি, ধানের চারা নষ্ট করে দিয়েছে ৷ আজ সকালে আমাদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায় ৷ মাকে টেনে নিয়ে গিয়ে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে ৷" নন্দদুলাল দাস বলেন, "পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ধেন্দু মাইতির সঙ্গে গতরাতে চাষ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম ৷ সেখান থেকে ফেরার পথে বিশ্বজিৎ ও তার ভাই আমাকে মারধর করে ৷ প্রতিবাদে এলাকার মহিলারা স্বপনবাবুর স্ত্রীকে বেঁধে রেখেছে ৷"

তমলুক থানার OC কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানান, বাসনা বেরার উপর অত্যাচারে জড়িত নন্দদুলাল দাস, তপন ঘোড়াই সহ মোট সাতজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

তমলুক, 19 নভেম্বর : এক যুবতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্য যুবতিকে বিয়ে করায় পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছিল ৷ তার প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি তমলুক থানার ডুমরা গ্রামের ৷ পরে তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে ৷

তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডুমরা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন বেরা ৷ তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ 2015 সালে গ্রামেরই এক যুবতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু, পরে অন্য এক যুবতিকে সে বিয়ে করে ৷ যে কারণে স্বপনবাবুর পরিবারকে সামাজিক বয়কট করে গ্রামবাসী ৷ সঙ্গে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় ৷ অভিযোগ, গতরাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বাসিন্দা নন্দদুলাল দাসকে মারধর করে বিশ্বজিৎ ও তার ভাই ৷ এ কারণে আজ সকালে ফের সালিশি সভা ডাকা হয় বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু সভায় তাদের পরিবারের কেউ না যাওয়ায় স্বপনবাবুর বাড়ি ভাঙচুর করে গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ সঙ্গে স্বপনবাবুর স্ত্রী বাসনা বেরাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয় ৷ খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ বাসনা বেরাকে উদ্ধার করে ৷ বর্তমানে তিনি তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা

অন্যদিকে, নন্দদুলাল দাসকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্বজিৎ ৷ তিনি বলেন, "দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের চাষ করতে দিচ্ছিল না গ্রামের লোকজন ৷ যতবারই চাষ করতে গেছি, ধানের চারা নষ্ট করে দিয়েছে ৷ আজ সকালে আমাদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায় ৷ মাকে টেনে নিয়ে গিয়ে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে ৷" নন্দদুলাল দাস বলেন, "পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ধেন্দু মাইতির সঙ্গে গতরাতে চাষ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম ৷ সেখান থেকে ফেরার পথে বিশ্বজিৎ ও তার ভাই আমাকে মারধর করে ৷ প্রতিবাদে এলাকার মহিলারা স্বপনবাবুর স্ত্রীকে বেঁধে রেখেছে ৷"

তমলুক থানার OC কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানান, বাসনা বেরার উপর অত্যাচারে জড়িত নন্দদুলাল দাস, তপন ঘোড়াই সহ মোট সাতজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

Intro:তমলুক,১৯ নভেম্বর: এলাকার এক যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করায় পরিবারকে একঘরে করে রেখেছিল গ্ৰামের মাতব‍্যরেরা। আর তারই প্রতিবাদ করায় মহিলাকে একরকম বিবস্ত্র করে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক থানার ডুমরা গ্রামে। পরে তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
Body:পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডুমরা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন বেরা। তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ 2015 সালে বিশ্বজিৎ বেরা এলাকারই এক স্বামী পরিত্যাক্তা যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে ওই যুবক অন্য একটি যুবতী কে বিয়ে করে নেয়। জানিয়ে রীতিমতো সে সময় রীতিমতো হুলুস্থূলুস পড়ে যায় এলাকায়। অভিযোগ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে যুবতীকে বিয়ে করার কারণে ওই যুবকের পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করে এলাকার মাতব্বরেরা । এমনকি বাড়ির জমিতে চাষাবাদ করতে দেওয়া হতো না তাঁদের।পরে গ্রামের মাতব্বরেরা গ্রাম্য সালিশি বসিয়ে যুবকের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করে ।যেকারনে সালিশি সভায় উপস্থিত থাকার কারণে সে সময় থেকেই এলাকার বাসিন্দা নন্দদুলাল দাস সহ মাতব্বরদের বিবাদ শুরু হয় স্বপনের পরিবারের। অভিযোগ জরিমানা বাবদ টাকা হাতে পেয়েও এতদিন জমিতে চাষাবাদ করতে পারছিল না তাঁরা। নিজেদের জমিতে চাষ করার অনুমতি চেয়ে গ্রাম কমিটির দ্বারস্থ হয় পরিবার।সেই মত গতকাল সালিশি সভা বসে এলাকায়। যদিও সভা থেকে অনুমতি মেলেনি চাষবাসের। অভিযোগ যে কারণে গত রাতে সালিশি সভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নন্দদুলাল কে ব্যাপক মারধর করে স্বপন বাবুর দুই ছেলে। মার ধরের কারনে পাড়ায় ফের সালিশি সভা ডাকে নন্দদুলাল সহ গ্রামের মাতব্বররা। কিন্তু সেই সালিশি সভায় যেতে রাজি হননি স্বপন বাবুর স্ত্রী বাসনা বেরা ও তার ছেলেরা। আর তাতেই ক্ষেপে গিয়ে এলাকার মাতব‍্যর নন্দ ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা স্বপন বাবুর বাড়িতে। পরে বাসনা দেবীকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে এলাকারই একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে পরনের শাড়ি খুলে বেঁধে ব‍্যপক মারধর করে। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ দুপুর নাগাদ বাসনা দেবী কে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।Conclusion:নন্দদুলালবাবু কে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে স্বপন বাবুর ছেলে বিশ্বজিৎ বেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের চাষাবাদ বন্ধ করে রেখেছে গ্রামের লোকজন। যতবার চাষ করেছি ততবারই আমাদের ধানের চারা নষ্ট করে দিয়েছে ওরা। আজ সকালে দলবল নিয়ে এসে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করে আমার গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে লাথি মারে । মা বাধা দেওয়ায় মাকে গোয়াল ঘর থেকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে মাকে নিয়ে গিয়ে খুঁটিতে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে। সালিশি সভার নির্দেশ অনুযায়ী তিন লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার পরও আমাদের উপর এই অত্যাচার চলছে পুলিশের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

অপরদিকে নন্দ দুলাল দাস যানিয়েছেন, ওদের চাষবাস সংক্রানত বিষয় নিয়ে গতকাল শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ধেন্দু মাইতি কাছে আলোচনা করতে গেছিলাম।সেখানে গ্ৰাম থেকে ওদের বয়কট করার কথা আলোচনা হয়।কিন্তু সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। ফেরার পথেই ওদের দুই ছেলে রাতে আমাকে মারধর করে । যার প্রতিবাদে এলাকার মহিলারা স্বপন বাবুর স্ত্রী কে বেঁধে রেখেছে।


এ বিষয়ে এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ধেন্দু বাবু জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে মহিলা ঘটিত বিষয় নিয়ে ওদের মধ্যে এলাকায় একটি সমস্যা চলছিল। তবে এভাবে কোনো মহিলাকে বিবস্ত্র করে খুঁটিতে বেঁধে রাখার ঘটনা অনভিপ্রেত।

এ বিষয়ে তমলুক থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানিয়েছেন, মহিলার ওপর নির্মম অত্যাচারে জড়িত নন্দ দুলাল দাস, তপন ঘোড়াই সহ মোট 7 জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.