ETV Bharat / state

এগরায় দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তাদের দলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় । তবে বিক্ষোভকারীদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা দেখা গেছে ।

দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ
author img

By

Published : May 12, 2019, 1:23 AM IST

এগরা, 12 মে : মেদিনীপুরের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ । অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা এই বিক্ষোভ দেখায় । এর প্রতিবাদ করে BJP কর্মী-সমর্থকরা । তখন দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় । গতকাল ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার কামারডিহাতে । BJP-র তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে এক কর্মীর বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গেছিলেন দিলীপবাবু । খাওয়া-দাওয়া সেরে তিনি ফিরছিলেন । ফেরার পথে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের লোকজন । এর প্রতিবাদ করে এলাকার BJP কর্মী-সমর্থকরা । তখন দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে এগরা থানার পুলিশ । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । এরপর পুলিশই দিলীপবাবুকে ফিরে যেতে সাহায্য করে ।

ঘটনার প্রেক্ষিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা বলেন, "দিলীপ ঘোষ অগণতান্ত্রিক কথাবার্তা বলেন । লোক এনে ঢুকিয়ে দেব, গুলি করে দেব এসব বলছিলেন । উনি বাইরে থেকে এনে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে চেয়েছিলেন । সাধারণ মানুষ তার প্রতিবাদ করে ।" কণিষ্ক পণ্ডার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রতিবাদের সঙ্গে জড়িত নয় । এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ লোকজন বিক্ষোভ দেখায় ।

কণিষ্ক পণ্ডা এই দাবি করলেও বিক্ষোভকারীদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা দেখা গেছে । এবিষয়ে BJP নেতা দেবপম পাল বলেন, "দিলীপবাবু এক কর্মীর বাড়ি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলেন । সেই সুযোগে তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় ।" পাশাপাশি তিনি বহিরাগতদের এলাকায় ঢোকানোর চেষ্টার অভিযোগও অস্বীকার করেন ।

এগরা, 12 মে : মেদিনীপুরের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ । অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা এই বিক্ষোভ দেখায় । এর প্রতিবাদ করে BJP কর্মী-সমর্থকরা । তখন দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় । গতকাল ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার কামারডিহাতে । BJP-র তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে এক কর্মীর বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গেছিলেন দিলীপবাবু । খাওয়া-দাওয়া সেরে তিনি ফিরছিলেন । ফেরার পথে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের লোকজন । এর প্রতিবাদ করে এলাকার BJP কর্মী-সমর্থকরা । তখন দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে এগরা থানার পুলিশ । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । এরপর পুলিশই দিলীপবাবুকে ফিরে যেতে সাহায্য করে ।

ঘটনার প্রেক্ষিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা বলেন, "দিলীপ ঘোষ অগণতান্ত্রিক কথাবার্তা বলেন । লোক এনে ঢুকিয়ে দেব, গুলি করে দেব এসব বলছিলেন । উনি বাইরে থেকে এনে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে চেয়েছিলেন । সাধারণ মানুষ তার প্রতিবাদ করে ।" কণিষ্ক পণ্ডার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রতিবাদের সঙ্গে জড়িত নয় । এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ লোকজন বিক্ষোভ দেখায় ।

কণিষ্ক পণ্ডা এই দাবি করলেও বিক্ষোভকারীদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা দেখা গেছে । এবিষয়ে BJP নেতা দেবপম পাল বলেন, "দিলীপবাবু এক কর্মীর বাড়ি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলেন । সেই সুযোগে তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় ।" পাশাপাশি তিনি বহিরাগতদের এলাকায় ঢোকানোর চেষ্টার অভিযোগও অস্বীকার করেন ।

Intro:কোলাঘাট, ২০ ডিসেম্বর : ছেলের অঙ্গদান করে নজির গড়লো কোলাঘাটের প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক পরিবার। পুত্র হারানোর শোক বিহবল পরিস্থিতিতে এমন মহৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের ছেলেকে সকলের মধ্যে বেঁচে থাকতে দেখতে চান বাবা।


Body:পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার মেষড়া গ্রামের বাসিন্দা সুমিত কর। পেশায় একজন সাধারণ কৃষক। কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করেই কোনরকমে দিন গুজরান হয় পরিবারের। সুমিত বাবু তার দুই ছেলে মেয়ে কেই উচ্চ শিক্ষিত করার লক্ষ্যে কলেজে পড়াশোনা করা ছিলেন। এমন অবস্থায় বাগনান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের একাউন্টান্সি অনার্সের ছাত্র একমাত্র পুত্র সজল সোমবার বিকেলে বাবার বাইক নিয়ে বন্ধু আকাশ চ্যাটার্জী সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর রাত্রি আটটা নাগাদ তমলুক থেকে ফেরার পথে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তারা। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ দু'জনকেই উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিছল থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তারা পাশের রেলিং এ ধাক্কা মারে। দুজনের কারো মাথাতেই হেলমেট ছিল না। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান সজলের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাই রাতেই পরিবারের লোকেরা সজলকে নিয়ে কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসকরা ভেন্টিলেশনে রেখে প্রাণে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ সজলের ব্রেন ডেথ হয়। এরপরেই চিকিৎসকেরা সজলের অঙ্গ গুলি কে দান করার অনুরোধ করেন পরিবারকে। প্রথমে রাজি না হলেও পরে সেই সিদ্ধান্তে রাজি হন বাবা সুমিত কর। তার অনুমতিতেই আজ সকালে শরীর থেকে হৃৎপিণ্ড, কিডনি ,লিভার ও চোখ প্রতিস্থাপন করা হয় ৬ গ্রহীতার শরীরে।


Conclusion:সজলের বাবা সুমিত বাবু বলেন, সোমবার রাতেই ছেলেকে ভেন্টিলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকেরা মেডিকেল টিম গঠন করে ওর চিকিৎসা করেন। কিন্তু তাতেও সুফল মেলেনি। বুধবার চিকিৎসকরা জানান সজলের ব্রেন ডেথ হয়েছে। তখনই আমাকে ডাক্তারবাবুরা ছেলের অঙ্গ দান করার কথা জানান। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি প্রথমে রাজি হইনি। আমি না বলেছিলাম। এর পরেই আমার আত্মীয়রা আমাকে বোঝান ।বলেন তুমি এত সামাজিক কাজ করো ভেবে দেখো। তখনই আমি ভাবলাম আমি তো আর এ জীবনে আমার ছেলেকে আর কাছে পাবো না। তাই তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিলে যদি আরও ছয়জনকে বাঁচানো যায় তাহলে সেটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। আমার সজল ওদের মধ্যেই বেঁচে থাক। মন খারাপ লাগলেও খুব ভালো লাগছে। আমার ছেলে নেই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি যাদের শরীরে আমার ছেলের অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হয়েছে তারা যেন সুস্থভাবে বাড়ি যায়। এলাকারই প্রতিবেশী রাজু কর জানান ,আমরা ওর পরিবারের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও এত ভালো একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। পাড়া তরফ থেকে আমরা তার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের সজল ওদের মধ্যে এখনো বেঁচে রয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.