নন্দীগ্রাম, 16 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের নমিনেশন পর্ব ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র শেষ হতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের খবর সামনে আসতেই কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আবির খেলায় মাতেন ৷
এদিন নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের কালিচরণপুর অঞ্চলের বেশকিছু প্রার্থীদের নিয়ে ফুলের মালা পড়িয়ে ও আবির মাখিয়ে জয়ের উল্লাসে মাতেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। দুপুর 3টে নাগাদ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী নমিনেশন পর্ব শেষ হওয়ার পরেই এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের সামনে। ভোটের আগে কেন এই উল্লাস? সমর্থকদের মতে শাসক দলের উন্নয়নের জন্য এই কয়েকটি আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেননি। তাই বিনা প্রতীদ্বন্দীতায় জিতেছে তৃণমূল দল ৷ এক প্রার্থী বলেন, "এটা আমাদের কনফিডেন্স, কারণ কালিচরণপুর অঞ্চলে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন এবং বিরোধীদল বিজেপি ও সিপিআইএম যথেষ্ট দুর্বল ৷ তাই বিরোধীরা নমিনেশন দিতেই পারেননি। তাই আজ মনোনয়নপত্র শেষের পরেই ভোটে জেতার আনন্দে মেতেছি আমরা।"
এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিতে পারলেন না। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি কিংবা অন্য দল । শুধুমাত্র তৃণমূলের তরফ থেকে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। নন্দীগ্রাম-1 নম্বর ব্লক, কাঁথি একনম্বর ব্লক ও ময়না ব্লকের মতো 4টি গ্রামসভা আসনে বিনা লড়াইয়ে জয়ের অপেক্ষায় তৃণমূল প্রার্থীরা।
ময়না ব্লকের তিলখোজা গ্রাম-পঞ্চায়েতের 39 নম্বর আসনে মনোনয়ন জমা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী রেহানা বেগম। তাঁর ডানে বা বামে আর কোনও প্রার্থী নেই। অপরদিকে কাঁথি এক ব্লকের সাবাজপুট অঞ্চলের দশ নম্বর কুলাইপাদা আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান রাম গোবিন্দ দাস । একই চিত্র নন্দীগ্রাম- 1 ব্লকের কালীচরণপুর 9 নম্বর গ্রাম-পঞ্চায়েতের 229, 234 ও 228 নম্বর গ্রামসভা আসনে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন ও রাজ্য
উল্লেখ্য, এই 229, 234 ও 228 নম্বর হল নন্দীগ্রামের সেই এলাকাগুলি যেখান থেকে জমি আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, হলদি নদীর পাড়ে কালীচরণপুর, 7 ও 9 নম্বর জালপাই, ভূতারমোড় ও গড়চক্রবেড়িয়া মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকার মধ্যেই পড়ে উক্ত তিনটি বুথ। এই এলাকায় বিজেপি কোনও প্রার্থী দেয়নি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কোনও তথ্য সামনে আনেনি।