পূর্ব মেদিনীপুর, 2 নভেম্বর: স্বস্তি-অস্বস্তির মিশেল অধিকারী পরিবারে ৷ একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে স্বস্তি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে, পৌরসভার ফাইল চুরির মামলায় বৃহস্পতিবার কাঁথি থানায় ডেকে পাঠানো হল বিধানসভার বিরোধী দলনেতার ভাই সৌমেন্দুকে। বুধবার পথ বাতি মামলায় এগরার এসডিপিও-র নোটিশ নিয়ে চাঞ্চল্যকর রায় দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ তাতে স্বস্তি পেয়েছেন কৃষ্ণেন্দু। তবে এর পরপরই পরিবারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে কাঁথি থানার পুলিশে তরফে আসা একটি নির্দেশ।
সারদার ফাইল চুরির মামলায় ফের তলব করা হল শুভেন্দুর ছোটভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে ৷ এখন পর্যন্ত সারদার ফাইল চুরির বিষয় নিয়ে তিনবার কাঁথি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন কাঁথি পৌরসভার এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এবার আবারও তাঁকে তলব করা হল। বলাই বাহুল্য এমন নির্দেশে অস্বস্তিতে শান্তিকুঞ্জ ৷ এমনিতেই সারদা দুর্নীতির সঙ্গে অধিকারী পরিবারের যোগোযোগ নিয়ে সরব তৃণমূল। দলের তরফে দাবি, সারাদার মতো দুর্নীতি থেকে বাঁচতেই শিবির বদল করেছেন শুভেন্দু। পরে পরিবারের কয়েকজন সদস্যও দলত্যাগ করেছেন।
যদিও সৌমেন্দু অধিকারী বলেন , "প্রায় 6 মাস পর আবার পুলিশ অহেতুক নোটিশ পাঠালো। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। তাই পুলিশ ডেকেছে বলে আমি যাব। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সহযোগিতা নিশ্চয়ই করব।" এ বিষয়ে সৌমেন্দুর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, "আমার মক্কেল সৌমেন্দু অধিকারীকে বারবার পুলিশ তদন্তের নামে ডেকে বসিয়ে রাখছে। হেনস্তা করছে। এতদিন ধরে পুলিশ এই মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি কেন ! এই ঘটনা সবাই বুঝতে পারছে।"
উল্লেখ্য, কাঁথি পৌরসভায় থাকা সারদা সংক্রান্ত ফাইলের বিষয় জানতে শহরের এক আইনজীবী মনজুর রহমান আরটিআই করেছিলেন। তারপর কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুবলকুমার মান্না তথ্য দিতে না পারায় 28/06/22 সালে তিনি কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলার নম্বর 262/22। পুলিশ তদন্ত নেমে তৎকালীন কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীকে 07/10/22 সালে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর আবার 31/03/23 সালে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আবার কাঁথি থানার পুলিশের তরফ থেকে ফের একবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠায় ৷ বৃহস্পতিবার ফের একবার কাঁথি থানার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হবেন সৌমেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: নগদ নিয়ে প্রশ্নের অভিযোগ, আজ এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা মহুয়ার