তমলুক, 7 এপ্রিল : এলাকায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 7 । 31 তারিখে প্রথম খোঁজ মিলেছিল আক্রান্তের । তারপর সংখ্যাটা একের পর এক বাড়তে থাকে । ঘটনার সাতদিন কেটে গেলেও এলাকা স্যানিটাইজ় করতে দেখা গেল না স্থানীয় প্রশাসনকে । এদিকে আতঙ্কে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দারা ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, 31 তারিখে এলাকায় প্রথম কোরোনা আক্রান্ত হন বছর 80-র এক পান ব্যবসায়ী । পরে 4 তারিখ রাতে আক্রান্ত হন বৃ্দ্ধের পরিবারের আরও চার সদস্য ও তাঁর এলাকার স্থানীয় চিকিৎসক । গতকাল রাতে ফের এলাকারই আরও এক যুবতির শরীরে ধরা পড়ে মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি। তিনি সম্পর্কে স্থানীয় চিকিৎসকের বউমা। একটি এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় 7 । কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।
সংক্রমণের পর সাতদিন কেটে গেলেও এখনও জরুরি ভিত্তিতে করা হল না এলাকা স্যানিটাইজ়িংয়ের কাজ । আর এর জেরে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী । তাঁদের একটাই দাবি, দ্রুত এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হোক ।
যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, বারবার দমকলকে বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও আসেনি তারা । তাই মানুষের স্বার্থে তিনি নিজেই কয়েকজন ভিলেজ রিসোর্স পারসনদের নিয়ে হাত মেশিন দিয়ে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
এবিষয়ে বল্লুক এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শরৎচন্দ্র মেট্যিয়া বলেন, "আমি বারবার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি । এলাকায় দমকল বাহিনী এনে জীবাণুনাশক স্প্রে করার জন্য আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু তারা এখনও এসে পৌঁছায়নি। তাই বাধ্য হয়েই কয়েকজনকে নিয়ে হাতে স্প্রে মেশিন নিয়ে বেশ কয়েকটি এলাকা স্যানিটাইজ় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ।"
এবিষয়ে জানার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পার্থ ঘোষের সঙ্গে বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি ।