ETV Bharat / state

দেউলিয়ায় নাবালিকার মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা, নামল RAF - RAF

কোলাঘাটের দেউলিয়ায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক নাবালিকার। ঘাতক ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাস্থানের ছবি
author img

By

Published : Apr 5, 2019, 12:50 PM IST

Updated : Apr 5, 2019, 1:50 PM IST

কোলাঘাট, 5 এপ্রিল : ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল একটি সুইফট গাড়ি। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় এক নাবালিকার। তার নাম তানিশা মুখার্জি(12)। বাড়ি গড়ফা থানার মুকুন্দপুরে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোলাঘাটের দেউলিয়া বাজার এলাকা। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ঘাতক ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে।

আজ সকাল 9টা নাগাদ 6 নম্বর জাতীয় সড়কের দেউলিয়া বাজার এলাকায় রাস্তা পারাপারের জন্য একটি কন্টেনার থামায় সিভিক ভলান্টিয়ররা। তার পিছনেই ছিল একটি বাস, একটি সুইফট গাড়ি ও একটি ট্রাক। দ্রুত গতিতে আসা ট্রাকটি সুইফট গাড়িটির পিছনে ধাক্কা মারে। আচমকা ধাক্কায় গাড়িটি সামনে থাকা বাসের পিছনে ঢুকে যায়। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। এদিকে বাসটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা কন্টেনারে ধাক্কা মারে। এক নাবালিকার ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয়। চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তাদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

দেখুন ঘটনাস্থানের ভিডিয়ো

এদিকে, দুর্ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা ঘাতক ট্রাকটিতে আগুন ঘরিয়ে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে জনতার খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পরে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দেউলিয়া বাজার অত্যন্ত ব্যস্ত এলাকা। অবিলম্বে এখানে ফ্লাইওভার ও সাবওয়ে নির্মাণ করা প্রয়োজন। তা না হওয়ায় বার বার এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন একাধিকবার অশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সমাধান মেলেনি।

SDPO সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, "পথদুর্ঘটনায় এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। চারজন জখম হয়েছেন। অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে। লাঠিচার্জের অভিযোগ ঠিক নয়।"

কোলাঘাট, 5 এপ্রিল : ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল একটি সুইফট গাড়ি। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় এক নাবালিকার। তার নাম তানিশা মুখার্জি(12)। বাড়ি গড়ফা থানার মুকুন্দপুরে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোলাঘাটের দেউলিয়া বাজার এলাকা। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ঘাতক ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে।

আজ সকাল 9টা নাগাদ 6 নম্বর জাতীয় সড়কের দেউলিয়া বাজার এলাকায় রাস্তা পারাপারের জন্য একটি কন্টেনার থামায় সিভিক ভলান্টিয়ররা। তার পিছনেই ছিল একটি বাস, একটি সুইফট গাড়ি ও একটি ট্রাক। দ্রুত গতিতে আসা ট্রাকটি সুইফট গাড়িটির পিছনে ধাক্কা মারে। আচমকা ধাক্কায় গাড়িটি সামনে থাকা বাসের পিছনে ঢুকে যায়। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। এদিকে বাসটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা কন্টেনারে ধাক্কা মারে। এক নাবালিকার ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয়। চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তাদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

দেখুন ঘটনাস্থানের ভিডিয়ো

এদিকে, দুর্ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা ঘাতক ট্রাকটিতে আগুন ঘরিয়ে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে জনতার খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পরে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দেউলিয়া বাজার অত্যন্ত ব্যস্ত এলাকা। অবিলম্বে এখানে ফ্লাইওভার ও সাবওয়ে নির্মাণ করা প্রয়োজন। তা না হওয়ায় বার বার এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন একাধিকবার অশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সমাধান মেলেনি।

SDPO সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, "পথদুর্ঘটনায় এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। চারজন জখম হয়েছেন। অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে। লাঠিচার্জের অভিযোগ ঠিক নয়।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
Last Updated : Apr 5, 2019, 1:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.