ETV Bharat / state

সাহায্যের নামে মহিলাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর, গ্রেপ্তার - Haldia

রক্ষকই ভক্ষক ৷ সাহায্যের নামে মহিলাকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ৷ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷

image
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Feb 11, 2020, 4:29 PM IST

হলদিয়া , 11 ফেব্রুয়ারি : হলদিয়ায় মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলদিয়ার ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর ও সিভিক ভলান্টিয়র । গতকাল তাদের গ্রেপ্তার করে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয় । বিচারক তাদের 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন ।

গতবছর ভবানীপুর থানায় বেআইনি মদের ব্যবসার অপরাধে ওই মহিলার স্বামীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল । সে কারণে মামলা সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য তিনি ভবানীপুর থানায় হাজির হয়েছিলেন ওই মহিলা । অভিযোগ, সেই সময় সাহায্য করার অজুহাতে তাঁর ফোন নাম্বার নেন ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মুকুল মল্লিক । অভিযোগ, এরপর থেকে ওই মহিলাকে ফোনে হুমকি দিতে শুরু করে মুকুল ৷ মহিলার অভিযোগ, স্বামীকে আরও বড় মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে মুকুল ।

মহিলার আরও অভিযোগ, তাঁকে কোয়ার্টারে আসতে বাধ্য করেন অভিযুক্ত আধিকারিক । অভিযোগ, তিনি তা অস্বীকার করলে সিভিক ভলান্টিয়র গৌরহরি দাস অধিকারীকে দিয়ে জোর করে ভয় দেখিয়ে তাঁকে কোয়াটারে তুলে আনা হয় । আর সেখানেই দিনের পর দিন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চলতে থাকে । ওই মহিলা যাতে কোনওভাবেই কারও কাছে মুখ না খুলতে পারে তার জন্য সমস্ত ঘটনার ছবি মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখতেন পুলিশ অফিসার মুকুল মল্লিক । মুখ খুললেই সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত । দিনের পর দিন নিজের উপর ঘটে যাওয়া এই অত্যাচারের কথা চেপে রাখতে না পেরে তাঁর স্বামীকে জানায় । তারপরই পাঁচ মাস আগে তারা ওই পুলিশ আধিকারিক ও সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন । থানায় অভিযোগ হওয়ার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । প্রমাণ পাওয়ার পর গতকাল ওই দু'জনকে ভবানীপুর থানার দেভোগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় । গতকাল তাদের দু'জনকেই হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে মুকুল মল্লিককে পাঁচ দিনের পুলিশি হেপাজত এবং গৌর হরি দাস অধিকারীকে 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন । আজ অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার মুকুল মল্লিকের হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।

এই বিষয়ে হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তন্ময় মুখার্জি জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত মুকুল মল্লিককে আদালতের কাছে সাত দিনের পুলিশ-হেপাজত চাওয়া হলে বিচারক পাঁচদিনের হেপাজত মঞ্জুর করেন । আজ ধৃতের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে । যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেখানে ঘটনার সাথে আধিকারিকের জড়িত থাকার একাধিক প্রমাণ মিলেছে । যে কারণে তাকে গতকাল গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয় ।

হলদিয়া , 11 ফেব্রুয়ারি : হলদিয়ায় মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলদিয়ার ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর ও সিভিক ভলান্টিয়র । গতকাল তাদের গ্রেপ্তার করে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয় । বিচারক তাদের 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন ।

গতবছর ভবানীপুর থানায় বেআইনি মদের ব্যবসার অপরাধে ওই মহিলার স্বামীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল । সে কারণে মামলা সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য তিনি ভবানীপুর থানায় হাজির হয়েছিলেন ওই মহিলা । অভিযোগ, সেই সময় সাহায্য করার অজুহাতে তাঁর ফোন নাম্বার নেন ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মুকুল মল্লিক । অভিযোগ, এরপর থেকে ওই মহিলাকে ফোনে হুমকি দিতে শুরু করে মুকুল ৷ মহিলার অভিযোগ, স্বামীকে আরও বড় মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে মুকুল ।

মহিলার আরও অভিযোগ, তাঁকে কোয়ার্টারে আসতে বাধ্য করেন অভিযুক্ত আধিকারিক । অভিযোগ, তিনি তা অস্বীকার করলে সিভিক ভলান্টিয়র গৌরহরি দাস অধিকারীকে দিয়ে জোর করে ভয় দেখিয়ে তাঁকে কোয়াটারে তুলে আনা হয় । আর সেখানেই দিনের পর দিন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চলতে থাকে । ওই মহিলা যাতে কোনওভাবেই কারও কাছে মুখ না খুলতে পারে তার জন্য সমস্ত ঘটনার ছবি মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখতেন পুলিশ অফিসার মুকুল মল্লিক । মুখ খুললেই সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত । দিনের পর দিন নিজের উপর ঘটে যাওয়া এই অত্যাচারের কথা চেপে রাখতে না পেরে তাঁর স্বামীকে জানায় । তারপরই পাঁচ মাস আগে তারা ওই পুলিশ আধিকারিক ও সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন । থানায় অভিযোগ হওয়ার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । প্রমাণ পাওয়ার পর গতকাল ওই দু'জনকে ভবানীপুর থানার দেভোগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় । গতকাল তাদের দু'জনকেই হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে মুকুল মল্লিককে পাঁচ দিনের পুলিশি হেপাজত এবং গৌর হরি দাস অধিকারীকে 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন । আজ অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার মুকুল মল্লিকের হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।

এই বিষয়ে হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তন্ময় মুখার্জি জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত মুকুল মল্লিককে আদালতের কাছে সাত দিনের পুলিশ-হেপাজত চাওয়া হলে বিচারক পাঁচদিনের হেপাজত মঞ্জুর করেন । আজ ধৃতের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে । যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেখানে ঘটনার সাথে আধিকারিকের জড়িত থাকার একাধিক প্রমাণ মিলেছে । যে কারণে তাকে গতকাল গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয় ।

Intro:হলদিয়া,১১ ফেব্রুয়ারি: পুলিশের কাছে সহায়তা নিতে এসে ধর্ষিতা হয়েছিলেন এক গৃহবধূ এবার সেই ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন হলদিয়ার ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর ও সিভিক ভলেন্টিয়ার। ঘটনাটি হলদিয়ার ভবানীপুর থানার। গতকাল তাদের গ্রেফতার করে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।Body:পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর ভবানীপুর থানায় বেআইনি মদের ব্যবসায়ী এক ব্যক্তির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। যে কারণেই ওই গৃহবধূ মামলা সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য ভবানীপুর থানার দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ সে সময় বধূকে সাহায্য করার অছিলায় তার ফোন নাম্বার নিয়ে নেন অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক মুকুল মল্লিক। পরে ফোন করে ওই গৃহবধূকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার তার স্বামী বেআইনি মদের ব্যবসায়ীকে আরো বড় মামলা দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। মামলা থেকে মুক্তি পেতে বধূকে নিজের কোয়াটারে বারবার আসতে বাধ্য করেন অভিযুক্ত আধিকারিক। অভিযোগ বধু আসতে না চাওয়ায় এলাকার সিভিক ভলেন্টিয়ার গৌর হরি দাস অধিকারী কে বাড়িতে পাঠিয়ে নির্যাতিতা বধুকে জোর করে ভয় দেখিয়ে কোয়াটারে তুলে আনা হয়। আর সেখানেই চলে দিনের পর দিন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যাতে বধু কোনভাবেই কারো কাছে মুখ না খুলতে পারে তার জন্য সমস্ত ঘটনার ছবি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করে রাখতেন পুলিশ অফিসার মুকুল মল্লিক। মুখ খুললেই সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। দিনের পর দিন নিজের উপর ঘটে যাওয়া এই অত্যাচারের কথা একদিন চেপে রাখতে না পেরে নিজের স্বামীর কাছে প্রকাশ করেন নির্যাতিতা বধু। তারপরই পাঁচ মাস আগে দেখতে বধু ও তার স্বামী হলদিয়ার মহিলা থানায় ভগবানপুর থানায় কর্তব্যরত এসআই মুকুল মল্লিক ও সিভিক ভলেন্টিয়ার গৌরহরি দাস অধিকারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ হওয়ার পর থেকেই মুকুল মল্লিক কে তমলুক পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। তদন্তে আধিকারিকের বিরুদ্ধে মহিলার সাথে অভব্য আচরণের প্রমাণ পাওয়ায় গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার কে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার দেভোগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাদের দু'জনকেই হলদিয়া মহকুমা আদালতে বিচারকের কাছে তোলা হলে বিচারক মুকুল মল্লিককে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত এবং গৌর হরি দাস অধিকারী কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আজ অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার মুকুল মল্লিকের হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।
Conclusion:এ বিষয়ে হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তন্ময় মুখার্জি জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত মুকুল মল্লিকে আদালতের কাছে সাত দিনের পুলিশ-হেফাজত চাওয়া হলে বিচারক পাঁচদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন। আজ ধৃতের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে আধিকারিকের জড়িত থাকার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। যে কারণে তাকে গতকাল গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.