কাথি, ১৬ ফেব্রুয়ারি : আদালত সংলগ্ন মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে ধাক্কা মারতে মারতে নিয়ে যাচ্ছেন এক আইনজীবী। শুধু তাই নয়, টাকা না দিলে ফের জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকিও বৃদ্ধকে দিচ্ছেন তিনি। ঘটনাটি কাঁথি মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরের। সোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও ইনাডু ইন্ডিয়া এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক বৃদ্ধর জামার কলার ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন কাঁথি মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় মিশ্র। তাঁকে হুমকির স্বরে বলতে শোনা যায়, "আগে অ্যাডভান্স টাকা ফেল। না হলে জেলে ঢুকিয়ে দেব। কাল বেরিয়ে আসবি। আবার জেলে ঢুকিয়ে দেব।" টাকা নেই বলায়, বৃদ্ধর জামার পকেটে হাত ঢুকিয়ে টাকা বের করার চেষ্টাও করেন তিনি। আইনজীবীর সঙ্গে বৃদ্ধকে নিগ্রহ করছিলেন অধীর বেরা নামে আরও এক ব্যক্তি। সে না কি সঞ্জয় মিশ্রর মক্কেল।
ভগবানপুরের ভৈরবীচকের বাসিন্দা শ্রীকান্ত মাঝির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় কাঁথির জালালখাঁ বাড়ের বাসিন্দা অধীর বেরার। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। জেল হয় শ্রীকান্ত মাঝির ছেলে সিদ্ধার্থর। মামলায় নাম ছিল শ্রীকান্ত মাঝিরও। গতকাল ছেলের জামিন ও নিজের অগ্রিম জামিনের জন্য আদালতে আসেন তিনি। বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে, আইনজীবি সঞ্জয় মিশ্র মধ্যস্থতা করে মামলাটি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আড়াই লাখ টাকা চেয়েছিলেন শ্রীকান্তর থেকে। কিন্তু, টাকা দিতে পারেননি শ্রীকান্ত। অভিযোগ, গতকাল আদালত থেকে বেরোনোর পরই তাঁর উপর চড়াও হন আইনজীবী সঞ্জয় মিশ্র ও অধীর বেরা। তাঁকে ধাক্কাধাক্কি ও হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। সামনে আসে ঘটনার ভিডিয়ো।
শ্রীকান্ত মাঝি বলেন, "সঞ্জয় মিশ্র আমাকে চাপ দিয়ে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমি টাকা না দেওয়ায় তিনি আমাদের জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত জামিন মঞ্জুর কারার পর বাইরে বেরোতেই আমাকে মারধর করেন।"
তবে এবিষয়ে সঞ্জয় মিশ্ৰকে ফোন করা হলে তিনি চোটপাট শুরু করেন। বলেন "আমি তোদের নামে অভিযোগ জানাব। কাশ্মীরে যা ওখানে বড়বড় ঘটনা ঘটেছে। বড়বড় খবর পাবি। আমার খবর করলে আমি বুঝে নেব।"
কাঁথি ক্রিমিনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আইনজীবী স্বরূপ ভৌমিক বলেন, "ঘটনাটি জানার পরই ওই বৃদ্ধকে আমরা উদ্ধার করি। উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি। এভাবে কাউকে মারধর করা ঠিক নয়।"
বিঃ দ্রঃ - ইনাডু ইন্ডিয়া এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।