রামনগর, 19 নভেম্বর : বিয়ের আগে অন্য যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গেছিল মেয়ে । তাকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে মেয়ের সামনেই ওই যুবক ও তার পরিবারের মারে মৃত্যু হল ব্যক্তির । মৃতের নাম পার্থসারথি মান্না (45) । ঘটনাটি রামনগর থানার দামোদরপুর এলাকার । ঘটনায় জখম হয়েছে যুবতির মা ও বাকি পরিবারের সদস্যরাও । তারা দিঘা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
12 নভেম্বরে দুপুরে কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল পার্থসারথির মেয়ে তনুশ্রী মান্না । কলেজ থেকে ফেরার সময় পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি ফেরেনি । বাবা- মা কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকায় পরিবারের লোকজন তাঁদের খবর দেন । তাঁরা সেখান থেকে খোঁজ- খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন । তাতে কাজ না হওয়ায় শনিবার রামনগর ফেরেন । জানতে পারেন, মেয়ে পাড়ারই এক যুবক পার্থপ্রতিম বেরার সঙ্গে পালিয়ে গেছে ৷ এবং সেই যুবকের বাড়িতেই রয়েছে । তারপর গতকাল ওই যুবকের বাড়ি থেকে মেয়েকে আনতে যান পার্থসারথি ও তাঁর পরিবার । সেখানে তনুশ্রীকে বুঝিয়ে নিয়ে আসতে গেলে যুবকের পরিবারের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁদের । পার্থসারথিকে যুবকের পরিবার বাঁশ দিয়ে পেটায় । বাকিদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় । ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় পার্থসারথির । রামনগর থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । বাকিদের দিঘা হাসপাতালে ভরতি করে ।
তনুশ্রীর মা গীতা মান্না বলেন, "মেয়ে চলে গেছিল । আজ ওর বিয়ে । তাই ওর বাবা, আমি আর আমাদের পরিবারের কয়েকজন ওকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য গেছিলাম । সেখানেই পার্থপ্রতিম আর ওর পরিবারের লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয় । আমাদের ব্যাপক মারধর করে । আমার স্বামীকে মারধর করে মেরেই ফেলে ওরা ।"
তনুশ্রীর মামা প্রদীপ গারু বলেন, "কলেজ যাওয়ার নাম করে ভাগ্নি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছয় সাত দিন আগে পালিয়ে যায় । দিদি, জামাইবাবু ও আমরা তাই ওকে ফিরিয়ে আনার জন্য গতকাল রাতে পার্থপ্রতিমের বাড়িতে গেছিলাম । সেখানেই গ্রামবাসী ও তার বাড়ির লোকজন আমাদের ব্যাপক মারধর করে । মৃত্যু হয় জামাইবাবুর । আমরা পুলিশকে সব ঘটনা জানিয়েছি ।"
রামনগর থানার OC স্বপন গোস্বামী জানিয়েছেন, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে ।