কলকাতা, 21 জানুয়ারি: আরজি কর-কাণ্ডে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার ৷ মঙ্গলবার সকালেই বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জেলারেল (এজি) কিশোর দত্ত ৷
আরজি কর-কাণ্ডে সোমবার শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সাজা ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন এই রায়ে তিনি খুশ নন ৷ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি ৷ সেই মত এদিন সর্বোচ্চ সাজার (মৃত্যুদণ্ড) দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার ৷
আরজি কর মামলায় সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদা আদালত ৷ এর রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার উচ্চআদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য। রাজ্যের তরফে সওয়াল করবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ৷ রাজ্যের তরফে সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মত্যুদণ্ডের দাবিতে মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি।
আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শনিবার অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিয়ালদা আদালতে ৷ সোমবার অ্যাডিশিনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেন ৷ পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারকে মোট 17 লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন বিচারক ৷
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 64, 66 এবং 103(1) ধারায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও 50 হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচাররক। কিন্তু গতকাল শিয়ালদহ আদালতের বিচারকের নির্দেশ সামনে আসার পরই বিভিন্নমহল থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই রায়ে তারা খুশি নন। সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল ৷ একইসঙ্গে রাজ্য সরকার হাইকোর্টে আপিল করবে বলেও জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সকালে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মত্যুদণ্ডের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান। ডিভিশন বেঞ্চ সেই অনুমতি দেয়।