পাঁশকুড়া, ৪ মার্চ : লেভেল ক্রসিংয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা। অবরোধের জেরে দুরন্ত এক্সপ্রেস, কুরলা এক্সপ্রেসসহ একাধিক দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর অবরোধ তোলা হয়। ঘটনাটি পাঁশকুড়ার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পাঁশকুড়া লেভেল ক্রসিংয়ে একবার গেট পড়লে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট পর তা খোলা হয়। কখনও কখনও তা এক ঘণ্টাও পেরিয়ে যায়। তার জেরে ব্যস্ত সময়ে লেভেল ক্রসিং সংলগ্ন রোডে ব্যাপক যানজট হয়। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। গতকাল বিকেল তিনটে নাগাদ দলীয় কর্মসূচি সেরে সৌমেনবাবু কলকাতায় ফিরছিলেন। তিনিও লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে পড়েন। প্রায় ৪০ মিনিট পর গেট তোলা হলে মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে রেললাইনের উপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা। তার জেরে দুরন্ত এক্সপ্রেস, কুরলা এক্সপ্রেসসহ একাধিক ট্রেন আটকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র রবিশংকর। তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
স্থানীয় শেখ ফিরোজ আলি বলেন, "রেলগেট পড়লে ৪০-৪৫ মিনিট আবার কখনও কখনও এক ঘণ্টা গেট খোলা হয় না। দিনের পর দিন আমরা এই অত্যাচারের শিকার হচ্ছি। মন্ত্রীর গাড়িও ৪০ মিনিট আটকে ছিল। তাঁকে কাছে পেয়ে আমরা বিক্ষোভ দেখাই। পরে তিনিও আমাদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন। রেলের তরফে আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ তুলে নিয়েছি।" অন্যদিকে, সৌমেনবাবু বলেন, "এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। নিত্যদিন এভাবেই আমরা ভুগছি। এটা তো সাঁতরাগাছি বা রামরাজাতলার মতো ব্যস্ত লেভেল ক্রসিং নয়। তবুও কেন এতক্ষণ গেট পড়ে থাকবে ? আমি রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, রেলের তরফে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেগুলি দ্রুত সংশোধন করে নেওয়া হবে।"
অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র রবিশংকর বলেন, "এটি অত্যন্ত ব্যস্ত লেভেল ক্রসিং। সেজন্য কিছুটা সময় লাগে। আমরা চেষ্টা করব যাতে অল্প সময়ের মধ্যেই গেট খোলা যায়। আমরা ১০ দিন সময় নিয়েছি।" বিক্ষোভরত স্থানীয়রা উড়ালপুরের দাবিও তোলেন। সে প্রসঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র বলেন, "যদি রাজ্য সরকার জায়গা অধিগ্রহণ করে তাহলে দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণ করে দেওয়া হবে।"