ETV Bharat / state

দীর্ঘক্ষণ লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে, সেচমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

লেভেল ক্রসিংয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়। তার প্রতিবাদ মন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

ঘটনাস্থানের ছবি
author img

By

Published : Mar 4, 2019, 7:30 AM IST

পাঁশকুড়া, ৪ মার্চ : লেভেল ক্রসিংয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা। অবরোধের জেরে দুরন্ত এক্সপ্রেস, কুরলা এক্সপ্রেসসহ একাধিক দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর অবরোধ তোলা হয়। ঘটনাটি পাঁশকুড়ার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাঁশকুড়া লেভেল ক্রসিংয়ে একবার গেট পড়লে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট পর তা খোলা হয়। কখনও কখনও তা এক ঘণ্টাও পেরিয়ে যায়। তার জেরে ব্যস্ত সময়ে লেভেল ক্রসিং সংলগ্ন রোডে ব্যাপক যানজট হয়। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। গতকাল বিকেল তিনটে নাগাদ দলীয় কর্মসূচি সেরে সৌমেনবাবু কলকাতায় ফিরছিলেন। তিনিও লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে পড়েন। প্রায় ৪০ মিনিট পর গেট তোলা হলে মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে রেললাইনের উপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা। তার জেরে দুরন্ত এক্সপ্রেস, কুরলা এক্সপ্রেসসহ একাধিক ট্রেন আটকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র রবিশংকর। তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।

স্থানীয় শেখ ফিরোজ আলি বলেন, "রেলগেট পড়লে ৪০-৪৫ মিনিট আবার কখনও কখনও এক ঘণ্টা গেট খোলা হয় না। দিনের পর দিন আমরা এই অত্যাচারের শিকার হচ্ছি। মন্ত্রীর গাড়িও ৪০ মিনিট আটকে ছিল। তাঁকে কাছে পেয়ে আমরা বিক্ষোভ দেখাই। পরে তিনিও আমাদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন। রেলের তরফে আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ তুলে নিয়েছি।" অন্যদিকে, সৌমেনবাবু বলেন, "এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। নিত্যদিন এভাবেই আমরা ভুগছি। এটা তো সাঁতরাগাছি বা রামরাজাতলার মতো ব্যস্ত লেভেল ক্রসিং নয়। তবুও কেন এতক্ষণ গেট পড়ে থাকবে ? আমি রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, রেলের তরফে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেগুলি দ্রুত সংশোধন করে নেওয়া হবে।"

undefined

অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র রবিশংকর বলেন, "এটি অত্যন্ত ব্যস্ত লেভেল ক্রসিং। সেজন্য কিছুটা সময় লাগে। আমরা চেষ্টা করব যাতে অল্প সময়ের মধ্যেই গেট খোলা যায়। আমরা ১০ দিন সময় নিয়েছি।" বিক্ষোভরত স্থানীয়রা উড়ালপুরের দাবিও তোলেন। সে প্রসঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র বলেন, "যদি রাজ্য সরকার জায়গা অধিগ্রহণ করে তাহলে দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণ করে দেওয়া হবে।"

পাঁশকুড়া, ৪ মার্চ : লেভেল ক্রসিংয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা। অবরোধের জেরে দুরন্ত এক্সপ্রেস, কুরলা এক্সপ্রেসসহ একাধিক দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর অবরোধ তোলা হয়। ঘটনাটি পাঁশকুড়ার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাঁশকুড়া লেভেল ক্রসিংয়ে একবার গেট পড়লে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট পর তা খোলা হয়। কখনও কখনও তা এক ঘণ্টাও পেরিয়ে যায়। তার জেরে ব্যস্ত সময়ে লেভেল ক্রসিং সংলগ্ন রোডে ব্যাপক যানজট হয়। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। গতকাল বিকেল তিনটে নাগাদ দলীয় কর্মসূচি সেরে সৌমেনবাবু কলকাতায় ফিরছিলেন। তিনিও লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে পড়েন। প্রায় ৪০ মিনিট পর গেট তোলা হলে মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে রেললাইনের উপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা। তার জেরে দুরন্ত এক্সপ্রেস, কুরলা এক্সপ্রেসসহ একাধিক ট্রেন আটকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র রবিশংকর। তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।

স্থানীয় শেখ ফিরোজ আলি বলেন, "রেলগেট পড়লে ৪০-৪৫ মিনিট আবার কখনও কখনও এক ঘণ্টা গেট খোলা হয় না। দিনের পর দিন আমরা এই অত্যাচারের শিকার হচ্ছি। মন্ত্রীর গাড়িও ৪০ মিনিট আটকে ছিল। তাঁকে কাছে পেয়ে আমরা বিক্ষোভ দেখাই। পরে তিনিও আমাদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন। রেলের তরফে আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ তুলে নিয়েছি।" অন্যদিকে, সৌমেনবাবু বলেন, "এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। নিত্যদিন এভাবেই আমরা ভুগছি। এটা তো সাঁতরাগাছি বা রামরাজাতলার মতো ব্যস্ত লেভেল ক্রসিং নয়। তবুও কেন এতক্ষণ গেট পড়ে থাকবে ? আমি রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, রেলের তরফে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেগুলি দ্রুত সংশোধন করে নেওয়া হবে।"

undefined

অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র রবিশংকর বলেন, "এটি অত্যন্ত ব্যস্ত লেভেল ক্রসিং। সেজন্য কিছুটা সময় লাগে। আমরা চেষ্টা করব যাতে অল্প সময়ের মধ্যেই গেট খোলা যায়। আমরা ১০ দিন সময় নিয়েছি।" বিক্ষোভরত স্থানীয়রা উড়ালপুরের দাবিও তোলেন। সে প্রসঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র বলেন, "যদি রাজ্য সরকার জায়গা অধিগ্রহণ করে তাহলে দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণ করে দেওয়া হবে।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.