ETV Bharat / state

চিকিৎসকের অভাব, পরিকাঠামো তৈরি করে কী লাভ? প্রশ্ন স্থানীয়দের - Mamata Banerjee

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, 300 শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালাতে গেলে কমপক্ষে 80 জন চিকিৎসকের প্রয়োজন ৷ কিন্তু পাঁশকুড়া হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র 25 জন চিকিৎসক ৷ তাই কেবলমাত্র পরিকাঠামো তৈরি করে কী লাভ ৷ চিকিৎসকই যদি হাসপাতালে না থাকে তাহলে পরিষেবা পাওয়া যাবে কীভাবে ৷ প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা ৷

New CCU
নতুন CCU
author img

By

Published : Feb 12, 2020, 11:12 PM IST

Updated : Feb 12, 2020, 11:46 PM IST

পাঁশকুড়া, 12 ফেব্রুয়ারি : আজ বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (CCU)-এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু দীর্ঘ ছ'মাস ধরে সেই হাসপাতালে নেই কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ । স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, 300 শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালাতে গেলে কমপক্ষে 80 জন চিকিৎসকের প্রয়োজন ৷ কিন্তু পাঁশকুড়া হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র 25 জন চিকিৎসক ৷ তাই কেবলমাত্র পরিকাঠামো তৈরি করে কী লাভ ৷ চিকিৎসকই যদি হাসপাতালে না থাকে তাহলে পরিষেবা পাওয়া যাবে কীভাবে ৷ প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা ৷

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, 2016 সালের 11 ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরসহ একাধিক জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন । পাঁশকুড়াও পেয়েছে 300 শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল । হাসপাতলে ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে দামী মেশিনপত্র ৷ কিন্তু সে সব হাসপাতলে কেবলমাত্র শো পিস হয়েই পড়ে রয়েছে । কয়েকটি বিভাগ চালু করা গেলেও দীর্ঘ চারবছর পরেও চালু করা যায়নি একাধিক পরিষেবা ।

পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে CCU- র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দশ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের উদ্বোধন করেন । এই উপলক্ষে পাঁশকুড়াতেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে অনুষ্ঠানমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল, সভাধিপতি দেবব্রত দাস, পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্রসহ অন্যরা ৷ মঞ্চ থেকে প্রায় সব আধিকারিকরাই সাধারণ মানুষকে সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দেন । কিন্তু পরিষেবা যিনি দেবেন সেই চিকিৎসকই যদি অপ্রতুল হয়, তাহলে মানুষ পরিষেবা পাবে কীভাবে, প্রশ্ন সাধারণ মানুষের ৷

মাত্র 25 জন চিকিৎসক রয়েছেন হাসপাতালে ৷ একাধিক বিভাগে নেই ল্যাব টেকনিশিয়ান । দীর্ঘ ছ'মাস ধরে শিশু বিভাগে নেই কোনও চিকিৎসক । যে কারণে এখনও পর্যন্ত চালু করা যায়নি হাসপাতালের SNCU বিভাগ । ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে ঝাঁ-চকচকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রোশন খান বলেন, " CCU হাসপাতালে চালু হওয়ায় আমরা খুবই খুশি । কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানে কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই । হাসপাতালে বাচ্চাদের চিকিৎসা করাতে এলে চিকিৎসকরা ফিরে যেতে বলেন । আমরা চাই দ্রুত হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হোক ।

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, 10 শয্যার CCU-তে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন মোট 8 জন ডাক্তারের ৷ চারজন চিকিৎসককে ইতিমধ্যে বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু এক্ষেত্রেও চিকিৎসকের সংখ্যা কম হওয়ায় মানুষ কতটা পরিষেবা পাবে তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে । যদিও সবরকম সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল । তিনি জানিয়েছেন, "CCU না থাকায় অনেক রোগীকে এতদিন রেফার করতে হত অন্য হাসপাতালে । এই বিভাগ চালু হওয়ায় চিকিৎসকরাও এবার থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চিকিৎসা করতে পারবেন ৷ পাশাপাশি রেফারের সংখ্যাও কমবে । শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "একজন ছিলেন ৷ তাঁর বদলি হয়ে গেছে ৷ আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি ৷ আশা করছি সরকার নিয়োগ করবে ৷ " তিনি আরও বলেন, "রাজ্যে চিকিৎসক পাওয়ার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা আছে ৷ গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসকরা অনেক সময় আসতে চান না ৷ আমার মনে হয় আগামীদিনে এই সমস্যা মিটবে ৷ কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মেডিকেল কলেজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে ৷ "

পাঁশকুড়া, 12 ফেব্রুয়ারি : আজ বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (CCU)-এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু দীর্ঘ ছ'মাস ধরে সেই হাসপাতালে নেই কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ । স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, 300 শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালাতে গেলে কমপক্ষে 80 জন চিকিৎসকের প্রয়োজন ৷ কিন্তু পাঁশকুড়া হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র 25 জন চিকিৎসক ৷ তাই কেবলমাত্র পরিকাঠামো তৈরি করে কী লাভ ৷ চিকিৎসকই যদি হাসপাতালে না থাকে তাহলে পরিষেবা পাওয়া যাবে কীভাবে ৷ প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা ৷

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, 2016 সালের 11 ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরসহ একাধিক জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন । পাঁশকুড়াও পেয়েছে 300 শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল । হাসপাতলে ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে দামী মেশিনপত্র ৷ কিন্তু সে সব হাসপাতলে কেবলমাত্র শো পিস হয়েই পড়ে রয়েছে । কয়েকটি বিভাগ চালু করা গেলেও দীর্ঘ চারবছর পরেও চালু করা যায়নি একাধিক পরিষেবা ।

পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে CCU- র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দশ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের উদ্বোধন করেন । এই উপলক্ষে পাঁশকুড়াতেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে অনুষ্ঠানমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল, সভাধিপতি দেবব্রত দাস, পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্রসহ অন্যরা ৷ মঞ্চ থেকে প্রায় সব আধিকারিকরাই সাধারণ মানুষকে সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দেন । কিন্তু পরিষেবা যিনি দেবেন সেই চিকিৎসকই যদি অপ্রতুল হয়, তাহলে মানুষ পরিষেবা পাবে কীভাবে, প্রশ্ন সাধারণ মানুষের ৷

মাত্র 25 জন চিকিৎসক রয়েছেন হাসপাতালে ৷ একাধিক বিভাগে নেই ল্যাব টেকনিশিয়ান । দীর্ঘ ছ'মাস ধরে শিশু বিভাগে নেই কোনও চিকিৎসক । যে কারণে এখনও পর্যন্ত চালু করা যায়নি হাসপাতালের SNCU বিভাগ । ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে ঝাঁ-চকচকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রোশন খান বলেন, " CCU হাসপাতালে চালু হওয়ায় আমরা খুবই খুশি । কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানে কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই । হাসপাতালে বাচ্চাদের চিকিৎসা করাতে এলে চিকিৎসকরা ফিরে যেতে বলেন । আমরা চাই দ্রুত হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হোক ।

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, 10 শয্যার CCU-তে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন মোট 8 জন ডাক্তারের ৷ চারজন চিকিৎসককে ইতিমধ্যে বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু এক্ষেত্রেও চিকিৎসকের সংখ্যা কম হওয়ায় মানুষ কতটা পরিষেবা পাবে তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে । যদিও সবরকম সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল । তিনি জানিয়েছেন, "CCU না থাকায় অনেক রোগীকে এতদিন রেফার করতে হত অন্য হাসপাতালে । এই বিভাগ চালু হওয়ায় চিকিৎসকরাও এবার থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চিকিৎসা করতে পারবেন ৷ পাশাপাশি রেফারের সংখ্যাও কমবে । শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "একজন ছিলেন ৷ তাঁর বদলি হয়ে গেছে ৷ আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি ৷ আশা করছি সরকার নিয়োগ করবে ৷ " তিনি আরও বলেন, "রাজ্যে চিকিৎসক পাওয়ার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা আছে ৷ গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসকরা অনেক সময় আসতে চান না ৷ আমার মনে হয় আগামীদিনে এই সমস্যা মিটবে ৷ কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মেডিকেল কলেজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে ৷ "

Last Updated : Feb 12, 2020, 11:46 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.