রামনগর , 1 মে : ফের নতুন করে কোরোনা আতঙ্ক তৈরি হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৷ হাওড়া থেকে আসা এক ল্যাব কর্মী সহ তাঁর পরিবারের ছ'জনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হল ৷ জানা গেছে , তিনি নাকি হাওড়ার কোরোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছিলেন ৷
26 এপ্রিল হাওড়ার এক চিকিৎসকের কোরোনা টেস্টের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর ওই ল্যাব টেকনিশিয়ান নাকি লুকিয়ে বাড়ি চলে আসে । জানা যায় , ওই ল্যাবে কোরোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকের শারীরিক কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছিল । আর চিকিৎসকের কোরোনার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ল্যাবের সমস্ত কর্মচারীদের কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু ওই ল্যাবের টেকনিশিয়ান চিকিৎসকের কোরোনার রিপোর্ট পজ়িটিভ শুনে কাউকে কিছু না জানিয়ে কয়েকদিন আগে রামনগর থানা এলাকায় নিজের গ্রামে চলে আসে । বাড়িতে এসে হোম কোয়ারনটিনে না থেকে অনেকের সংস্পর্শে আসে । গতকাল স্বাস্থ্য দপ্তর এই খবর পাওয়া মাত্রই নড়েচড়ে বসে । রাতেই স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সকলের থার্মাল স্ক্যানিং করে । এরপর রাতেই তাঁদের চণ্ডিপুর আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয় ।
নন্দীগ্রামের CMOH সুব্রত রায় বলেন , ওই যুবক হাওড়ার একটি ল্যাবে কাজ করত । সেখানে কাজ করার সময় একজনের কোরোনা ধরা পড়ে । তারপর সে লুকিয়ে বাড়ি চলে আসে । স্বাস্থ্য দপ্তর খবর পাওয়া মাত্রই তাকে এবং তার পরিবারের সবাইকে থার্মাল স্ক্যানিং করে চণ্ডিপুর কোরোনা হাসপাতলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেছে । আজ তাদের সোয়াবের নমুনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।