কাঁথি, 30 ডিসেম্বর : গতকাল খড়দহের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন "আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে।" সভার শেষ হতে না হতেই কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌমেন্দু অধিকারীকে । তারপরই আজ সকালে কাঁথির বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ তথা কাঁথি জ়োনের পর্যবেক্ষক জ্যোতির্ময় মাহাত ৷ অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও ৷ যদিও এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলে দাবি করেছেন জ্যোতির্ময় মাহাত ৷
আরও পড়ুন : "আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে, তোমার বাড়িতে ঢুকেও পদ্ম ফোটাব"
আজ সকাল 10টা নাগাদ অধিকারী পরিবারের বাড়ি কাঁথির শান্তিকুঞ্জে আসেন জ্যোতির্ময় মাহাত ৷ অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সেই সময় বাড়িতে শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিশির, দিব্যেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারী ৷ আজ এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শুভেন্দুসহ অধিকারী পরিবারের অপর তিন সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন ওই বিজেপি সাংসদ ৷ বৈঠক শেষে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু ৷ এই ঘটনার পর থেকে অধিকারী পরিবারের অবস্থান নিয়ে সরগরম জেলার রাজনীতি ৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, গতকাল শুভেন্দুর ওই বক্তব্যের পালটা সৌমেন্দুকে কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জেরে তৃণমূল-অধিকারী পরিবারের ফাটল আরও চওড়া হল ৷
আরও পড়ুন : কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভেন্দু-র ভাই সৌমেন্দুকে
যদিও এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করছেন জ্যোতির্ময় মাহাত ৷ বৈঠক শেষে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংসদ জানান, "আমি এই জ়োনে বিজেপির পর্যবেক্ষক ৷ তাই বিজেপির অপর কার্যকর্তার বাড়িতে চা পান অস্বাভাবিক নয়৷" এবিষয়ে শিশির অধিকারী বা সৌমেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ফোনে জানান, "আমার সঙ্গে কারোর কোনও কথা হয়নি । আমি এবিষয়ে কিছু জানি না ।"