পূর্ব মেদিনীপুর, 9 জুন : বাড়িতে দেহ ব্যবসা ও মধু চক্রের অভিযোগ।পুলিশের জালে ধরা পড়ল তিন যুবতি । দিঘার নন্দকুমার জাতীয় সড়কের মারিশদা থানার বেতালিয়া এলাকার ঘটনা । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেতালিয়া এলাকার নারায়ণ মাইতি ওরফে রামুর বাড়িতে মধুচক্র চলত। রামুর বাড়ির থেকে যুবতিদের বিভিন্ন জায়গায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পাঠানো হত । পুলিশকে অনেক বার জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি । গতকাল গ্রামবাসীরা রামুর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ আসে । গ্রামবাসীরা পুলিশের হাতে তিন যুবতি সহ এক যুবককে তুলে দেয় ।
গ্রামবাসীরা জানায়, গতকাল বিকেলে গ্রামবাসীরা মিলে এক যুবককে খদ্দের সাজিয়ে ওই বাড়িতে পাঠায় । সেই যুবক ওই বাড়ির অন্দরে যুবতি দেখে তা গ্রামবাসীদের ফোনে জানায় । হাতেনাতে সেখান থেকে তিন যুবতি সহ এক যুবককে ধরে ফেলে মারধর করতে থাকে । অবশ্য এই চক্রের এজ়েন্ট মোরশেদ পালিয়ে যায় । তারপর গ্রামবাসীরা বাড়িটিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । দাবি তোলে, বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হোক । পরে পুলিশ আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা । তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই তিন যুবতি নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনার বাসিন্দা । স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ইমরান এ প্রসঙ্গে বলেন, "এই বাড়িতে এর আগেও এই রকম ঘটনা ঘটেছিল । নারায়ণ মাইতি 6 থেকে 7 জন যুবতিকে এই বাড়িতে এনে রাখত । আবার এখান থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তাদের পাঠাত ।" অন্যদিকে এ বিষয়ে মারিশদা থানার OC অমিতদেবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।