তমলুক, 5 জুন : প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পান না কোনও পারিশ্রমিক ৷ পান শুধুমাত্র সরকারি সাম্মানিক ভাতা । কোরোনা যুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এলাকায় ঘুরে কাজ করে যাচ্ছেন আশাকর্মীরা । কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজের পরিধি বাড়লেও এখনও তাঁরা সরকারি স্বীকৃতি পাননি । ফলে আর্থিক অনটন তাঁদের নিত্যসঙ্গী ৷ কিন্তু, তা হলেও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার লড়াইয়ে সহযোগিতা করার তাগিদ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে 2 লাখ 3 হাজার টাকা তুলে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আশাকর্মীরা ।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে কোরোনা যুদ্ধে আশাকর্মীদের তরফে আর্থিক অনুদান পাওয়ায় খুশি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল । গতকাল দুপুর নাগাদ তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডলের হাতে 2 লাখ 3 হাজার টাকার চেক তুলে দেন ডিস্ট্রিক্ট আশা ফেসিলিটেটর বিদ্যুৎ সামন্ত । জেলার 12 টি ব্লকের মোট 2003 জন আশাকর্মী , 24 জন ব্লক আশা ফেসিলিটেটর ও একজন ডিস্ট্রিক্ট ফেসিলিটেটর মিলে এই আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করেন । সেই অনুদান মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
আর্থিক সহযোগিতার প্রাপ্তি স্বীকার করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল ৷ তিনি বলেন, " গত 3 মাস ধরে কোরোনা যুদ্ধে আশা কর্মীরা মাঠে নেমে যেভাবে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন তা অত্যন্ত প্রশংসার যোগ্য । ওঁরা সরকারিভাবে কোনও বেতন না পেলেও কেবলমাত্র সাম্মানিক ভাতার উপর নির্ভর করে মানুষের স্বার্থে অর্থ দান করলেন তাঁরা ৷ যেভাবে আজ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য তাঁরা আর্থিক অনুদান তুলে দিলেন তা অত্যন্ত গর্বের । সরকারিভাবে আমরা আশা কর্মীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ছাড়া তেমনভাবে কিছুই দিতে পারছি না ৷ একটাই অনুরোধ করব, মাঠে নেমে কাজের সময় একটু সতর্ক থাকবেন আপনাদেরও পরিবার আছে ৷ "