ঢাকা, 11 জুলাই: গনরোষের জেরে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন গত বছরের 5 অগস্ট। আর ওই একদিনেই সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের 1,452টি ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পুলিশের দেওয়া এক রিপোর্ট থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি পুলিশের দাবি, এই ধরনের আক্রমণের যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে সেগুলির বেশিরভাগেরই নেপথ্যে কোনও না কোনও রাজনৈতিক কারণ আছে।
অন্যদিকে, আক্রমণ বন্ধ করতে তৎপর হয়েছে অন্তর্বতী সরকারও । প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস উইংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের হিংসা মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ পেলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। দোষীদের গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থাও করতে হবে।
সেই মতো সংখ্যালঘুদের উপর কী ধরনের আক্রমণ হচ্ছে তা জানতে এবং দ্রুত অভিযোগ পেতে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে পুলিশ । সেখানে অভিযোগ জমা পড়ছে । পুলিশের রিপোর্ট বলছে, হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের 1,769টি ঘটনা ঘটেছে । তার ভিত্তিতে 62টি মামলা দায়ের করে মোট 35 জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ।
দায়ের হওয়া অভিযোগ বিশ্লেষণ করে আরও কয়েকটি তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেগুলিকেও রিপোর্টে যুক্ত করা হয়েছে । তাতে তদন্তকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া হামলার মধ্যে 1,234টির কারণ রাজনৈতিক। 20টি ঘটনার ক্ষেত্রে অন্য একটি বিশেষ সমীকরণ কাজ করেছে । পাশাপাশি 161টি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি পুলিশ। এখানেই তদন্তকারীদের দাবি, মোট হামলার 82.8 শতাংশই ঘটেছে অগস্ট মাসের 5 তারিখ । এছাড়া 8 তারিখ মানে যেদিন অন্তর্বতী সরকার শপথ নেয় সেদিন সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের 65টি ঘটনা ঘটেছিল।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নিয়ে গত বেশ কয়েক মাস ধরেই তরজা চলছে। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে এই ধরনের হামলার ঘটনা বেশি হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ভারত প্রথম থেকেই বলে আসছে, হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে । বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রিও একই বার্তা দিয়েছেন ঢাকায় এসে । এরইমধ্যে ইউনুস সরকারও সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বন্ধে কড়া বার্তা দিল।