ETV Bharat / state

নন্দীগ্রামে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত, অভিযোগ ইব্রাহিম আলির - নন্দীগ্রাম

নন্দীগ্রামে আমফানে বিপর্যস্ত মানুষদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্তের অভিযোগ বাম বিধায়ক ইব্রাহিম আলির। যদি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

Tmc-র হাতে আক্রান্ত বাম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি
ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত বাম বিধায়ক
author img

By

Published : Jun 3, 2020, 12:18 AM IST

নন্দীগ্রাম,২ জুন: পূর্বেই নন্দীগ্রামে BJPর কাছ থেকে ত্রাণ নেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন ত্রাণ প্রাপকরা। এবার নন্দীগ্রামের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে তৃণমূলের বাধার সম্মুখীন হলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পূর্ব পাঁশকুড়ার বাম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা নন্দীগ্রামে ত্রাণ বিলি করতে গেলে হুমকি দেয়, এমনকি মারধর করে তাঁদের এক কর্মীকেও। বাধ্য হয়েই কয়েকটি আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি করে ফিরে আসতে হয় বিধায়ককে। যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ CPI(M)সিপিএমের বিধায়ক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিয়ে নন্দীগ্রামে আমফান বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের ত্রাণ বণ্টনের জন্য পৌঁছান। এলাকার ভেকুটিয়া, সামসাবাদ গ্রামের ১৫০ জন দুস্থ পরিবারের হাতে প্রাথমিক পর্যায়ে বেশকিছু ত্রাণ তুলে দেন তিনি। সেখান থেকে ত্রাণ বন্টনের জন্য গাড়ি নিয়ে তিনি পৌঁছে যান দাউদপুর এলাকার একটি স্কুলে। অভিযোগ দাউদপুর যাওয়ার পথেই তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা বাইক নিয়ে বিধায়ককে হুমকি দেওয়া শুরু করে। সে সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হলে স্থানীয় এক দলীয় কর্মীকে তৃণমূলের কর্মীরা মারধর করে, এমনকি নন্দীগ্রাম এলাকায় ত্রাণ বিলি করলে, দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বিধায়ককে বলে অভিযোগ ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা করে বাধ্য হয়েই ত্রাণ নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে ফিরে আসেন বাম বিধায়ক।

বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক ইব্রাহিম আলির অভিযোগ করে বলেন, "আমফানের প্রভাবে নন্দীগ্রাম এলাকার বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিয়ে আমরা নন্দীগ্রাম এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রিপল ও খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী লকডাউনের কারনে কাজ হারানো দুস্থ মানুষদের হাতে ত্রাণ তুলে দিতে বাধা দেয় আমাদের। যে কারণে নন্দীগ্রামের দাউদপুরে ত্রাণ বিলি বন্ধ করে আমাদের ফিরে আসতে হয়। বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়াতেও দিচ্ছে না তৃণমূল। তৃণমূলের এই ঘৃণ্য রাজনীতি মানুষ দেখুক।"


যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নন্দীগ্রাম বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান মেঘনাথ পাল। তাঁর দাবি, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর ইব্রাহিম আলি আর নন্দীগ্রামে কোনওদিন আসেননি। সাধারণ মানুষ বহু সমস্যার মধ্য দিয়েই এত দিন কাটিয়েছেন। তাই তাঁর দলের লোকেরাই এতদিন পরে ইব্রাহিম কেনও এসেছেন এই প্রশ্ন করেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

যদিও এ বিষয়ে বিধায়ক ইব্রাহিম আলি মৌখিকভাবে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ জানালেও লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।

নন্দীগ্রাম,২ জুন: পূর্বেই নন্দীগ্রামে BJPর কাছ থেকে ত্রাণ নেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন ত্রাণ প্রাপকরা। এবার নন্দীগ্রামের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে তৃণমূলের বাধার সম্মুখীন হলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পূর্ব পাঁশকুড়ার বাম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা নন্দীগ্রামে ত্রাণ বিলি করতে গেলে হুমকি দেয়, এমনকি মারধর করে তাঁদের এক কর্মীকেও। বাধ্য হয়েই কয়েকটি আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি করে ফিরে আসতে হয় বিধায়ককে। যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ CPI(M)সিপিএমের বিধায়ক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিয়ে নন্দীগ্রামে আমফান বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের ত্রাণ বণ্টনের জন্য পৌঁছান। এলাকার ভেকুটিয়া, সামসাবাদ গ্রামের ১৫০ জন দুস্থ পরিবারের হাতে প্রাথমিক পর্যায়ে বেশকিছু ত্রাণ তুলে দেন তিনি। সেখান থেকে ত্রাণ বন্টনের জন্য গাড়ি নিয়ে তিনি পৌঁছে যান দাউদপুর এলাকার একটি স্কুলে। অভিযোগ দাউদপুর যাওয়ার পথেই তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা বাইক নিয়ে বিধায়ককে হুমকি দেওয়া শুরু করে। সে সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হলে স্থানীয় এক দলীয় কর্মীকে তৃণমূলের কর্মীরা মারধর করে, এমনকি নন্দীগ্রাম এলাকায় ত্রাণ বিলি করলে, দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বিধায়ককে বলে অভিযোগ ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা করে বাধ্য হয়েই ত্রাণ নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে ফিরে আসেন বাম বিধায়ক।

বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক ইব্রাহিম আলির অভিযোগ করে বলেন, "আমফানের প্রভাবে নন্দীগ্রাম এলাকার বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিয়ে আমরা নন্দীগ্রাম এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রিপল ও খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী লকডাউনের কারনে কাজ হারানো দুস্থ মানুষদের হাতে ত্রাণ তুলে দিতে বাধা দেয় আমাদের। যে কারণে নন্দীগ্রামের দাউদপুরে ত্রাণ বিলি বন্ধ করে আমাদের ফিরে আসতে হয়। বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়াতেও দিচ্ছে না তৃণমূল। তৃণমূলের এই ঘৃণ্য রাজনীতি মানুষ দেখুক।"


যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নন্দীগ্রাম বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান মেঘনাথ পাল। তাঁর দাবি, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর ইব্রাহিম আলি আর নন্দীগ্রামে কোনওদিন আসেননি। সাধারণ মানুষ বহু সমস্যার মধ্য দিয়েই এত দিন কাটিয়েছেন। তাই তাঁর দলের লোকেরাই এতদিন পরে ইব্রাহিম কেনও এসেছেন এই প্রশ্ন করেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

যদিও এ বিষয়ে বিধায়ক ইব্রাহিম আলি মৌখিকভাবে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ জানালেও লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.